সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
কোথায় হারিয়ে গেলেন আচমকা?
(হাসি) আমি এক ডাক্তারের প্রেমে পড়েছিলাম। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যা ছিল সে সময়। সে সব শুনতে শুনতেই ভালোবেসে ফেললাম। আসলে যা হয়, বয়স কম। তখন উনি ম্যাঞ্চেস্টারে ডাক্তারি করছেন। হুট করে বিয়ে করে ফেললাম। ব্যাস...।
এখন বাংলা ছবি দেখেন?
দেখি, তবে অনেক কম। আসলে ইন্ডাস্ট্রিটা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ভালো গল্প, ভালো অভিনয়ের ভীষণ অভাব। সে কারণে মানুষ তেমন সিনেমাও দেখছে না। যে দরদ সুচিত্রা সেন, ছবি বিশ্বাস থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ পর্যন্ত ছিল, এখন তা নেই। থাকলেও ক’জন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালনা করেন? ক’জন অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মতো অনবদ্য উপস্থাপনা করতে পারেন?
আবার ছবিতে কাজ করবেন?
কয়েকজনের সঙ্গে কথা চলছে। সম্প্রতি পরিচালক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ‘দোআঁশ’ ছবিটি করেছেন, উনি ফোন করে জানালেন আমায় কাস্ট করতে চান। স্ক্রিপ্ট শুনেছি, দেখা যাক। রাজু দেবনাথ নামে আর এক পরিচালক একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে আমাকে ভেবেছেন। সকলে ‘ছোটবউ’ দেবিকাকে দেখে অভ্যস্ত, আমি চাই মানুষ আমার গ্ল্যামার সরিয়ে রেখে অন্যরকম চরিত্রেও আবিষ্কার করুক।
দীর্ঘদিন সুযোগ না পেয়ে মনখারাপ লাগেনি?
বিয়ে করে বিদেশে গিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতাম। দম বন্ধ হয়ে আসত।
একসময় যাঁরা দাপিয়ে অভিনয় করেছেন, এখন তাঁরা কেন বাতিলের খাতায় বলে মনে হয়?
প্রথমত সিনেমার সংখ্যা কমে এসেছে। দ্বিতীয়ত দলবাজি। প্রযোজকরা আসতে ভয় পাচ্ছেন। যে পরিচালকদের কাছে আসছেন তাঁরা শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। এখনকার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও জানেন জায়গা টিকিয়ে রাখা, কাজ পাওয়া মুখের কথা না। সে কারণে নিজেরাই প্রযোজনা সংস্থা খুলছেন। নিজেই প্রযোজক, নিজেই নায়ক, নিজেই পরিচালক। এখন সিনেমা মানেই ব্যবসা। শিল্প কই?
এখন প্রচুর অ্যাক্টিং স্কুল, আপনি এমন কিছু ভেবেছেন?
আমার নাম করে, ছবি দিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছিল। আমি আপত্তি করিনি। কেউ কেউ আমার কাছে শিখতে চাইলেন। সাত-দশদিন চলার পর আমার সঙ্গে সেই সংস্থা আর যোগাযোগই করেনি, এ ঘটনা ঘটেছে। শুধু বিজ্ঞাপনের জন্য আমায় ব্যবহার না করে যদি তাঁদের অভিনয় শেখানোর ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখতেন, তাহলে স্কুল চলত। তবে নিজের স্কুল করার কথা ভাবিনি কখনও।
ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্ক ভাঙা-গড়াকে কীভাবে দেখেন?
আমার তিরিশ বছরের বিবাহিত জীবন। শাশুড়ি চাইতেন তাঁর ছত্রছায়ায় থাকি। আমি সেটা পারিনি বলেই আলাদা ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেসময় রটে গিয়েছিল আমি ডিভোর্স করেছি। আসলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জানতে হয়। এখন বেশিরভাগের মধ্যেই ধৈর্যের অভাব। দায়িত্ব নিতে চায় না। নির্দিষ্ট করে ইন্ডাস্ট্রির কথা বললে বলতে হয়, এখন সবাই গ্ল্যামারের প্রেমে পড়ে। দু’দিন পর আরও উজ্জ্বল কাউকে পেলে মোহ-র সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কও ভেঙে যায়।
ছবি: সায়ন চক্রবর্তী