বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শলপ এলাকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত হলেও একেবারে হাওড়া শহর লাগোয়া। এই এলাকায় প্রচুর কারখানা তৈরি হয়েছে। রয়েছে গাড়ির শোরুম থেকে শুরু করে বড় বড় সংস্থা। এই এলাকায় প্রচুর লোকজনও বসবাস করেন। কিন্তু, নিকাশি সমস্যার কারণেই এই এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় ১৫ জনেরও বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বহু। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাকুড়িয়া মোড় থেকে রেল লাইনের দিকে সার্ভিস রোড দিয়ে এগলেই ডান দিকে নর্দমা দেখতে পাওয়া যাবে। নর্দমার বেশ কিছু অংশ বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে জল জমে আছে। সারাদিন মশার দাপটে এলাকার লোকজন টিকতে পারছেন না।
অথচ জাতীয় সড়ক তৈরির সময় ওই নর্দমাটি শলপ থেকে শুরু হয়ে ৪ নম্বর ড্রেনেজ ক্যানাল পর্যন্ত গিয়েছিল। ফলে এই এলাকায় জল জমত না। কিন্তু, এখন নর্দমার কিছু অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় জল বের হওয়ার রাস্তা নেই। গত বর্ষাতেও এই এলাকায় জল বের না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তখন পঞ্চায়েত ভরাট অংশ কাটতে গেলে কয়েকটি কারখানার সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল। আবার কারখানার জঞ্জালও অনেক সময় ওই নর্দমায় ফেলা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েতের কাছে অভিযোগ জমা হয়েছে। পঞ্চায়েত এই নিয়ে কারখানগুলিকে সতর্ক করে নোটিস দিয়েছে।
শলপ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল ঘোষ বলেছেন, এখানে নিকাশি সমস্যা নিয়ে আমরা জেরবার হচ্ছি। কয়েকটি কারখানাকে আমরা সতর্ক করে অবিলম্বে নর্দমা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, তারা উল্টে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। আমরা বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি ও থানায় জানিয়েছি। এখন এই এলাকায় মশার দাপট বেড়েছে। যে অংশগুলি ভরাট আছে, সেগুলি আমরা কেটে দেবে। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, নিয়ম না মেনে নর্দমার কয়েকটি অংশ ভরাট করা হয়েছে। তার ফলে জল জমে থাকছে। তাছাড়া দু’একটি কারখানা নিয়ে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানিয়েছি। এলাকায় মশার দাপট কমাতে নর্দমা পরিষ্কার করতে হবেই। সেটা করতেই পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।