বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয়রা অবরোধ করার পরই পুলিস ও পুরসভা থেকে ওই গাছটি কেটে ফেলার আশ্বাস দেয়। পরে এদিন দুপুরেই বারাসত পুরসভার পক্ষ থেকে ওই মৃত গাছটিকে কেটে ফেলা হয়। একেবারে ৩ নম্বর শালবাগানের মুখেই বারাসত-বারাকপুর রাস্তার ধারে ওই মৃত গাছটি ছিল। একটি বড় মোটা শুকনো ডাল রাস্তার দিকে ঝুলছিল। মাসের পর মাস ধরে বিপজ্জনকভাবে থাকলেও পুরসভার বা প্রশাসনের নজর পড়েনি বলে অভিযোগ। এদিন দুপুরে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ৩ নম্বর শালবাগান এলাকায় একটি ব্যাঙ্কে কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি ছাতা মাথায় দিয়ে বারাসত-বারাকপুর রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। আচমকা ওই মোটা শুকনো ডাল তাঁর মাথার উপর ভেঙে পড়ে। মাথা পুরো থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
এহেন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেই এলাকার লোকজন প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। বারাসত-বারাকপুর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভাকে জানানোর পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন এতদিন ধরে গাছটিকে না কেটে রাখা হয়েছিল? অবরোধ তুলতে বারাসত থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুরসভার কর্তাদের ঘটনাস্থলে আসার দাবি করেন অবরোধকারীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চলার পর অবরোধ উঠে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই মৃত গাছটি পিডব্লুডি’র জায়গায় ছিল। তাই নিয়মের জটিলতায় আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে এতদিন ধরে কাটতে পারিনি। কিন্তু, গাছটিকে কেটে ফেলার জন্য আমরা তাদের জানিয়েছিলাম। এদিন একজনের প্রাণ চলে যাওয়ার পর নিয়মের জন্য অপেক্ষা না করে আমরা ওই গাছটিকে কেটে ফেলেছি। শুধু তাই নয়, শহরের যেখানে এই ধরণের শুকনো গাছের ডাল বিপজ্জনকভাবে রয়েছে সেগুলি আমরাই কেটে ফেলব। তাতে যদি পিডব্লুডি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে করুক। আমাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রাণ আগে।