বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভর্তির সময় ছাত্রছাত্রীদের একটি ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, যদি দেখা যায়, কেউ মাদক সেবন করছেন অথবা কাউকে এ ব্যাপারে সাহায্য করছেন, তাহলে আইন অনুযায়ী একজন পড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত কিংবা পুরোপুরি বরখাস্ত করে দেওয়া হতে পারে। ইউজিসি’র একটি বিজ্ঞপ্তিকেও সেই ফর্মে উদ্ধৃত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসে কারও কাছে যদি এমন কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য মেলে, সেক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এই মুচলেকায় সই করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মতো ক্যাম্পাসগুলিকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। এই মুচলেকার মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ করতে সহজ হবে।
এর আগে অবশ্য ক্যাম্পাসে এই ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন মা মদ্যপান আটকাতে পদক্ষেপ করেছিল কর্তৃপক্ষ। যেমন কয়েক মাস আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, কাউকে মদ্যপান কিংবা মাদক সেবন করার সময় ধরা হলে, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসের হাতেও তুলে দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তা পুরোপুরি থামানো যায়নি। কয়েকজনকে তারপরও ধরা হয়েছিল। কিন্তু এবার যে শাস্তির নিদান দেওয়া হয়েছে, তা একপ্রকার বেনজির বলেই মনে করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই রকম কড়া পদক্ষেপে সচেতন হবেন ছাত্রছাত্রীরা। এটাই আশা করছি।
এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছে অধ্যাপক সংগঠন জুটা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ইউজিসি’র আইন মেনে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পড়ুয়াদের তরফেও একে স্বাগত জানানো হয়েছে। দেবরাজ দেবনাথ নামে এক পড়ুয়া বলেন, কে কী খাবে, তার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তাঁর। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে এই রকম নিষিদ্ধ মাদক সেবন কোনওভাবেই কাম্য নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ঠিক।
মুচলেকা লেখানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের মতে, শুধু কাগজে লিখিয়ে নিলেই হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদেরও এ ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। নিয়ম করে পরিদর্শন বন্ধ করা যাবে না। সেটা কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে। যা বহু সময়ই দেখা যায় না বলে অভিযোগ।