পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ডিভিশন সূত্রে খবর, ভোটকেন্দ্রিক কোনও ঝামেলা, অশান্তি বা অভিযোগ জমা পড়লে তা নির্বাচন কমিশনে জানানোর নিয়ম লাগু হয়ে গিয়েছে। সেই মতো প্রতিদিন একটি করে রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে প্রতিটি থানা থেকে দু’জন করে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই এলাকা পরিদর্শন করে একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করছেন। কোন কোন মাপকাঠিতে এই চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া চলছে? কলকাতা পুলিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোট, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও শেষ পুরসভা ভোটে শহরের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, তার তথ্য নেওয়া হচ্ছে থানা থেকে। যেসব এলাকা থেকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটদান প্রভাবিত করার অভিযোগ গিয়েছে অতীতে, সেই এলাকাগুলিতে থাকছে বাড়তি নজর।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, গত লোকসভা ভোটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। উল্লেখ্য, যাদবপুর লোকসভার মধ্যে দু’টি বিধানসভা এলাকা (যাদবপুর ও টালিগঞ্জ) কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত। এই দুই জায়গাতেই ইভিএম গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলে। গতবার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার গাড়িতে হামলার অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বেলেঘাটা এলাকায় বোমা পড়েছিল। হরিদেবপুরেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি সামনে আসে। পুরভোটে মধ্য কলকাতায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। পাল্টা অভিযোগ করে শাসক দলও। এবার যাতে অশান্তির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিস। এসব এলাকা ছাড়াও শহরের আর কোন কোন অংশ স্পর্শকাতর বলে মনে করছে লালবাজার? এখনই এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ।
ভাঙড় কলকাতা পুলিসের আওতাভুক্ত হওয়ার মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় লোকসভা নির্বাচন। বিস্তীর্ণ এলাকায় নির্বাচনকেন্দ্রিক হিংসা, অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের সময়। এই ধরনের ঘটনায় রাশ টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা পুলিসের আওতায় আসে ভাঙড়ের আটটি থানা। এই এলাকায় কোথায় রাজনৈতিক চাপানউতোর বেশি, কোথায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।