রাজ্য

১০০ দিনের কাজ ও সারে বাড়তি বরাদ্দ নয় কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি,নয়াদিল্লি: একটি আর্থিক বছরে অন্তত দু’বার সংসদে বিভিন্ন প্রকল্প তথা মন্ত্রকের জন্য বাজেট বরাদ্দের উপর অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দের দাবি পেশ করে সরকার। অর্থাৎ বাজেট বরাদ্দের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খরচের গতিপ্রকৃতি বুঝে বাড়তি টাকা সংসদে পাশ করিয়ে নেয়। এটাই রীতি। সাধারণ জনস্বার্থবাহী সিদ্ধান্ত তথা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য এই অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ হয়েই থাকে। গত কয়েক বছর সেটাই করে এসেছে মোদি সরকার। ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পেও বাজেট ঘোষণায় কম বরাদ্দ দেখিয়ে পরবর্তীকালে অতিরিক্ত টাকা ‘সাপ্লিমেন্ট’ করে কেন্দ্র। কিন্তু ২০২৪ সালে একেবারে বিপরীত চিত্র দেখিয়ে দিল সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রকের ব্যয়বরাদ্দের চাহিদা প্রায় রেকর্ড পরিমাণ কম। গত দু’দিন ধরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দ অনুমোদিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের জন্য কোনও অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দ করাই হয়নি! এই প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। অথচ, গত অর্থবর্ষে এই ১০০ দিনের কাজে ব্যয়ই হয়েছিল প্রায় ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাংলা তার প্রাপ্য পেলে এই টাকার অঙ্ক কিন্তু অনেকটা বেড়ে যেত। সেই পথে তো কেন্দ্র যাওয়ার মতো মানবিকতাই দেখায়ইনি, উপরন্তু গোটা দেশের বাজেট বরাদ্দও কমিয়ে দিয়েছে। তার উপর জুড়েছে সার। কৃষক অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যেও বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার। গত আর্থিক বছরে সারে ভর্তুকির জন্য যেখানে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, সেটাই চলতি বছরের বাজেটে কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি। তিন মাস ধরে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট  (ডিএপি) সারের দাম প্রবল বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। সুতরাং ধরা হয়েছিল, ভর্তুকি খাতে গত বছরের মতোই বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বেড়েছে, কিন্তু নামমাত্র। মাত্র ৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান সহ কৃষি সংক্রান্ত নানাবিধ অনুদান তথা ভর্ভুকির জন্য মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতি শ্লথগতিতে চলছে। বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধিও চরম সীমায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। ডিমান্ড ফর গ্রান্টস বা অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দে এক টাকাও যোগ না হওয়ায় ছবিটা স্পষ্ট—ওই টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে সরকার। প্রশ্ন উঠছে, সেই কারণেই কি ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কমে যাওয়া সহ নানাবিধ অজুহাত দিয়ে রাজ্যগুলির পেমেন্ট বন্ধ রাখা হচ্ছে? প্রতি বছর অসংখ্য জব কার্ড বাতিল হয়। সেইসঙ্গে নতুন জবকার্ড তৈরিও হয়। এ বছরই এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল হয়েছে। নতুন করে জব কার্ড তৈরি হয়েছে ৪০ লক্ষ। অর্থাৎ কমবেশি ৪৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে ১০০ দিনের তালিকা থেকে। এই সংখ্যাটা কিন্তু প্রকল্পের বরাদ্দ কমাতে অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো নয়! অথচ সেটাই চলছে। দেশজুড়ে নতুন কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। উৎপাদন শিল্প ধুঁকছে। যে হারে সংসার খরচ বাড়ছে, তার সঙ্গে আয় বাড়ছে না। কৃষকদের সহায়ক মূল্য ও সারে ভর্তুকির দাবি ক্ষমতার অলিন্দ পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তির আলো দেখাতে পারে একমাত্র গ্রামীণ ভারতের হাতে টাকার জোগান বাড়ানো। ১০০ দিনের কাজ সেটাই করত। কিন্তু তাতেও কোপ দিল সরকার।
চলতি বছর সামগ্রিকভাবে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪২ শতাংশ খরচ করেছে কেন্দ্র। বছর শেষ হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি। রাজকোষ ঘাটতি কমানোর মরিয়া চেষ্টা সরকার করবেই। কিন্তু তার মানে নিশ্চয়ই সরকারি প্রকল্প ও জনস্বার্থবাহী কর্মসূচিতে খরচের বহর কমানোর কৌশল ফাঁদা নয়! সরকার আসলে খরচে রাশ টানছে। স্থায়ী সম্পদ নির্মাণ অর্থাৎ ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারও বিপুল কমেছে। তারই পরিণতি জিডিপির বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়া। 
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৯ টাকা৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৬.০৫ টাকা১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৫৬ টাকা৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা