সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
প্রতিভাবান
‘তিকড়ম’ ছবিতে এক ঝাঁক শিশুশিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন অমিত। শিশুদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? অভিনেতা বলেন, ‘আমার ছবির বাচ্চারা খুবই প্রতিভাবান। এটা আমার সৌভাগ্য। কখনও কখনও মনে হয়েছে যে আমার থেকেও ওরা ভালো অভিনেতা।’
ছেলেবেলা
এই সিনেমার সূত্র ধরে উঠে আসে অমিতের ছেলেবেলার কথা। কানপুরে বড় হয়েছেন তিনি। সে সময়ের কথা উঠতেই আনমনা হয়ে অভিনেতা বলেন,‘আমি ছোটবেলায় খুবই ডাকাবুকো ছিলাম। তবে পড়াশোনাতে ভালো ছিলাম। কানপুরে আমি যে স্কুলে পড়তাম, মা সেই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান এবং হিন্দির শিক্ষিকা ছিলেন। তাই স্কুলে এবং বাড়িতে মায়ের কড়া অনুশাসনের মধ্যে থাকতে হতো। মায়ের হাতে প্রচুর মার খেয়েছি। তবে মা আমাকে পড়াশোনার বাইরে খেলাধুলা, অভিনয় সহ আরও নানান কিছু করার জন্য প্রেরণা দিতেন। যৌথ পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা।’
দেরিতে শুরু
মুম্বইতে নিজের অভিনয় জীবন অনেকটাই দেরি শুরু করেছেন বলে মনে করেন অমিত। তাঁর কথায়, ‘পেশাদার অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি দেরিতে নিয়েছিলাম। প্রায় ৩০ বছর বয়সে আমি মুম্বইতে এসেছিলাম। তার আগে দিল্লিতে চাকরি করতাম। একসময় অস্ট্রেলিয়ার এক রেস্তরাঁতে আমি বাসন ধোওয়ার কাজও করেছি। সাত মাস পর প্রোমোশন পেয়ে আমি ওয়েটার হয়েছিলাম। আমি তখনও খুশি ছিলাম। কিন্তু দিশেহারা লাগত। সঠিক পথ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।’ অভিনয় শুরু করার পর অমিত সিদ্ধান্ত নেন এর শেষ দেখবেন। তিনি বলেন, ‘রণদীপ হুডার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। ও আমাকে তনুজা চন্দ্রার ছবি ‘হোপ অ্যান্ড এ লিটল সুগার’-এর মূল চরিত্রে সুযোগ করে দেয়। মুম্বই আসার মাত্র দশ মাসের মধ্যে আমি সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ছবিটা চার বছর পর মুক্তি পেয়েছিল।’
ডিপ্রেশন ফ্যাশন
জীবনে কখনও কি অবসাদ ঘিরে ধরেছে? প্রথমে চুপ করে থাকলেন অমিত। তারপর বললেন, ‘ডিপ্রেশন এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ডিপ্রেশন কখনও হয়নি। তবে অনেক সময় হতাশ হয়েছি। মন খারাপ হয়েছে। আমি মনে করি জীবন একটা ‘গেম’। গেম ভালো ভাবে খেললে জীবনে এগবেন। বেশি পরিকল্পনা করলে বা বুদ্ধি খাটালে জীবনে কিছুই হবে না। জীবনে এখন যা পাই, তাতেই খুশি থাকি। কোনও কিছুর পিছনে দৌড়নো বন্ধ করে দিয়েছি।’
স্মৃতিতে কলকাতা
কলকাতা মানেই অমিতের মনে হয় বাঙালি খাবার। সেই স্বাদ পেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের সৌজন্যে। সেই ঘটনা শেয়ার করে বললেন, ‘কয়েক বছর আগে নাসিরুদ্দিন শাহর সঙ্গে নাটক করতে কলকাতা গিয়েছিলাম। আমাদের শো খুবই প্রশংসিত হয়েছিল। নাসির ভাই আমাদের সবাইকে নিয়ে ডিনার করাতে একটা ঘরোয়া বাঙালি রেস্তোরাঁতে গিয়েছিলেন। বাঙালি খাবার আমার দারুণ প্রিয়। সর্ষে মাছ, পাতুরি, কাটলেট খেতে খুবই ভালোবাসি।’