মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
—পিয়ালি ঘোষ, চণ্ডীতলা, হুগলি
বাংলাতে অনার্সের সঙ্গে স্টেনোগ্রাফি জানলে আজকাল চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও দিক খুলে যায় এমনটা কিন্তু নয়। আগে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বা অফিস সেক্রেটারিশিপ-এর মতো চাকরির জন্য এই ধরনের মেলবন্ধন অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে দিত। এখন কম্পিউটারের দুনিয়াতে এই ধরনের কাজের তেমন গুরুত্ব নেই। তাই বাংলাতে অনার্স করে মাস্টার্স সঙ্গে বিএড করে স্কুলে চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন। সেই সঙ্গে বাংলা নিয়ে রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিলে আপনি কয়েক কদম এগিয়ে থাকবেন, সেইমতো প্রস্তুতি এখন থেকে শুরু করুন। আর, বুক পাবলিশিং-এর মতো কোর্স করলেও চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
রবীন্দ্রমুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি। উচ্চতর শিক্ষা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই যোগ্যতা কি গ্রাহ্য হবে?
— ফণী পাল, অশোকনগর, হাবড়া
এই বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর এবং বর্তমান প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক। রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু স্নাতকস্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথাগত পদ্ধতিতে নিয়মিত ক্লাস করে পাশ করা ছাত্রছাত্রী ছাড়া স্নাতকস্তরে ভর্তি নেয় না। আবার, সময়ে সময়ে এই নিয়মেরও পরিবর্তন ঘটে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে প্রথাগত পদ্ধতিতে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে বিএ, বিএসসি, বিকম না পড়ে কোনও বৃত্তিমূলক কোর্সে ভর্তি হোন। যেখানে আপনার ১০, ১০+২-এর প্রাপ্ত নম্বর বা মুক্ত বিদ্যালয় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। দেখবেন, যে সমস্ত ক্ষেত্রে লেখা থাকবে স্বীকৃত বোর্ড থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে আপনাকে বলতে পারি, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্যাটারিং টেকনোলজি আয়োজিত সর্বভারতীয় হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট জয়েন্ট এন্টার্স, ডিপ্লোমা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আয়োজিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স ইত্যাদি কোর্স উপযুক্ত হবে। যেখানে পরবর্তীকালে আপনার ১০ বা ১০+২-এর বোর্ড বা নম্বর নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না।
গণিতে অনার্স গ্র্যাজুয়েট। অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে পাশ করেছি। চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। কী ধরনের চাকরি আমার জন্য ভালো হবে?
— অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাসবিহারী অ্যাভেনিউ, কলকাতা
গণিতে পটু হলে যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আপনি অন্যদের থেকে কয়েক পা এগিয়ে থাকবেন। ইউপিএসসি বলুন বা রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত বিভিন্ন চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে গণিত এবং নিউমেরিক্যাল রিজিনিং-এর অংশ থাকে অনেকটা। তাই আপনাকে পরামর্শ দেব সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস বা ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। কারণ বর্তমানে দুটি পরীক্ষার ধরনের মধ্যে তেমন কোনও তফাত নেই। তবে সেই সঙ্গে সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক বিষয়াবলি জানার জন্য নিয়মিত সাংবাদপত্র পড়ুন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রকাশিত বইগুলো পড়তে থাকুন। আর একটা পরামর্শ দিয়ে রাখি, ইংরেজিতে সড়গড় হওয়ার জন্য অন্তত একটি ইংরেজি দৈনিক নিয়মিত পড়ুন। এতে, সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য সম্ভার বাড়বে, আর সেই সঙ্গে ইংরেজিতেও রপ্ত হতে থাকবেন সমানভাবে।
বিকম পাশ, ট্যালি জানি। আর কোন কম্পিউটার কোর্স করলে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে?
— দিব্যজ্যোতি সাহা, রানাঘাট, নদীয়া
বিকম-এর সঙ্গে ফ্যাক্ট-ট্যালি জানলেই যথেষ্ট। আর নতুন কোনও কম্পিউটার কোর্স করার পরামর্শ দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। তবে, বর্তমানে অ্যাকাউন্টিং-এর সঙ্গে ট্যাক্সসংক্রান্ত বিষয় জেনে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত জিএসটি চালু হওয়ার পর ট্যাক্স কনসালটেন্সি জানা ব্যক্তিদের কদর প্রচুর। যদি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি করতে পারেন, তবে সবচেয়ে ভালো, আর একান্তই তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে ট্যাক্স কনসালটেন্সি করায় এমন কোনও প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করলে ভবিষ্যতে সুবিধে হবে।