পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
গোটা বিষয় সম্পর্কে কল্যাণবাবু অবশ্য অকপট। তিনি বলেন, কাঞ্চন মল্লিক আমার সঙ্গে থাকলে গ্রামেগঞ্জে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। মহিলাদের মধ্যে আমি প্রতিক্রিয়া দেখেছি। তাই আমি ওঁকে বলেছি, প্রচারে না থাকতে। আমাকে সর্বসাধারণের কথা ভাবতে হয়, কোনও ব্যক্তির জন্য ভাবা আমার কাজ নয়। তাই আমার সিদ্ধান্তে বিধায়ক আহত হলে আমার কিছু করার নেই। বিদায়ী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, আমার গাড়িতেই সর্বদা বিধায়ক প্রচারে বের হতে চান। তাঁর তো আলাদাভাবেই প্রচার করা উচিত। সেসব করেন না। এনিয়ে প্রথমে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। পরে তিনি বলেন, কল্যাণদা আমাদের সাংসদ, আমাদের প্রার্থী। তাঁর প্রচারে আমার থাকার কথা ছিল। তাই গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বললেন, প্রচারে থাকতে হবে না। অন্যরকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আমি চলে এলাম। তিনি না চাইলে আমি যাব কেন? আমি অবশ্য কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া কোথাও দেখিনি। গোটা ঘটনার মূলে যদি আমার বিয়ের প্রসঙ্গ থাকে, তাহলে বলব, ওইটি আমার ব্যক্তিগত বিষয়। বিয়ের জন্য আমি বিধানসভা বা দলের কারও কাছে কোনও সাহায্য চাইনি। বিধায়ক ও বিদায়ী সাংসদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছেন সিপিএমের লোকসভা প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তিনি বলেন, উত্তরপাড়া বিধানসভার মানুষকে বলব, একবার বিবেচনা করে দেখুন কাদের বিধায়ক, সাংসদ বানিয়েছেন।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ঘটনার সূত্রপাত কোন্নগরে। কোন্নগর স্টেশন রোডে তৃণমূলের অফিস থেকে নবগ্রামে প্রচারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন কল্যাণবাবু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কাঞ্চনও। কল্যাণবাবুর গাড়িতে তিনিও উঠে পড়েন। তখনই বিদায়ী সাংসদকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এরপরই মুখ গোমড়া করে দ্রুত নেমে পড়েন তিনি। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই এক দলীয় কর্মীর বাইকে এলাকা ছাড়েন। পরে নিজের বিধায়ক অফিসে গিয়ে কলকাতার দিকে রওনা হয়ে যান। বিধায়ককে ‘নামিয়ে’ দেওয়ার পরেই প্রচার শুরু করে দেন বিদায়ী সাংসদও।