প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
বক্স অফিস
প্রযোজক বনি কাপুরের কন্যা খুশি। বক্স অফিসের হিসেব-নিকেষ সম্পর্কে তিনি অবগত ছোট থেকেই। ছবির জগতে পা রেখে এই বিষয়টা কতটা ভাবায় খুশিকে? তিনি বলেন, ‘আমার সহ অভিনেতাও (জুনেইদ) একজন প্রযোজক। তবে আমি এই বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমি সিনেমার ছাত্রী। আমার কাছে রোজ সেটে যাওয়া স্কুলে যাওয়ার মতোই। সবার কথা শুনে সেরা পড়ুয়া হওয়ার চেষ্টা করি।’
চিন্তিত
জোয়া আখতারের ‘আর্চিজ’ দিয়ে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি খুশির। তারপরই সুযোগ আসে ‘লাভিয়াপা’ ছবিতে। নার্ভাস লাগে? তাঁর কথায়, ‘হ্যাঁ, কিছুটা চাপে আছি। একই সঙ্গে এটা একটা মজার দিকও বটে। মনে হয়, অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই চাপটা কমে যাবে।’
কিশলয়
ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন বুনতেন খুশি। ‘ছোটবেলায় সিনেমার সেটে যেতে হতো। আমার মনে আছে দিদি (জাহ্নবী কাপুর, অভিনেত্রী) আর আমি ভ্যানের চারদিকে দৌড়োদৌড়ি করতাম। সেটের চারপাশে লুকিয়ে থাকতাম। বাড়িতে ডিনার টেবিলেও কথাগুলি ছবিকেন্দ্রিকই হতো। তাই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটা ছোট থেকেই’, বলেন নায়িকা।
ভাই-বোন
জাহ্নবী হোক বা সোনম, অর্জুন কাপুর বা হর্ষবর্ধন— অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ভাই-বোনেদের পথ ধরেই কি খুশির অভিনয়ে আসা? ‘কাউকে অনুসরণ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। সকলের আলাদা জার্নি রয়েছে’, বললেন খুশি। ওদের সঙ্গে দেখা হলে কি সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনাই হয়? নায়িকার কথায়, ‘না, না। আমরা অন্যান্য সাধারণ পরিবারের মতোই। তবে সবসময় মানুষ আমাদের উপর নজর রাখেন। আমরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়েই কথা বলি।’
সিনেমায় পা
সিনে দুনিয়ায় পা রাখতে দেরি হয়েছে বলে মনে করেন? খুশির জবাব, ‘একেবারেই নয়। ১৯ বছর বয়সে ‘আর্চিজ’-এর জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। তার আগে এক বছর একটি ফিল্ম স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ডেবিউ করার তাড়া ছিল না।’
শ্রীদেবী কন্যার চাপ
শ্রীদেবীর কন্যা। এই পরিচয় কি চাপ দেয়? নায়িকা বললেন, ‘এমন একটি পরিবারের সদস্য হলে, স্বাভাবিকভাবেই একটা চাপ আসে। তবে আমি সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করি না। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। আমার মা চার বছর বয়সে কাজ শুরু করেছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে তুলনার কোনও মানেই হয় না।’ শ্রীদেবী কখনও চাননি তাঁর সন্তানরা সিনে দুনিয়ায় আসুক। এ নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। কন্যাদের এ বিষয়ে কিছু বলেননি? খুশির কথায়, ‘অভিনেতাদের জীবনে অনেককিছুর সম্মুখীন হতে হয়। মা হয়তো এগুলি থেকে আমাদের রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তাই বলেছিলেন।’ মায়ের কোনও ছবির রিমেকে কাজ করতে চান খুশি? ‘না। একেবারেই না। আমার মনে হয় না ওই চরিত্রগুলির প্রতি আমি সঠিক বিচার করতে পারব।’
জাহ্নবীর সঙ্গে আলোচনা
দিদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে নানা আলোচনা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে। জাহ্নবীর সঙ্গেও কি সত্যিই প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্ক খুশির? নায়িকা বলেন, ‘দিদি আমার ব্যাপারে সবই জানে। তাই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওর সঙ্গে আলোচনা করি। অনেকেই ভেবে নেয় ইন্ডাস্ট্রিতে দুই বোন থাকলেই, তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। এর কোনও মানে নেই। আমাদের কোনও প্রতিযোগিতা নেই।’ জাহ্নবী দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেছেন। আপনিও কি ওই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চান? খুশির জবাব, ‘এখনই এটা বলা সম্ভব নয়। গল্প যদি ভালো হয়, চরিত্রটিতে যদি আমাকে মানিয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই করব।’