বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
রেজাল্ট দেখে মুখে হাসি মৌমিতা গুপ্তর। থুড়ি ‘বৈদেহী’র। ‘জগদ্ধাত্রী’র অন্যতম প্লেয়ার তিনি। টিআরপি-র রেসে জায়গা দখল আসলে টিম গেমের ফল। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে ‘জগদ্ধাত্রী’র গল্পে ‘বৈদেহী’ নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। কেরিয়ারে প্রায় ৩৫ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর কেমন লাগে এই সাপ্তাহিক সাফল্য? মৌমিতার জবাব, ‘অবশ্যই ভালো লাগে। তবে বিনয়ের সঙ্গে গর্ব না করে বলছি, ঈশ্বরের কৃপায় আমি যেসব ধারাবাহিক করেছি তা সবসময় প্রথম সারিতেই থাকে। তবু মনে হয় না আমি বহু বছর ধরে কাজ করছি। প্রতি ধারাবাহিকেই একঝাঁক নতুন শিল্পীকে পাই। তাদের সঙ্গে যেভাবে মিশে যাই, মনে হয় আমিও নতুন। প্রতিদিনই নতুন কিছু শেখার আছে।’
‘বৈদেহী’কে কার আদলে তৈরি করলেন? এমন মানুষ বাস্তবে দেখেছেন? ‘বৈদেহীর স্বামীর একটা পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। ওর ছেলেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। এই দুটো অংশ বাদ দিলে বৈদেহী আমার মতো। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। অনেক সময় অনেক অন্যায় দেখেও ঝামেলা করব না বলে প্রতিবাদ করিনি।’
শ্যুটিংয়ের অবসরে মেকআপরুমে জমাটি খাওয়াদাওয়ার আসর বসে। সেই গল্প ভাগ করে নিলেন মৌমিতা। বললেন, ‘জগদ্ধাত্রী খুব মিষ্টি মেয়ে। তাপসী রায়চৌধুরীর কথাও বলব, আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। একসঙ্গে শ্যুটিং থাকা মানেই খাবার তৈরি করে নিয়ে আসবে ও। একেবারে পারিবারিক মুহূর্ত তৈরি হয়ে যায়।’
এ সপ্তাহে না হয় ভালো রেজাল্ট হয়েছে। কিন্তু পরের সপ্তাহেও তা ধরে রাখা যাবে তো? প্রতিদিনের কাজে সেই চিন্তা থাকে? মৌমিতা স্বীকার করলেন, ‘বৃহস্পতিবার একটু টেনশন হয়। টিআরপি একটা বড় বিষয়। এক নম্বর, দু’নম্বরে থাকার চাপ থাকে। কিন্তু আজও কোনও কোনও দৃশ্য করার আগে মনে হয় পারব তো? দু-তিন রকমের মুড একসঙ্গে ধরে রাখার চাপ এখনও আছে। এখনও মনে হয় নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’