পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
অভিনেতা হওয়ার বাসনা কি বরাবরই ছিল? মুকুলের জবাব, ‘তা ঠিক নয়। তবে স্কুল, কলেজ এমনকী চাকরি জীবনেও আমি মঞ্চে প্রচুর অভিনয় করেছি। নিউইয়র্কে থাকাকালীন একটা থিয়েটার গ্রুপ তৈরি করেছিলাম। ওখানকার এক নামজাদা নাট্য প্রতিষ্ঠানে আমি অভিনয় শিখেছি। অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল, তা জানতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে অনুভব করলাম যে এই ঝোঁকটা অনেক বেশি। তাই সব ছেড়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে মুম্বই চলে আসি।’ সুরক্ষিত জীবন ছেড়ে অনিশ্চয়তার জীবন বেছে নিতে ভয় করেনি? ‘ঝুঁকি ছিল। স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। কাজ খুঁজতে হয়েছিল। আজও আমি স্ট্রাগল করে চলেছি।’
মুকুলের স্ত্রী রসিকা দুগ্গল বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী। স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম জুটি তিনি ‘ফেয়ারি ফোক’ ছবিতে অভিনয় করেন। শ্যুটিংয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? মুকুলের জবাব, ‘আমি আর রসিকা এই ছবিতে দম্পতি। তাই আমাদের জন্য ছবিটা স্পেশাল। রসিকা অভিনেত্রী হিসাবে তুখোড়। ভালো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার আনন্দ সবসময় আলাদা। ওকে আমি সবসময় সম্মান করি। ওর প্রতি আমার আলাদা এক আস্থা আছে।’ ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে রসিকার সঙ্গে কি সৃজনশীল মতভেদ হয়? সশব্দে হেসে অভিনেতা বলেন, ‘আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ নিয়ে কথা বলি। একসঙ্গে বসে ছবি দেখি।’
চাকরি জীবন ছেড়ে পেশাদার অভিনেতা হওয়ার ভালো এবং মন্দ দিক কী? মুকুলের জবাব, ‘অভিনেতা হওয়ার সুবিধে হল, বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচার স্বাদ পাওয়া যায়। আর এই পেশার মন্দ দিক হল, অভিনেতার জীবন বড়ই অনিশ্চিত। আজ অনেক কাজ আছে। কাল কোনও কাজ না থাকতেও পারে। কোনও কিছু নিয়েই পরিকল্পনা করা যায় না।’
দেবারতি ভট্টাচার্য • মুম্বই