রাজ্য

লোকসভায় বিপক্ষে ১৯৮, ঘুম ছুটেছে মোদির,  এক ভোটের বিরুদ্ধে একজোট ইন্ডিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির সাধের প্রজেক্ট ‘এক দেশ এক নির্বাচন’! অথচ, লোকসভায় সেই সংক্রান্ত বিল পেশের দিন প্রধানমন্ত্রী নিজেই নেই।
আরএসএসের স্বপ্ন ‘এক দেশ এক নির্বাচন’! কিন্তু হুইপ জারির পরও বিজেপির ২০ জন এমপি সংসদে অনুপস্থিত।
বিজেপির একচ্ছত্র কর্তৃত্বের জমি শক্ত করার পথ ‘এক দেশ এক নির্বাচন’? অথচ, বিল পেশের দিন শক্তি প্রদর্শন করল মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। 
‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল পেশ করতেই মঙ্গলবার কালঘাম ছুটে গেল মোদির বিজেপির। এই পদক্ষেপ কার্যকর করতে প্রয়োজন সংবিধান সংশোধনের। আর দুই কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা না পেলে সেই উদ্যোগ মাঠে মারা যাবে। সংশোধন তো অনেক দূর, বিল পেশ করতে গিয়েই রীতিমতো হোঁচট খেতে হল মোদি সরকারকে। ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ অমিত শাহকে নরম সুরে বলতে হল, ‘এই সংবিধান সংশোধন বিল পেশে বিতর্কের কিছু নেই। বিলটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলোচনার সময়ই প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, এটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো দরকার।’ অর্থাৎ, শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে গেল কেন্দ্র। বিল পেশে সময় লাগল ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট। আর তারপর বিল চলে গেল জেপিসিতেও। সৌজন্যে? বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’র হুঙ্কার। প্রথম ভোটাভুটি (ডিভিশন) চাইলেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়ল ২২০। বিপক্ষে ১৪৯। অনেকেই ঠিকমতো ভোট দিতে পারেননি। পরে কাগজের স্লিপে মত দিলেন তাঁরা। ফাইনাল রেজাল্ট—বিল পেশের পক্ষে ২৬৩। বিপক্ষে ১৯৮। অর্থাৎ, বিরোধীদের শক্তিতে ২৭২ অঙ্কও পেরতে পারল না শাসক এনডিএ।
এই এক সমীকরণে মোদি সরকার বুঝে গেল, গরিষ্ঠতার দাপট দেখিয়ে এই সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হবে না। সেই অবস্থাতেই নেই নরেন্দ্র মোদি। প্রশ্ন হল, বিজেপি সাংসদরাও এ নিয়ে কতটা সিরিয়াস? মোদি অনুপস্থিত, নীতিন গাদকারিও। আর বঙ্গ বিজেপির চার এমপি। বিরোধী বেঞ্চে রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল বা তৃণমূলের মালা রায়, দীপক অধিকারী (দেব), শত্রঘ্ন সিনহা, শতাব্দী রায় ছিলেন না ঠিকই, কিন্তু এই বিল তো তাঁদের স্বপ্নের প্রজেক্ট নয়! চাপ তাই কেন্দ্রের। দিল্লির দরবারে প্রশ্ন দানা বাঁধছে, আদৌ এই বিল পাশ হবে তো? 
লোকসভায় সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করাতে গেলে ওই দিন উপস্থিত সাংসদদের দুই-তৃতীয়াংশকে পক্ষে ভোট দিতেই হবে। তারপর রাজ্যসভা। এদিন বিল পেশের সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন ৪৬১ জন সাংসদ। তর্কের খাতিরে এদিনই যদি বিলটি পাশ করতে হতো, সরকারের প্রয়োজন ছিল অন্তত ৩০৭টি ভোট। তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি শিবির। বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। ১২৯তম সংবিধান সংশোধন বিল। সঙ্গে ‘দ্য ইউনিয়ন টেরিটরিজ লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪’। বিল পেশের সময়ই প্রবল আপত্তি তোলে তৃণমূল, কংগ্রেস, ডিএমকে, উদ্ধবপন্থী শিবসেনা, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, সিপিএমের মতো বিরোধীরা। বিরোধিতার কারণ, সংবিধানের ভিত্তি নষ্ট হবে। আহত হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হবে অত্যধিক ক্ষমতা। গোটাটাই আঞ্চলিক দলের কোমর ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। সভার বাইরে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন শক্তপোক্ত না করে এই বিল পাশ হলে গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ। ক্ষমতাসীন পার্টি চাইলে যে কোনও দল ভেঙে রাজ্যের সরকার ফেলে দেবে। তাই মোদির এই ষড়যন্ত্র মোটেই সফল হতে দেবে না তৃণমূল।’ 
যৌথ সংসদীয় কমিটি। লোকসভা। রাজ্যসভা। তারপর রাষ্ট্রপতির সই। দিল্লি কিন্তু ক্রমেই 
মোদির থেকে দূরে সরছে। এমনিতেই আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে পাশ হলে ২০৩৪ সালের আগে এই সংশোধন কার্যকরের সম্ভাবনা নেই। ততদিন ক্ষমতা থাকবে তো?
22h 22m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৯ টাকা৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৬.০৫ টাকা১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৫৬ টাকা৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা