সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেমন হবে, তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নানা দ্বন্দ্ব কাজ করে। তবে, মাথা ঠান্ডা রাখাই সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি বলেই মনে করেন ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিটার। তিনি বলেন, ‘হাতে যে একেবারে সময় নেই, তাও নয়। যারা দশমের পরীক্ষা দিয়েছে, তারা এই পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞ। আর রুটিন লক্ষ করলে দেখা যাবে, দু’টি পরীক্ষার মধ্যে যথেষ্ট সময় রয়েছে। সেই সময়টাও কাজে লাগাতে হবে।’ তাঁর বক্তব্য, পরীক্ষা নিয়ে বেশি চিন্তা স্কুলের এবং তার শিক্ষকদের। ছাত্রছাত্রীরা সারাবছর পড়াশোনা করেছে। এবার মন খুলে তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়াই ভালো বলে মনে করেন তিনি।
শিক্ষকরা সিআইএসসিই এবং সিবিএসই—বোর্ড নির্বিশেষে কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে বলছেন।
সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনার পরিকল্পনা: একটি ‘টাইম স্পেসিফিক স্টাডি প্ল্যান’ থাকা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সিলেবাসের কতটা শেষ করব, তা ঠিক করতে হবে। একজন ছাত্র নিজের সামর্থ্য, যোগ্যতা ও চাপ নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী এটা নিজেই তৈরি করবেন। অন্য কেউ তৈরি করে দিলে, তার সঙ্গে তার মেলানো কঠিন হতে পারে।
রিভিশনের সময় নির্ধারিত রাখা: সিলেবাস শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন রিভিশনের। প্রতিটি অধ্যায় একাধিকবার রিভাইজ করতে হবে। কোনও অধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। শিক্ষকদের সাহায্য নিতে হবে। ধ্যান-ধারণা পরিষ্কার থাকলে সেই অধ্যায়টি নিয়ে উত্তর লিখতে কোনও সমস্যা হবে না।
পুরনো প্রশ্ন সলভ এবং মডেল প্রশ্নে মক টেস্ট: বিগত দিনের প্রশ্নপত্র সলভ করা আবশ্যিক অভ্যাস করে ফেলতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এছাড়াও, বিভিন্ন সেটের প্রশ্ন থেকে তৈরি করতে হবে মডেল প্রশ্ন।