প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাস থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৪৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুধু জুলাই মাসে এদিন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৮৮ মিলিমিটার। যা এখানে বর্ষার চাষের পক্ষে পর্যাপ্ত। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ চাটি আমন ধানের চারা রোপণ করে ফেলেছেন। অন্যান্য চাষিরা জমিতে চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৩২ লক্ষ জনসংখ্যার পুরুলিয়াতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ এই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত।
গতবছর এই সময় বৃষ্টির অভাবে মাত্র ১০ শতাংশ চাষি আমন ধানের চারা লাগাতে পেরেছিল। এখনও জুলাই মাসের দশদিন এবং পুরো আগস্ট মাস পড়ে রয়েছে। এই জেলায় ছ’ লক্ষ ২৫ হাজার হেক্টর ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ ১৯ হাজার ৯২৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। গতবছর পাম্পের সাহায্য সহ অনেক চেষ্টা করে দু’লক্ষ ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব হয়েছিল।
এই বিষয়ে জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (তথ্য) সুশান্ত দত্ত এবলেন, এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির যা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি, তাতে এবার বৃষ্টির খামতি নেই। কৃষকদের কাছ থেকে যা খবর পাচ্ছি, ঠিকভাবে ধান রোপণ হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার ভালো চাষ হবে।
এই জেলায় অনেকটা অংশ পাহাড়ি, জঙ্গল এলাকা। জল সংকট কৃষিকাজে এখানে সবচেয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কুয়োর মাধ্যমে ও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাম্পের মাধ্যমে বছরের অন্য সময়ে কিছু কিছু জমিতে ধান, ভুট্টা, বাদাম, কলাই চাষ হয়। বাঘমুণ্ডি এলাকার সুইসা সহ কয়েকটি জায়গায় সারা বছর সবজি চাষ হয়। মূলত বর্ষার আমন ধান জেলার বড় অংশের মানুষের সারা বছরের ভাত, মুড়ির জোগান দেয়।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যা বৃষ্টির প্রবণতা তাতে এ বছর ১০ লক্ষ টন আমন ধান উৎপন্ন হতে পারে। তাহলে উদ্বৃত্ত ধান বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারবেন চাষিরা। এ বছর মার্চ মাস থেকে মে পর্যন্ত ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা জমিকে সরস রেখেছে। সাধারণত ওই সময় গড়ে ১১১ মিলিমিটার হয়।
জেলাজুড়ে আমন চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বলরামপুর, আড়ষা, মানবাজার, বড়বাজার এলাকায়। এছাড়া জেলার সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদনের জায়গা বাঘমুণ্ডির সুইসাতে এই বর্ষার সময়ও মাচা করে লাউ, করোলা, ভেন্ডি, বরবটি চাষ হচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে সবজির আমদানি না হলেও জেলাবাসীর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না বলে মনে করছে কৃষি দপ্তর।