শৌণক সুর: একটা সময় ছিল যখন আমরা সবকিছুই খাতায়, ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। দরকারি কাজ, মিটিং, কেনাকাটা-বাজারের লিস্ট, এমনকী মাসকাবারি বিলের বাকি হিসেবও। স্যারের কাছে পড়ার সময়ও খাতা বার করে খসখস করে নোটস নেওয়া ছিল আমাদের অভ্যাস।
বাহন বলতে একটা বাইক বা স্কুটি। তাতে সওয়ার হয়ে কলকাতার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। কখনও বা যেতে হয় পাশের জেলাতেও। এক একটি বাড়িতে সময় লাগে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা, রোগীর সংখ্যা খান দশেক, দক্ষিণা ন্যূনতম পাঁচশো অর্থাৎ দিনের শেষে হাজার পাঁচেক টাকা নিশ্চিত।
মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রকৃতিমাতা আমাদের দেশকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। এখন আমাদেরই ঠিক করতে হবে যে, ১৩০ কোটি জনসংখ্যাকে চালিয়ে নিয়ে যেতে এই সম্পদকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করব। কয়লা, পেট্রল-ডিজেলের মতো চলতি শক্তি ছেড়ে আমাদের আরও বেশি করে বিকল্প শক্তির দিকে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে এই বিকল্প শক্তি তৈরির খরচ এবং তার বিক্রয় মূল্য কী হতে পারে, কী কী চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসতে পারে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা করতেই আমাদের এই আলোচনাসভা, বলছিলেন ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মানসকুমার ঠাকুর। এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং বডি আইসিএআই-এর রাজপুর চ্যাপ্টারের রজতজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে একটি আলোচনাচক্রে। কলকাতার ভারতীয় বিদ্যাভবন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স (বিআইএমএস)-এর সহযোগিতায় এই আলোচনাসভার বিষয় ছিল ‘শক্তির বিকল্প সূত্র- খরচ এবং মূল্য’। বিকল্প শক্তিক্ষেত্র এবং ভবিষ্যতে তার প্রয়োগের বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝে সেই সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করাই ছিল এই সভার উদ্দেশ্য।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট সেন্টার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারস-এর চেয়ারম্যান পি কে মুখোপাধ্যায়। তিনি এর উদ্বোধনও করেন। কি-নোট স্পিকার ছিলেন নরওয়ের স্মার্ট গ্রিড অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জির প্রফেসর মোহনলাল কোলহে। নরওয়ে থেকে তিনি স্কাইপের মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেন। বিআইএমএস-এর প্রিন্সিপাল আর কে পাত্র বলেন, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি ক্রমশ ফসিল ফুয়েল থেকে বিকল্প শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী চার বছরে সরকার একাই বিকল্প শক্তি ক্ষেত্রে ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিযোগ করবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিভিসি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অঞ্জনকুমার দে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি স্টাডিজ-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর রতন মণ্ডল, এম এন দস্তুর কোম্পানির লিড ইঞ্জিনিয়ার শিলাদিত্য ভৌমিক, ডব্লুবিএসইটিসিএল-এর অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার দেবদুলাল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
