রাজ্য

পুজো পর্বে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকতে মন্ত্রীদের নির্দেশ মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বানভাসি বাংলায় বর্তমানে প্রধান কাজই হল দুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। যত দ্রুত সম্ভব পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে মানুষকে আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে দেওয়া। ফলে সেই কাজে কোনও গাফিলতিই বিরদাস্ত করবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে একথা সাফ বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক আধিকারিক নন, ত্রাণ বিলি করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিস অফিসাররা। যাতে ত্রাণ লুট বা বৈষম্যের কোনও অভিযোগ না আসে। ত্রাণবিলিতে যুক্ত করা হোক পুলিসকে, বৈঠকে পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।  
এদিনের বৈঠকে প্রতিটি জেলা ধরে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই সময়েই দুই অতিরিক্ত জেলা শাসককে নিয়ে তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গত সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পর্বে প্লাবিত ঘাটালে দুই এডিএমকে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা করতে দেখে বিরক্ত হন তিনি। হাজার হাজার বিপর্যস্ত মানুষ যখন সব হারিয়ে খোলা ছাদের নীচে বসবাস করছেন, তখন তাঁদের জন্য কাজে না ঝাঁপিয়ে কী করে দুই সরকারি আধিকারিক গল্পে মশগুল থাকতে পারেন? বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির কাছে এই প্রশ্ন রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক রিপোর্ট ধরে জেলা শাসকদের কাছে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নেন মমতা। বলরামপুর থেকে শুরু করে আমতা, উদয়নারায়নপুর, খানাকুল, গোবরডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকার খবর নেন তিনি।  এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উঠে আসে বন্যা পরিস্থিতি কথা। সূত্রের খবর, মন্ত্রীদের মমতা বলেন, যাঁদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সেখানে পুজোর চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্গঠনে বেশি জোর দিন। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। আর যে সমস্ত এলাকায় বন্যা হয়নি, সেখানকার মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিরা বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সংগ্রহ করে পাঠান। পুজোর পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ। 
বৈঠকের পর নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততদিন ত্রাণের কাজ চলবে। যাদের বাড়ি ভেঙ্গেছে তাদের অন্তত তিনটে করে ত্রিপল সহ অন্যান্য সরকারি সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কেন্দ্রের থেকে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ টাকা চাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক জায়গাই এখন জলের নীচে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা সম্পূর্ণ করা সম্ভব। তার পরই  পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৮৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৭.৪৯ টাকা১১৪.২২ টাকা
ইউরো৯১.২৬ টাকা৯৫.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা