বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ

সার্ন-এর গবেষণায় ফিরছেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর জন্য গৌরবের খবর। ‌সুইজারল্যান্ডের সার্ন-এর ‘ঈশ্বরকণা’ প্রকল্পে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন শিক্ষাভবনের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতি। এই খবর জানাজানি হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে খুশির হওয়া। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন মানসবাবু। ‌ফলে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তিনি মানসবাবুকে সাসপেন্ড করেন। ‌এমনকী, ওই প্রকল্প থেকে তাঁকে সরানোর জন্য ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকেও (ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সংক্ষেপে ডিএসটি) চিঠি লেখেন। ফলে, মানসবাবুকে সেই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর তহবিলও বন্ধ করে দেয়। এর জন্য আখেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ক্ষতি হয়েছিল। এরপর মানসবাবু আদালতের দ্বারস্থ হলে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এতে ডিএসটিও তাকে সার্নে গবেষণার জন্য পুনরায় অনুমোদন দেয়। ‌এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি বিশ্বভারতীর নতুন প্রশাসন। 
প্রসঙ্গত, মানসবাবু সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কমপ্যাক্ট মিউওন সলিনয়েডের (সিএমএস) সঙ্গে ২০০৫ সাল থেকে যুক্ত ছিলেন। বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রায় ৩ হাজার বিজ্ঞানী এই আন্তর্জাতিক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এঁদের গবেষণার ফলেই ২০১২ সালে বহু প্রতীক্ষিত হিগস-বোসন কণা (যা ঈশ্বরকণা নামে প্রচলিত) আবিষ্কৃত হয়। সিএমএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন বিশ্বভারতীও এই মৌলিক আবিষ্কারের গৌরবের শরিক। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন বিশ্বভারতীকে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ প্রতি পাঁচ বছরে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিত। এতে ছাত্রছাত্রীদের গবেষণায় উপকারের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সমৃদ্ধ হতো বিশ্ববিদ্যালয়। 
কিন্তু ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকদের আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় তিনি মানসবাবুকে সাসপেন্ড করেন। সেখানেই না থেমে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সেই সাসপেনশনের কথা তিনি ডিএসটিকে জানিয়ে তাকে সার্নের প্রকল্প থেকে সরানোর জন্য চিঠি লেখেন। উপাচার্যের অভিযোগের দরুন ডিএসটি মানসবাবুর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকল্পের অনুমোদন আটকে দেয়। এরপর উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানসবাবু কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে বিচারপতি বিদ্যুৎবাবুকে প্রবলভাবে ভর্ৎসনা করে সাসপেনশন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এরপর বিশ্বভারতীর বর্তমান প্রশাসন মানসবাবুকে ছাড়পত্র দিলে ডিএসটিও পুনরায় তাকে সার্নের প্রকল্পে যুক্ত করে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে যুক্ত হলে ডিএসটি ফের ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। ‌উপকৃত হবে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। এ বিষয়ে মানসবাবু বলেন, সার্নের গবেষণায় ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই প্রকল্পে যুক্ত হলে আগামী দিনে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরাও গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে,  যা আখেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের বিষয় হবে। এই খবরে অত্যন্ত খুশি কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত বলেন‌, এই খবর বিশ্বভারতীর জন্য অত্যন্ত গর্বের। ডিএসটির এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এই গবেষণায় মানসবাবু অংশগ্রহণ করলে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন।• পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতি
11Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

গৃহে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থব্যয় বাড়তে পারে। মনের অস্থিরতা-উত্তেজনা দমন করুন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.০৩ টাকা৮৭.১২ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৩ টাকা১০৭.৯৩ টাকা
ইউরো৮৮.৬২ টাকা৯১.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা