বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সুপার বলেন, পুরনো একটি খুনের ঘটনার জেরে এদিন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চারজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রামের পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিস ক্যাম্প বসানো হচ্ছে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই মুহুর্মুহু বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে কুঁচিয়ামোড়া গ্রাম। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর চারটে নাগাদ পাটখেতের মাঝখানে ঢালাই রাস্তায় দু’পক্ষের মধ্যে বোমা ও গুলির লড়াই শুরু হয়। এই ঘটনায় সোহেল রানা(১৯), খাইরুদ্দিন শেখ(৫০) ও রহিদুল হালসোনার(৩৫) মৃত্যু হয়েছে। সোহেল তিনমাস আগে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা আলতাবের ছেলে, দ্বিতীয়জন আলতাবের ভাই ও তৃতীয়জন প্রতিবেশী।
সোহেলের কাকাতো ভাই বাচ্চু শেখ বলেন, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় বোমাবাজি হয়। তারপরই দাদা, কাকা ও রহিদুলকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। প্রায় তিন মাস আগে জ্যাঠা আলতাব শেখ খুন হন। ওই খুনের ঘটনায় জড়িতরাই গ্রামে হামলা চালিয়ে তিনজনকে খুন করেছে। থানায় অভিযোগ জানানো হবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে রজব আলি হালসোনা বলেন, বোমাবাজি হচ্ছিল। ছাদে যেতেই বাড়ির পিছনে পাট খেত ও রাস্তা থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। আমার কোমরে গুলি লেগেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ডোমকল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে গোলমালকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিস সুপার ও অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি অভিযানে নামেন। গ্রামের রাস্তায় গুলির খোল ও বোমা উদ্ধার করে পুলিস। এদিন সংঘর্ষে জড়িতদের একটি পক্ষ মৃত তৃণমূল নেতা আলতাব গোষ্ঠীর সদস্য, আর একটি পক্ষ গাউস শেখের। আলতাবকে খুনের অভিযোগে গাউস ও তার কয়েকজন অনুগামী গ্রেপ্তার হয়েছিল। গত ১০জুন তারা জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। তাই আলতাব খুনের ঘটনার জেরেই এদিন দু’পক্ষের মধ্যে বোমা-গুলির লড়াই হয়েছে বলে পুলিসের একাংশ মনে করছে।