নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্মদিবস পালন হল রাজ্যজুড়ে। রবিবার সকাল থেকে প্রভাত ফেরি, শোভাযাত্রা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁকে সম্মান জানাল মানুষ। স্কুল, কলেজ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলি একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।’ বেলুড় মঠে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে মুখরিত ছিল প্রাঙ্গণ।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বেলুড় মঠে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। ভোর পাঁচটা নাগাদ বিবেকানন্দের মন্দিরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে পুজো শুরু হয়। একাধিক স্কুল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেলুড় মঠের শাখা সংগঠনের সদস্যরা প্রভাতফেরির মাধ্যমে মঠ চত্বরে যুব দিবস পালন করেন। পড়ুয়ারা স্বামীজীর ছবিতে মাল্যদান করে শোভাযাত্রা করে। বেদ পাঠ, ভজন, ভক্তিগীতি, স্তবগীতি, জীবনী পাঠ হয়। সর্বত্র দিনভর মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুর তিনটে নাগাদ ধর্মসভা ও সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতি হয় মঠে।
অন্যদিকে, কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজীর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘স্বামীজীর নীতি, আদর্শ, বাণী আজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সর্বধর্ম সমন্বয়, জীব সেবাই শিব সেবা এ কথা বলেছেন। স্বামীজি বলেছিলেন, ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছন পর্যন্ত থেমো না।’ এদিন স্বামীজীর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পতাকা উড়িয়ে শোভাযাত্রার সূচনা করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ।
যুব দিবস উপলক্ষ্যে হাওড়া শহর, ডোমজুড় বিধানসভা এলাকা, মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এছাড়া উলুবেড়িয়া সহ জেলাজুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় দিনটি। হুগলিতে শোভাযাত্রা ছাড়াও ধর্মসভা, আলোচনা, রোগীদের মধ্যে ফল-মিষ্টি বিতরণ সহ নানা সামাজিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রভাত ফেরি সহ একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে। বারাকপুরের সান্ধ্য সমিতি সাধারণ পাঠাগারের উদ্যোগে ছ’দিন ধরে হতে চলা বিবেক চেতনা উৎসবের সূচনা হয়েছে। বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাটেও অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
কল্যাণীর রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে জাতীয় যুব দিবস উদযাপন হয়। ১৭টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী দুর্গানাথানন্দ মহারাজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পালন করা হয় দিনটি।