বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমতা ২ নং ব্লকের কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি গ্রাম ও তাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১টি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। মাত্র ৩০-৪০ সেকেন্ডের এই ঝড় এলাকায় একাধিক বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ে। শুধু তাই নয় ঝড়ে বেশ কয়েকটি পানের বরোজ ভেঙে পড়ায় চরম ক্ষতির মুখে পান চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিনের কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ের তাণ্ডবে ৪টি গ্রামের প্রায় ৪০টি ইলেকট্রিক পোস্ট উপড়ে পড়ে তার ছিঁড়ে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, মঙ্গলবারের ঝড়ে বাগনান-নারিট রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে ইলেকট্রিক পোস্ট উপড়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বুধবার সকালে কুশবেড়িয়া গ্রামে পৌঁছে দেখা গেল চারিদিকে ধ্বংসাত্মক চেহারা। রাস্তার দু’ধারে থাকা অসংখ্য গাছের ডাল ভেঙে গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট উপড়ে পড়ে রাস্তা প্রায় বন্ধ। যদিও সকাল থেকেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা ভাঙা পোস্টের পরিবর্তে নতুন পোস্ট বসিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আলি মল্লিক জানান, আমার জীবনে দেখা এইরকম ঝড় এই প্রথম। আচমকাই সোঁ সোঁ আওয়াজ। আর তারপরেই চারিদিকে মড়মড় শব্দে গাছের ডাল ভেঙে পড়ার শব্দ। মাত্র ৪০ সেকেন্ডের এই ঝড়ে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে যদি ঝড়টা কিছুক্ষণ স্থায়ী হতো তাহলে এই এলাকাকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না।
অন্যদিকে, এদিক সকালে এলাকা পরিদর্শন করার পর আমতা ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবদাস নস্কর বলেন, দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ করছেন।