বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার বলেন, ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই সংস্থাকে রাজ্য সরকার ১০ কোটির বেশি টাকা ঋণ দিয়েছে। বকেয়া টাকা মেটানোর পরেই ডানকুনি কোল কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করা শ্রমিকদের নিজেদের কাজে বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডানকুনি কোল কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক চুক্তি পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় কারণে মেন্টেন্যান্স বিভাগের প্রায় শতাধিক শ্রমিকের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। গত বছর আগস্ট মাসে কোম্পানি তাদের জানিয়ে দেয় ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে কোম্পানি ওই সমস্ত শ্রমিককে আর কাজে নিতে পারবে না। এরপরেই প্রায় ৫৭ জন অস্থায়ী শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের চিঠি ধরিয়ে দেয়। তারপরেই বাকি শ্রমিকরাও ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা শাসকদলের নেতাকর্মীদের সমস্যা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানান। এই ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডানকুনি কোল কমল্পেক্সের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেন। কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাইয়ে এক মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু অক্টোবর মাস শেষ হতেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করে কর্তৃপক্ষ। এরপরেই শ্রমিকেরা জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন। বিধায়কের উদ্যোগে শ্রমমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই সংস্থাকে রাজ্য সরকার ঋণ দেয়। ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের সহ সভাপতি প্রকাশ রাহা বলেন, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক যেভাবে শ্রমিকদের জন্য লড়াই করেছেন সেটা শ্রমিকেরা মনে রাখবেন।
উল্লেখ্য, ডানকুনিতে দিল্লি রোডের ধারে ১৯৯০ সালের ২১ মে ডানকুনি কোল কমল্পেক্সে উৎপাদন শুরু হয়। সেখানে মূলত সিল্ক কোক, আলকাতরা, গ্যাস ও সুপার ফসফেটের মতো দ্রব্য তৈরি হয়। স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন ওই কারখানায় কর্মরত।