বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

হাইচরিত
মৃন্ময় চন্দ

‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।’ কিন্তু জৃম্ভণ, থুড়ি হাই তোলা দিয়েও কি তা সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে, হ্যাঁ। শুধু চেনা নয়, হাড়ে হাড়ে চেনা যায়। সুন্দরী উদ্ভিন্নযৌবনার দিকে অপলকে চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ বেয়াদপ-বেআক্কেলে হাই হোক কিংবা পরীক্ষা হলে চোতা বার করে গুছিয়ে বসতে গিয়ে জল্লাদ পরীক্ষকের সঙ্গে শুভদৃষ্টির সময় সর্বহারার সব খোয়ানো হাই—একেবারে লাই ডিটেক্টরের মতো সাফ বলে দেবে, উদ্দেশ্য মোটেই সৎ ছিল না। অনিমিখে ‘আতাম্রকুন্তলা-আনীললোচনা-দুগ্ধফেনশুভ্রা-হরিণলঘুগামিনী মহিষী’কে অবলোকনের সময় অনৈচ্ছিক, অবিমৃষ্যকর, অদম্য, অনিবার্য হাই আসলে ‘স্পনটেনিয়াস ইয়ন’ বা স্বতঃস্ফূর্ত হাই। ইচ্ছে করলেই তাকে বাগ মানানো যায় না।
আকস্মিক এই স্বতঃস্ফূর্ত হাই মানুষের কূট গোপন অভিসন্ধি বা মানসিক চাপেরও মূর্ত বহিঃপ্রকাশ। এর একেবারে উল্টো ‘কন্টাজিয়াস ইয়ন’ বা ‘ছোঁয়াচে হাই’। কোভিডের থেকেও যা বেশি সংক্রামক। ট্রেনে-বাসে ঝিমোতে ঝিমোতে, পরম ক্লান্তি আর চরম হতাশায়, ‘হরি দিন তো গেল...’ বলে তুড়ি মেরে যেই একজন হাই তুললেন, মুহূর্তে গোটা কামরায় সকলের মুখ হাঁ। সকলেই হাই তুলতে শুরু করেছেন। যে তন্দ্রাচ্ছন্ন মানুষটি এতক্ষণ লালে-ঝোলে একশা হয়ে পাশের লোকটির গায়ে ঢলে পড়ছিলেন, তিনিও হঠাৎ ঝাঁকুনিতে চোখ খুলে উল্টোদিকে বসা লোকটিকে হাই তুলতে দেখে নিজেও শুরু করলেন। কী আশ্চর্য, সঙ্গে সঙ্গে ঘুম উধাও! ব্যস, বাকি রাস্তা সিধে বসে কূটকচালি, টিপ্পনিতে যাত্রা সমাপন। 
হাই কিন্তু নিদ্রা নয়, জাগরণের প্রতীক। সে ছোঁয়াচেই হোক বা স্বতঃস্ফূর্ত। সংক্রামক হাই, মস্তিষ্কে টোকা মেরে সজাগ করে প্রতিটি মানুষকে। আবার ছোঁয়াচে হাইয়ের কষাঘাতে জবুথবু মানুষটিও ঘুমের দেশের মেদুর পরাবাস্তবতা ছেড়ে মুহূর্তে নেমে আসে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে। প্রচলিত ধারণা, হাই উঠল মানেই ‘সোনা ঘুমল, পাড়া জুড়ল।’ অথচ বাস্তবে হচ্ছে ঠিক উল্টো। শিব্রাম চক্কোত্তির পর্যবেক্ষণে যত ঘুম নাকি পরীক্ষার্থী আর পাহারাওয়ালার চোখেই। তবে তারা সচরাচর হাই তোলেন না। বরং ঢুলতে ঢুলতে নিদ্রাদেবীর কোলে ঢলে পড়েন। তারপর লাঠি বা বইখাতা নিয়ে সটান চেয়ার বা খাট থেকে গড়িয়ে পড়ে ‘পপাত চ, মমার চ!’ কিন্তু এই পরীক্ষার্থী বা পাহারাওয়ালারও চোখ থেকে ঘুম তাড়িয়ে ছাড়ে ছোঁয়াচে হাই।
হাই যেই না মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল আকাশে-বাতাসে, সেই মুহূর্তেই উধাও হয়ে যায় ঘুম। অর্থাৎ আলস্যে যে ঝিমুনি ভাব আসছিল, তাকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে। হাইয়ের কল্যাণে উজ্জীবিত মানুষটিও ঝটিতি তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে সচেতন হয়ে পড়েন। ফলত, কখনও সখনও বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান। যে চোর-ছ্যাঁচড়রা তক্কে তক্কে ছিল একটু বাদে ঘুমিয়ে পড়লেই হাতসাফাই করবে—তাদেরও রণে ভঙ্গ দিতে হয়। হাই তাদের সব কুহকী আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিল যে! 
জৈবিক ঘড়ি বা ‘সিরকাডিয়ান রিদমের’ টিকটিকে রোজ ঘুমের আগে এবং পরে হাই ওঠা নিতান্তই স্বাভাবিক। এছাড়া ভয়ানক ক্লান্তি, অবসন্ন হয়েও তার দেখা মেলে। বাসে ঘুমোতে ঘুমোতে আসার সময় হঠাৎ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার অভিঘাতে কাঁচা ঘুম চটকে গেলেও শুরু হয় হাই ওঠা। বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে হাই তুলতে দেখা যায় পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। পরীক্ষা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুরুদুরু বুকে মোলাকাতের আগে টেনশনে ঘন ঘন হাই উঠছে, এমন দৃশ্য বিরল নয়। এসব থেকে একটাই সিদ্ধান্তে আসা যায়— এক অবস্থা থেকে অন্য একটি অবস্থায় উপনীত হওয়ার প্রাক-মুহূর্তকে স্বাগত জানায় হাই।
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অবশ্য আরও একটু জটিল। হাই তোলার জন্য দায়ী মানব-মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের ‘প্যারাভেন্ট্রিক্যুলার নিউক্লিয়াসের’ বৈদ্যুতিক এবং রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। ক্লান্ত মানুষকে যা পুনরুজ্জীবিত করে। অতিরিক্ত কাজের ভারে যন্ত্র যেমন গরম হয়ে বিকল হয়ে যায়, মস্তিষ্কও তেমন। লাগাতার কাজ করতে করতে ঘেমে নেয়ে লেজেগোবরে হয়ে তা ক্লান্ত ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গাড়ির রেডিয়েটর ঠান্ডা করতে তো জল ঢালা হয়। আর মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অব্যর্থ দাওয়াই একটাই—হাই। আসলে কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করলেই মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সমানুপাতে হ্রাস পায় তার সক্রিয়তা। ঠিক তখনই দেবদূতের মতো এসে হাজির হয় এই শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া।
হাইয়ের ‘বয়স’ কিন্তু বেশি নয়। মাত্র ৪০ কোটি বছর আগে কানকোযুক্ত মাছের আগমনের মাধ্যমেই ধরাধামে এর আগমন। কী হয় হাই তোলার সময়? আচম্বিতে উন্মুক্ত হয় চোয়াল। মাংসপেশির অনৈচ্ছিক সঙ্কোচনে ঘাড় কাত হয়ে চোখ বুজে আসে। সেই কারণেই পাখি উড়তে উড়তে হাই তোলার সময় খানিকটা বাতাস গিলে ফেলে। যদিও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বা অক্সিজেনের বাড়া-কমার সঙ্গে হাই ওঠার কোনও সম্পর্ক নেই। অপাপবিদ্ধ হাই ‘বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছে একা, চির উন্নত শির’।
সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীই হাই তোলে। তবে সব হাই কিন্তু সমান নয়। ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদে মানুষ ও না-মানুষদের হাইয়ের প্রকারভেদের দীর্ঘ ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। বিবর্তনের এই বাই-প্রোডাক্টটি তৃপ্তিদায়ক, তথাপি বিপজ্জনক। হঠাৎ বিরাট হাঁ করে হাই তুললে আশপাশের অন্যান্য প্রাণীদের নজরে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। সেই সময়ে সামান্য অসতর্কতার সুযোগে শত্রু ঝাঁপিয়ে পড়ে বেকায়দায় ফেলতে পারে। কোন প্রাণী কীভাবে, কতক্ষণ হাই তুলবে, তা নির্ভর করে সেই প্রাণীর মস্তিষ্কের ভর এবং কর্টিকাল/প্যালিয়াম নিউরনের সংখ্যাধিক্যের উপর। কিন্তু অন্যকে হাই তুলতে দেখলে সঙ্গে আপনারও উঠতে শুরু করে কেন? বিজ্ঞানীদের মতে, মস্তিষ্কের ‘প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স’ ও ‘সুপিরিয়র টেম্পোরাল সালকাস’ অন্যকে হাই তুলতে দেখলেই বিজাতীয় উত্তেজনায় চেগে ওঠে।
মানুষের বিরল কিছু চারিত্রিক গুণাবলীকে সোচ্চারে প্রকাশ করে অমোঘ এই শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া। একবার হাই উঠলেই, ট্রেনে-বাসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অক্ষম-অসুস্থ সহযাত্রীকে বসার জায়গা ছেড়ে দেয় মানুষ। বজায় থাকে মানুষের মান আর হুঁশের গরিমা। স্নায়ুবিজ্ঞান বলছে, মানবিকতার বিকাশে অনুঘটকের কাজ করে হাই।
জীব-শ্রেষ্ঠ মানুষের মতো বুনো জন্তুজানোয়ারদের হাই তুলে পরোপকারী হওয়ার দৃষ্টান্ত অবশ্য মেলে না। শিম্পাঞ্জি, গৃহপালিত কুকুর, বেড়াল, শুয়োর, হাতি এবং সিংহও হরবখত হাই তোলে। মানুষকে হাই তুলতে দেখে পোষা কুকুর বা শিম্পাঞ্জিও ‘কন্টাজিয়াস ইয়ন’-এর শিকার হয়। সার্জারির সময় জেনারেল অ্যানাস্থেসিয়া চলাকালীন কোনও রোগীর বাহ্যজ্ঞান না থাকলেও সে ঘনঘন হাই তোলে। হাই শুধু মস্তিষ্ককেই শান্ত-সুশীতল করে না, বাড়ায় মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ। সোহাগে আদরে সাইনাস সিস্টেমকেও করে তোলে পরিশীলিত।
মস্তিষ্কের উত্তাপ বাড়লে হাইয়ের প্রাবল্যও  বাড়ে। সে শুধু মানুষ নয়, বাঁদরজাতীয় ‘ম্যাকাকা ফ্যাসিক্যুলারিস’, ‘সিবাস ক্যাপুসিনাস’; ইঁদুর-গোত্রীয় ‘র‌্যাটাস নরভেজিকাস’ বা লাল-কমলা-হলুদ-সবুজের রামধনু রঙে রাঙানো ল্যাজঝোলা টিয়াপাখি ‘মেলোপসিটাকাস আনডুলেটাস’—সকলেরই। কাঁকড়া-খেকো ‘এম. ফ্যাসিক্যুলারিস’ ঘুম পেলে মানুষের মতই জৈবিক ঘড়ির ঘণ্টাধ্বনিতে বারবার হাই তুলতে থাকে। আবার খাঁচার শিম্পাঞ্জি থেকে সাগর-সিংহ ‘ওটারিয়া ফ্ল্যাভসিনস’ বা আফ্রিকার পেল্লায় হাতি ‘লোক্সোডোন্টা অ্যাফ্রিকানা’ শুয়ে বসে আয়েস করে তা তুলতে স্বচ্ছন্দ। দক্ষিণ আফ্রিকার উটপাখিরাও ঘুমনোর আগে হাই তুলতে অভ্যস্ত। মাছ বা পাখির সঙ্গে স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণীর হাই তোলার রয়েছে বিস্তর সাংগঠনিক ফারাক। ‘টারসিওপস ট্রাঙ্কেটাস’ বা বোতল-নেকো ডলফিন কিন্তু নিঃশ্বাস বন্ধ করে হাই তোলে। না হলে জল ঢুকে বিষম লাগবে যে! সরীসৃপদের মধ্যে অবশ্য একমাত্র লাল পা কচ্ছপের (জিওচেলন কার্বোনারিয়া) হাই তোলার প্রমাণ মিলেছে।
টানটান উত্তেজনার মুহূর্তে,অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়তে থাকলে উপর্যুপরি হাই ওঠে। প্যারাট্রুপারের প্লেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে, গায়ক, নর্তকী, নাট্যকর্মীর সেজেগুজে মঞ্চে ওঠার আগে কিংবা শল্যচিকিৎসকের ছুরিকাঁচি হাতে অপারেশন টেবিলের দিকে যাত্রার সময় বাড়তে থাকে হাই ওঠার হার। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কিন্তু শুধু অমৃতের পুত্রকন্যাদের হাই ওঠার হারকেই বাড়ায় না। মনুষ্যেতর স্ত্রী অলিভ বেবুন ‘পাপিও অ্যানিউবিস’ও আশপাশে অন্য একটি ‘সুন্দরী’ স্ত্রী বেবুনকে দেখলে একরাশ বিরক্তি, ও ঈর্ষাপরায়ণতায় ঘনঘন হাই তুলতে শুরু করে। খিদে পেলে বা কোনওরকম শারীরিক বা মানসিক অস্বস্তিতেও বাঁদরজাতীয় প্রাণীরা হাই তোলে। আলফা মেল শিম্পাঞ্জি বা সিংহের দলে প্রথম হাই তোলা শুরু করে দলপতি নিজেই। তারপর তা ঢেউয়ের মত সঞ্চারিত হয় গোটা দলে। 
দলপতির ঠিক তিন মিনিট পরে বাকি সিংহরা হাই তুলতে শুরু করে। নেতা থেকে সাধারণের হাই তোলার মাঝে কেন এই বিরতি? আসলে দলপতির ক্ষণিকের মনঃসংযোগের অভাবে যে কোনও বিপদের মোকাবিলায় তৈরি থাকে গোটা দল। নিজেদেরকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত করে ফেলতে পারার জন্যই বরাদ্দ থাকে ওই তিন মিনিট। নিশ্চিন্তে নির্বিবাদে বনে বিচরণের সময় তথাকথিত শহুরে সভ্য মানুষের ছ্যাঁচড়ামিতে তিতিবিরক্ত হয়ে বুনো শিম্পাঞ্জি বারবার হাই তোলে। খাঁচার পাখিরা ভয় পেয়ে উত্তেজিত হলে হাই তোলার হার বাড়ে। লেমুর জাতীয় ‘স্ট্রেপসিরাইন’ বাঁদর বা সাদা ধেড়ে ইঁদুর (উইস্টার র‌্যাট) ভয় পেলে বা শত্রুর আগমনে বিপদের গন্ধ পেয়ে ঘনঘন হাই তোলে।
পাঁচ মাসের মানবশিশু মুখের বিভিন্ন অভিব্যক্তির সঙ্গে হাইয়ের ফারাক করতে সক্ষম। বুলি ফোটার আগে, একেবারে শৈশবেই শিশু জেনে যায় এই জৈবিক প্রক্রিয়ার রহস্য। মস্তিষ্কের টেম্পোরাল সালকাসে ‘অক্সিহিমোগ্লোবিনের’ প্রাচুর্যেই হাইয়ের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হয়। দেখা গিয়েছে, ঝিমুনি এলে বা ঘুম পেলে ‘ব্রেন মার্কারের’ তাৎক্ষণিক অভাবে বারেবারে হাই ওঠে।
পুরুষ ময়ূরের পেখম বা সিংহের কেশর বা ওরাং ওটাংয়ের দৈহিক আয়তনের বিশালত্বে স্ত্রী-পুরুষের ফারাক খালি চোখে মালুম হয়। গবেষণা বলছে, টেনশন বা আগ্রাসনের সময় এই ধরনের প্রায় সব ‘সেক্সুয়ালি ডাইমরফিক’ প্রাণী হাই তোলার অজুহাতে ‘ক্যানাইন টিথ’ বের করে শত্রু বা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভয় দেখায়। বলে, ‘এই চেয়ে দেখ আমার ‘ক্যানাইন’। আর এক পা কাছে আসিস যদি, তোদের মেরে টুকরো টুকরো করে দেব...!’ হাই তোলার সময় এদের মাড়ি সদম্ভে-সদর্পে প্রকাশিত হয়ে ‘ক্যানাইন টিথ’কে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে। ফলে ভয় দেখানোর কাজটা হয় জবরদস্ত। ১৮৭২ সালে অভিনব এই ঘটনাটিকে প্রথম এত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও লিপিবদ্ধ করেছিলেন চার্লস ডারউইন (দি এক্সপ্রেশনস অব দি ইমোশনস ইন ম্যান অ্যান্ড অ্যানিম্যালস বইতে)। ছোঁয়াচে হাইয়ের ঘনঘটায়, গর্ভবতী মা ন’টা মাস অতিরিক্ত সতর্ক-সাবধানী হয়ে অতিবাহিত করেন। গর্ভস্থ সন্তানকে আগলে রাখতে তাঁর একটু বেশি সাবধানী হওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ যাবতীয় ঝড়ঝাপটা সামলে সন্তানকে সুস্থ শরীরে পৃথিবীতে আনার যাবতীয় দায়িত্বই যে মায়ের কাঁধেই ন্যস্ত। বাবার দায়িত্ব যেহেতু ক্ষণিকের চরম উত্তেজনার গর্ভসঞ্চারেই শেষ। তাই নিজেকে ঠেলে গুঁতিয়ে সজাগ-সচেতন করার কোনও দায় স্বভাবতই তার থাকে না। বাবার অহেতুক হাই তোলাও তাই নিষ্প্রয়োজন। এমনই অদ্ভুত এই প্রকৃতির নিয়ম!
কার্টুন : সেন্টু 

14th     May,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা