বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনানের ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের রানা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তৈমুর মোল্লা তাঁর দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন এবং গ্রামের দখল নিয়ে নেয় বিজেপি। যদিও সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার তৃণমূলে ফিরে আসে। আর এরপর থেকেই গ্রামের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ঝামেলা লেগেই ছিল। শুক্রবার রাতেও ঝামেলা চলাকালীন একাধিক বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৈমুর মোল্লার অভিযোগ, ৩ মাস আগে তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল গ্রামে হামলা চালাচ্ছে। এমনকী তাঁকে দলে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করার পর আরও হামলা চালানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে ঢুকে তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমাবাজি করায় তাঁদের ৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা এলাকা ছাড়া। বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক অভিযোগ করেন শুক্রবার রাতে এলাকার লাইট ভেঙে দিয়ে তৃণমূল কর্মী আয়ুব ও জুনেদের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জনের সশস্ত্র তৃণমূল কর্মী রানা পাড়ায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে। উল্টে তারাই আবার আমাদের ২২ জন কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন। তিনি বলেন, দলের কয়েকজন কর্মী বিজেপিতে গেলেও পরে ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় দলে ফিরে আসে। তারপর থেকেই তৈমুর ও প্রদ্যোৎ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সেইরকম শুক্রবার রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমাবাজি করে এবং ঘরে বোমা ঢুকিয়ে দেয়। বোমার আঘাতে তৃণমূলের একজন কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এলাকা অশান্ত করার প্রতিবাদে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তৃণমূল এলাকায় একটি প্রতিবাদসভা করবে।