রাজ্য

উৎসবের আমেজ শহরে, আজ শ্রীভূমির মণ্ডপে মমতা 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যাবতীয় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে উৎসবে মাতছে কল্লোলিনী কলকাতা। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মৃন্ময়ী মা’কে চিন্ময়ী রূপে আবাহনের তোড়জোড় তুঙ্গে। নীল আকাশে পেঁজা তুলো মেঘের আনাগোনা। বাতাসে আগমনী সুর। আর রাস্তাঘাট, ভিড়ে ঠাসা বাজারে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সেই সব চিরাচরিত প্রশ্ন, ‘এবার পুজোয় তোদের প্ল্যান কী? কিংবা ‘সপ্তমীতে সাউথ আর নবমীতে নর্থ তো?’ বেলা গড়ালেই যানজটে থমকে যাচ্ছে গড়িয়াহাট-হাতিবাগান। রং-বেরংয়ের ব্যাগ হাতে রাস্তা পেরচ্ছে জনস্রোত, যেন আর ক’দিন পর প্যান্ডেল হপিং আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখার জন্য একপ্রস্থ মহড়া। ঠাকুর দেখার জন্য লাইন দেওয়ার কথা উঠলেই শহরবাসীর চোখে ভাসে লেকটাউনের শ্রীভূমি। আজ, মঙ্গলবার শ্রীভূমির মণ্ডপ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উৎসব উৎসারিত সূচনা’ করবেন। সেই সঙ্গে দমকল কর্মীদের জন্য ৫০টি বাইকের যাত্রার সূচনা করবেন তিনি। তবে এই পুজোর উদ্বোধন হবে ২ অক্টোবর, দেবীপক্ষে। 
শ্রীভূমির মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে জনতার উন্মাদনা নতুন নয়। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি মন্দির এবার তাদের থিম। সেই মতোই মায়ের প্রতিমা সেজে উঠবে সোনার অলঙ্কারে। নৈবেদ্যে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ঘিয়ের লাড্ডু। কবে থেকে খুলবে শ্রীভূমি? প্রশ্ন আট থেকে আশির। শুধু এই প্রশ্নেই অবশ্য আটকে নেই বাঙালি। ‘কালো টপের সঙ্গে, নীল ডেনিম মানাবে তো?’, ‘ফ্যান্সি জুতোর চেয়ে কি পুজোয় স্নিকার কেনা ভালো?’—এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উৎসবমুখর মনে। কাজের সূত্রে যাঁদের প্রিয়জন, পরিজনদের প্রবাসে থাকতে হয়, ফি-বছর পুজোয় তাঁরা ঘরে ফেরেন। তাঁদের জন্য আঙুলের রেখায় দিন গুনছেন কত মানুষ! 
রবিবার খুব ভিড় হয় বলে সোমবার নাতির জন্য জামা কিনতে গড়িয়াহাটে এসেছিলেন অর্চনা রায়। কথায় কথায় বললেন, ‘মেয়ে-জামাই কানপুরে থাকে। নাতির ৩ বছর বয়স। ষষ্ঠীর দিন আসবে ওরা। তাই কেনাকাটা করতে এসেছি। বছরে এই একবারই আসে ওরা। তাও গত বছর পারেনি।’ কসবার অর্চনাদেবী যেমন হাসছেন, তেমনই হাসি ডায়মন্ডহারবারের ইজাজ-সালাউদ্দিনদের মুখেও। পুজো এলেই তাঁরা কলকাতায় চলে আসেন খেলনা-বেলুন বিক্রি করতে। কেউ কৃষক, কেউ আবার রাজমিস্ত্রি। ইজাজ বলছিলেন, ‘কাজকর্ম করে বিকেলের দিকে গড়িয়াহাটে আসি। এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সাড়ে ন’টার ট্রেনে আবার ফিরে যাব।’ পুজোর বাজারে যা বিক্রি হবে, সেই পুঁজিই তাঁদের পরিবারের খুশির রসদ। সালাউদ্দিন বললেন, ‘পুজোর ক’দিন বাড়ি ফিরি না। রাস্তাতেই থেকে যাই। দু’-চার টাকা বেশি রোজগার হয়। বাচ্চাদের জন্য জামাকাপড় কিনতে পারি।’ হিন্দুস্তান পার্কে মণ্ডপের নীচ দিয়েই যেতে হচ্ছে পথচারীদের। পাশের দোকানে ঝোলানো নতুন জামা। বাঁশ, কাঠ, নতুন জামার গন্ধ একসঙ্গে বলে দিচ্ছে, পুজো এসে গিয়েছে! 
মায়ের মুখ...। দমদম পার্ক ভারতচক্রের প্রতিমা। -নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা