সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
প্রথম নাটকে কণিষ্ক-লিপি দুই চরিত্রেরই দ্বিধা, দূরত্ব, একে অপরের প্রতি আড়ষ্টতা কাটিয়ে উভয়ের আত্ম-আবিষ্কার স্বল্প পরিসরে বেশ মার্জিত অথচ ঘরোয়া সংলাপে পেশ করেছেন সৌভিক। অমিতাভ মুহুরি নির্দেশিত নাটকটি বিষয়ের ভারে কিছুটা হলেও গতি মন্থরতায় ভুগেছে। মঞ্চ ছাড়িয়ে প্রযোজনাটির পরিসর বাড়াতে গিয়েই এহেন বিপত্তি। বিজন চক্রবর্তী (কণিষ্ক) ও গার্গী দাশগুপ্তও (লিপি) তাই কম্পোজিশন সচেতন হতে গিয়ে অভিনয়ে অমনোযোগী হয়ে পড়েন মাঝেমধ্যেই। তবে গার্গীর সুরেলা গলায় গাওয়া গান এই নাটকে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।
দ্বিতীয় নাটকে সৌভিক শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বইয়ে দেন টানটান নির্মেদ গল্প বুননের মুন্সিয়ানায়। পুত্র হত্যার প্রতিশোধে প্রৌঢ়া অন্নপূর্ণা কীভাবে নিজের ভগ্নপ্রায় বাড়িটিকে ব্যবহার করেন সেই রহস্য শেষ দৃশ্য পর্যন্ত বজায় থাকে। প্রযোজনাটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে অন্নপূর্ণা চরিত্রে বিজলি সরকারের দাপুটে অভিনয় নৈপুণ্যে। সমান সাবলীল অমিতাভ মুহুরি (সনাতন বটব্যাল)। আর অনুপ সাহা (বাসুকী) যেন মূর্তিমান বিভীষিকা। তিনিই এই নাটকের পরিচালক।
এমন একটি হাড়হিম করা থ্রিলারের পর প্রসন্নতার খোলা হাওয়া বইয়ে দিল গার্গী দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘চিনি ছাড়া লিকার’ নাটকটি। সৌভিকের কলম এক্ষেত্রে অনুপ্রাসে অনুপ্রাণিত। বাছাই করা শব্দ ব্যবহার, গতিময় সংলাপ এবং দ্রুত পট পরিবর্তনের চমক দিয়ে একটি সার্থক কমেডি নির্মাণ করেছেন নাটককার। অভিনয়েও যে তিনি কতটা দক্ষ অতুল চরিত্রটির চলনেই তার প্রমাণ রেখে যান। মণি, অনিমেষ যথাক্রমে শ্রীমতি মুখার্জি ও অনুপ সাহা যৌবনের উৎসবকে মঞ্চে উদযাপন করে চলেন। ওঁদের এই এনার্জিটাই প্রযোজনাটির সম্পদ। সমান সঙ্গত করেন চাওয়ালা মৃন্ময় সাহাও। কমেডির কেরামতি টাইমিং-এ। সেই সময়জ্ঞানকে অভিনয় ও পরিচালনায় দুই বিভাগেই দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন গার্গী। তিনটি নাটকেই মঞ্চ (প্রশান্ত দত্ত), আলো (সাধন পাড়ুই) ও আবহ (বিপুল পাল) যথাযথ।