সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
নিজের সঙ্গে মিল
কয়েক মাস আগে মুক্তি পেয়েছে রিমা কাগতির ‘সুপারবয়েজ অফ মালেগাঁও’। শশাঙ্কর কেরিয়ারে এই ছবির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ‘গল্পটা এমন এক মানুষকে ঘিরে, যে খুব বেশি সুযোগ সুবিধে পায়নি। রিমা পরিচালক এবং লেখক হিসেবে দুর্দান্ত। তাই একজন অভিনেতা হিসেবে ওর সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ’, বললেন শশাঙ্ক। এই ছবিতে চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছেন শশাঙ্ক। তাঁর কথায়, ‘আজকের যুগে সরল, কোমল চরিত্রে অভিনয় করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ সমগ্র দুনিয়া এখন অসংবেদনশীল, আর ক্রোধের আগুনে জ্বলছে। আমি চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে রিলেট করতে না পারলে করি না। এই ছবির ক্ষেত্রে গল্প শোনার সময়ই নিজেকে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম।’
সুস্থ পৃথিবী
যে কোনও পরিস্থিতিতে মন ভালো রাখার উপর জোর দেন শশাঙ্ক। তিনি এক সুস্থ, সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। ‘আমি এমন এক দুনিয়া চাই যেখানে কেউ কাউকে মারবে না, একে অপরের প্রতি শুধু ভালোবাসা থাকবে। এটাই আমার আকাশ। আমি যেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখব যে কাগজে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। সেদিন সবথেকে বেশি খুশি হব’, বললেন অভিনেতা।
ভালোবসে অভিনয়
দর্শকের হাততালি শশাঙ্কর কাছে আশীর্বাদের মতো। ভালোবেসে অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন। সাফল্য সেই যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। হেসে বললেন, ‘আমি কখনও খ্যাতি পাব বলে অভিনয় জগতে আসিনি। অভিনয়কে ভালোবেসেই এসেছি। দর্শক আমার কাজ দেখে প্রশংসা করলে ভালো লাগে। কিন্তু তার উপর আমার কাজ নির্ভর করে না।’
প্রতিযোগিতায় আপত্তি
অভিনয় শশাঙ্কর মতে এমন এক শিল্প যেখানে কোনও প্রতিযোগিতার অর্থ নেই। সেকারণেই লাইমলাইটে আসতে দেরি হলেও তা নিয়ে তাঁর আপশোস নেই। স্পষ্ট বললেন, ‘আমি এখানে কোনও রেসে দৌড়তে আসিনি। যাঁরা দৌড়বেন, তাঁদের শুভ কামনা। শিল্পকে ঘিরে প্রতিযোগিতা করা যায় না। এসব নিয়ে ভাবলে আমি লিখতে বা অভিনয় করতে পারব না।’ লেখক, অভিনেতা, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যেই কাজ করেছেন শশাঙ্ক। এবার কি তাহলে পরিচালনা করবেন? স্মিত হেসে বলেন, ‘পারিশ্রমিক পেলে নিশ্চয়ই পরিচালনা করব। একটা গল্প লিখছি। পরিচালনা করার ইচ্ছে আছে।’