নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনেকটা রাম জন্মের আগেই রামায়ণ লেখার মত। বাচ্চা বড় হওয়ার আগে তাদের কোন পেশায় পাঠানো হবে তা ঠিক করে ফেলেন অনেক বাবা-মা। হাতেখড়ির আগে ঠিক হয়ে যায়, কোন বোর্ডে তাদের পড়ানো হবে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি মূলত দু’টি বোর্ডের সিলেবাস অনুসরণ করে। সিবিএসই এবং আইসিএসই। পড়াশোনা শেষে ছেলেমেয়েদের চাকরির কথা মাথায় রেখে বাছাই করতে হয় কোন মাধ্যমে এবং কোন বোর্ড বা কাউন্সিলের অধীন স্কুলে ভর্তি করা হবে বাচ্চাকে। সিবিএসই এবং আইসিএসই, এই দু’টি সংস্থাই জাতীয়স্তরের। দু’টি সংস্থারই সদর দপ্তর নয়া দিল্লি। বিশ্বের যে কোনও দেশ এই দুই স্বশাসিত সংস্থার শংসাপত্রকে সমান গুরুত্ব দেয়। তবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। অন্যদিকে, কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট একজামিনেশন (সিআইএসসিই) বেসরকারি সংস্থা। কাউন্সিল না কি বোর্ড এই দ্বিধায় থাকা অভিভাবকদের জন্য রইল কিছু তথ্য। সাধারণ হিসেবে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মত সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভাল র্যাঙ্কের আশায় বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের সিবিএসই স্কুলে ভর্তি করান।
একথা অনেকটা ঠিক, এই বোর্ডের পড়ুয়ারা তুলনায় কিছুটা বেশি সফল। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সিআইএসসিই-র সিলেবাসে পাস করা পড়ুয়ারা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। রাজ্যের তথ্য ধরলে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন স্কুলগুলি থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়ে ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায়। একথা অনস্বীকার্য, মেধা থাকলে কোন পড়ুয়া কোন বোর্ডে বা কাউন্সিলে পড়ছে তা আসল নয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মেধাতালিকার ভিত্তিতে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্টে ভর্তি নেওয়া হয়। আলাদা করে সিবিএসই বা আইসিএসই, এরকম কোনও পছন্দ তাদের থাকে না। তবে ইংরেজি মাধ্যমের তুলনায় বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের জড়তা কাটাতে একটু বেশি খাটতে হয়। গ্রুমিংয়ের পর সবাই ঠিক হয়ে যায়।
বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেয় এমন সংস্থাগুলির কাছে সবাই সমান। কলকাতার এমন সংস্থাগুলি জানিয়েছে, তাদের কাছে বোর্ডের কোনও গুরুত্ব নেই। প্রশিক্ষণটাই আসল।