গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
ছবির গল্পে বন্ধুত্ব থেকে পেশাদার জগৎ আলাদা করা কঠিন ছিল?
প্রথমে অর্জুনের অসুস্থতার বিষয়ে বিশদে জানতাম না। পরে জেনেছি। কিন্তু স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ ওকে পড়তে দিইনি। শ্যুটিংয়ের কয়েকটি দৃশ্যেও আসতে বারণ করেছিলাম। মনে হয়েছিল ওর জন্য চাপের হবে।
ইরফান খানকে মিস করেছেন?
ভীষণ। আসলে ইরফান মানসিক যুদ্ধে আগেই সারেন্ডার করে দিয়েছিল। ইরফান চলে যাওয়ার পর এই স্ক্রিপ্টটা লিখেছি। ও থাকলে, রোলটা ও-ই করত।
অভিষেককে কেন নিলেন?
অভিষেকের মধ্যে আমি জয়া ভাদুড়ির ছায়া দেখেছি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে শুধু চোখ দিয়ে কথা বলা। সিনেমায় সেই ঝলক দেখতে পাবেন। লেখার সময়ই ওর কথা মনে হয়েছিল।
বিশেষ কিছু বলেছিলেন অভিষেককে?
আমরা একসঙ্গে ফুটবল খেলি। অভিষেক টিমের ক্যাপ্টেন। ওকে বলেছিলাম, ফুটবলে তুই আমার ক্যাপ্টেন। সেটে আমি তোর ক্যাপ্টেন।
অমিতাভের সঙ্গে দু’টি ছবি। এবার অভিষেক। কাজের ক্ষেত্রে দু’জনের কোনও বিশেষত্ব?
অভিষেক অনেক কিছু বাবার থেকে শিখেছে। ডিসিপ্লিন, সেটে সবাইকে কীভাবে সম্মান করতে হয়—সেটা দু’জনের থেকেই শেখার।
বড়পর্দায় অঙ্ক কষে সিনেমা রিলিজ করতে হয়?
হ্যাঁ, এখানে ক্যালকুলেটিভ হতেই হয়। তাছাড়া কোভিডের আগে ও পরের সময়ে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। সেটা একটা বড় শিক্ষা।
নার্ভাস লাগে?
ন্যূনতম কত টাকা উঠবে, সেই অঙ্কটা করতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে যাই (হাসি)।
বাঙালি দর্শকের কাছে বিশেষ কোনও প্রত্যাশা?
ওরে বাবা! অনেক প্রত্যাশা। যাঁরা ‘অক্টোবর’, ‘পিকু’, ‘ভিকি ডোনার’ দেখেছেন, তাঁরা এটাও দেখবেন। তবে এক শ্রেণির বাঙালি শুধু সিরিয়ালে পারিবারিক গল্প, ঝগড়া, গয়নার জাঁকজমক দেখতে ভালোবাসেন (হতাশ ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন)।
গল্প বলার ক্ষেত্রে বাবা-মেয়ের সম্পর্কটা এত স্পেশ্যাল কেন?
এটা প্ল্যান করে করিনি। তবে বাবা-মেয়ের সম্পর্কে মেয়েদের মধ্যে কিছু বাড়তি সেনসিটিভিটি কাজ করে। ছেলেদের মধ্যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ একটু কম।
আপনি তো নিজেকে কোচ বলেন? একজন কোচের কী কী গুণ থাকতে হবে?
সামনে যে বসে আছে, তাকে প্রাণখুলে কথা বলতে দিতে হবে। তার কথা শুনতে হবে। তার ভিতরে কী চলছে, বুঝতে হবে।
শ্যুটিংয়ে নিজে অভিনয় করে দেখান?
প্রত্যেকটা সিন অভিনয় করে দেখাই। এমনকী মিস্টার বচ্চনকেও। ওঁর সামনে অভিনয় করে দেখাতে ভয় লাগে যদিও (হাসি)। আসলে উনি একটু দেখে বুঝে নেন যে আমার মাথায় কী চলছে। তারপর নিজেই করেন।
সিক্যুয়েল এখন ট্রেন্ডিং। আপনি করবেন?
না। অনেকে এই সিনেমাটা দেখে বলছেন, ‘পিকু’র মতো হলে বেশ ভালো হতো। তাঁদের প্রত্যেককে বলেছি, তাহলে তো ‘পিকু-২’ বানাতাম, এটা বানাতাম না।
বাংলায় ছবি করার কথা ভাবছেন?
এই ছবিটাও আসলে তো বাংলা ছবিই (হাসি)। তবে বাংলায় কিছু ছবি প্রযোজনা করেছি। পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে।
‘শ্যুবাইট’ ছবিটার কী হল?
এই ছবিটা নিয়ে অমিতাভ বচ্চনও একাধিবার জিজ্ঞাসা করেছেন—‘কী রে, কী হল?’ আমাকে তখন লুকিয়ে বেড়াতে হয়। ওঁর সঙ্গে প্রথম ছবি আমার। সেটাই রিলিজ হয়নি। ওটা এখনও ক্যানবন্দি।
মোহন বাগান নিয়ে ছবি করার কথা ছিল?
হ্যাঁ, এখনও কিছু প্ল্যান করিনি। তবে ফুটবল নিয়ে ছবি করব।
কলকাতায় এলে কোন কাজ করতেই হবে?
প্রায়োরিটি ওয়াইজ বলছি... বাজার করা, বাগবাজার ঘাটে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা, ফুটবল খেলা।
মুম্বই ফেরার আগে কী সঙ্গে নিলেন?
কলমি শাক। ওটা মাস্ট। মুম্বইতে তো পাওয়া যায় না। (হাসি)