উত্তরবঙ্গ

জলপাইগুড়িতে ১৫০ হেক্টরের বেশি ধানের জমি জলের তলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তিস্তার চরে কেউ বুনেছিলেন মুলো, পালংশাক, লঙ্কা। কেউ আবার লাগিয়েছিলেন শীতকালীন পেঁয়াজ। কোনও কৃষক আগাম আলু চাষের জন্য জমি তৈরির কাজ সেরে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিন দিনের অতি বৃষ্টিতে সেসবের দফারফা। তিস্তার জলের তোড়ে সব্জি খেত তো নষ্ট হয়েইছে, সঙ্গে চরে অন্তত এক ফুট পুরু বালির স্তর পড়েছে। ওই বালির স্তরের উপর নতুন করে পলি না জমলে চরে আর চাষাবাদ করা যাবে না, বলছেন কৃষকরা। 
জলপাইগুড়ির সারদাপল্লি, রংধামালি, বোয়ালমারি, মণ্ডলঘাটের পাশাপাশি গজলডোবার টাকিমারি, মিলনপল্লি, ক্রান্তির মৌয়ামারি সহ বহু জায়গায় তিস্তার চরে শাক-সব্জি চাষ হয়। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে সব শেষ। ফলে জলপাইগুড়ির বাজারে সব্জির জোগানে ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ ও মালবাজার এলাকায় প্রায় ১৫০ হেক্টরের বেশি জমি জলের তলায় বলে অভিযোগ। দ্রুত জল না নামলে ফলন মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের। যদিও জলপাইগুড়ির উপ কৃষি অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহার দাবি, এখনও পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, তাতে ১৪৩ হেক্টর ধানের জমিতে জল রয়েছে। তবে জল নামছে। দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। আমরা অবশ্য ব্লকগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।
তিস্তার জল ঢুকে যাওয়ায় সব্জি চাষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে ক্রান্তির চ্যাংমারি, চাঁপাডাঙা, রাজডাঙা এলাকায়। চ্যাংমারির আপালচাঁদ বস্তি এলাকায় চাষে ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি।
ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, আমাদের ব্লকে ধান ও সব্জি মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার বিঘা জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ দু’কোটিরও বেশি। প্রশাসনকে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, বেশিদিন সব্জি খেতে জল দাঁড়িয়ে থাকলে গোড়া পচার সমস্যা দেখা দেবে। বাড়বে রোগপোকার আক্রমণ। কৃষিদপ্তরের তরফে অবশ্য জলে ডোবা সব্জি বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জলপাইগুড়ির সারদাপল্লির বাসিন্দা গৌর ব্যাপারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা তিস্তার চরে সব্জি চাষ করি। শীতের আগাম সব্জি বুনেছিলাম। মুলো, পালং ছিল। আলুর জন্য জমি তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল। সবটাই শেষ হয়ে গেল। এখন জল কবে নামবে জানি না। তারপর পলি শুকোতে সময় লাগবে। ফলে পুজোর পর ছাড়া চাষ শুরু করা যাবে না।
ওই এলাকারই আর এক কৃষক ভজন দাস বলেন, যেভাবে তিস্তার চরে বালি জমেছে, তাতে কোনওভাবেই এবার শীতে আর সব্জি চাষ করা যাবে না। এখন আগে বালির স্তর সরাতে হবে, পলি জমবে, তারপর চাষের উপযুক্ত হবে চরের জমি।  নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা