সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
অভ্যান জীবন বদলেছে
লকডাউনের সময় বিয়ে, সন্তান নিয়ে ঘোরতর সংসারী হয়ে পড়েন দিয়া। তবে পুত্র সন্তান অভ্যানকে জন্ম দেওয়ার সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সে প্রসঙ্গে দিয়া বলেন, ‘কোভিডের কারণে হাসপাতালে যথাযথ পরিষেবা পাইনি। আর তাই প্রেগন্যান্সির ছয় মাসেই আমাকে বাচ্চার জন্ম দিতে হয়েছে। যথোপযুক্ত সুবিধা পেলে আমাকে হয়তো এদিন দেখতে হতো না। আমার ছেলে তিন মাস আইসিইউতে ছিল। সপ্তাহে মাত্র একদিন ছেলেকে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আমাকে। অভ্যান আসার পর আমার জীবন বদলেছে।’
সৌন্দর্য বাধা
দু’দশকের বেশি সময় ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েছেন দিয়া। নানান বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। হতাশার সুরে বললেন, ‘আমি সবসময় সেইসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি, যাঁরা অন্য ধারার ছবি তৈরি করেন। কিন্তু আমার সৌন্দর্য সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়াত। পরিচালকরা আমাকে ‘মেইনস্ট্রিম লুক’ বলে ভালো ছবি অফার করতেন না। অনেক ভালো ছবি আমার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে, কারণ নির্মাতাদের মতে আমি অত্যন্ত বেশি সুন্দর। অনেকের আমাকে অহংকারী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এটা আমার জীবনের ট্র্যাজেডি।’
কষ্ট দেয়
কথায় কথায় উঠে আসে বয়কট গ্যাং, ট্রোলিং, বডি শেমিংয়ের কথা। দিয়া বলেন, ‘দেশ তথা সারা দুনিয়ার রাজনীতির ভাষা এখন অত্যন্ত কুৎসিত, আর নেগেটিভ। আমরা মানুষকে শুধু বিনোদন দিতে চাই। আর সমাজের বুকে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। কিন্তু আমরা কিছু মানুষের সফট টার্গেট হয়ে উঠেছি। এসব আমাদের কষ্ট দেয়। কিন্তু অসংখ্য মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। সারা দুনিয়াতে ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি বডি শেমিং, ব্যক্তিগত আক্রমণ, ট্রোলিংয়ের শিকার হন। এটা সত্যি ভয়ঙ্কর। তবে আমি মনে করি এসবকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজটা করে যেতে হবে।’
দেবারতি ভট্টাচার্য • মুম্বই