সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
মহাশূন্যকে চেনা এবং জয়ের প্রচেষ্টা মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ পৃথিবীর কক্ষপথে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। সেই সব দেশের মহাকাশচারীরা মহাকাশে বাসও করেছেন বেশ কয়েকমাস। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থতম দেশ। আমাদের দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফে ইতিমধ্যেই ‘গগনযান’ নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। ২ থেকে ৩ জন নভশ্চর ওই গগনযান নামে এক মহাকাশযানে থাকবেন এবং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবেন। যাত্রার ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে আবার পৃথিবীতে ফিরেও আসবেন তাঁরা।
রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি আগেই সফলভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ করেছে। ১৯৮৪ সালে রাশিয়ার মহাকাশচারীদের সঙ্গে এমনই এক মহাকাশ যাত্রায় সঙ্গী হয়েছিলেন ভারতের রাকেশ শর্মা। এছাড়াও আমেরিকার নাসার তরফে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কল্পনা চাওলা ও সুনীতা উইলিয়ামসের মহাকাশ অভিযানের কাহিনি সকল ভারতীয়ই জানেন। তবে সম্পূর্ণভাবে ভারতের বিজ্ঞানীদের একক প্রচেষ্টায়, মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠানোর চেষ্টা এই প্রথমবার হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এই কাজে বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণা, প্রযুক্তিবিদদের অক্লান্ত পরিশ্রম যুক্ত হয়েছে।
শুরুর কথা
২০০৭ সাল নাগাদ ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ঠিক করেন, মহাকাশে ভারত একটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযান পাঠাবে। সেই যানে থাকবেন ভারতেরই মহাকাশবিদরা।
এরপর চলেছে বহু আলোচনা। হয়েছে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আপাতত জানা যাচ্ছে ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ভারতের তরফে মহাকাশে পাঠানো হবে ‘গগনযান’।
গগনযান নিয়ে ভারত তো বটেই তার সঙ্গে সমগ্র পৃথিবীতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর তার কারণও রয়েছে।
সাধারণত রকেটের সঙ্গে উপগ্রহ জুড়ে সেই রকেটকে মহাকাশে পাঠানো হয়। পর পর নানা প্রক্রিয়ায় এক সময় মহাকাশে নির্দিষ্ট উচ্চতায় সেই উপগ্রহ পৌঁছয় ও পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
কিছুদিন পরে উপগ্রহটির কাজ শেষ হয়ে গেলে সেই উপগ্রহটি পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকে বা ধীরে ধীরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে প্রবেশ করে ও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তবে, গগনযানে মহাকাশচারীরা মহাকাশে যাবেন, কয়েকদিন থাকবেন ও কাজ শেষ হলে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরেও আসবেন। এই জটিল কাজটি কোনও সমস্যা ছাড়াই করার জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির। বিশেষ করে রকেটের সাহায্যে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর চাইতেও মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। কারণ পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে কোনও বস্তু যখন প্রবল বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে, তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরের সঙ্গে ওই বস্তুর ঘর্ষণে প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন হয়। তাপমাত্রা ২ হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেও পৌঁছে যেতে পারে। এমন উচ্চমাত্রার তাপে যেকোনও বস্তুই টিকতে পারে না। পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই যে ‘ক্যাপসুল’ বা গগনযানের সাহায্যে মহাকাশচারীরা ফিরে আসবেন, সেই ক্যাপসুলটিকে এমনভাবেই তৈরি করা দরকার, যাতে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণেও সেটি অক্ষত থাকে। তাই ক্যাপসুলের গায়ে কোন ধরনের তাপনিরোধক আস্তরণ দেওয়ার দরকার তা নিয়েও হয়েছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা।
দফায় দফায় পরীক্ষা
২০১৪ সালে ইসরোর তরফে এমনই একটি মানবহীন ‘রি এন্ট্রি ক্যাপসুল’ বা ‘পুনঃপ্রবেশ ক্যাপসুল’ নিয়ে চালানো হয় পরীক্ষা। রকেটের সাহায্যে একটি রি এন্ট্রি ক্যাপসুলকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় ক্যাপসুলটিকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া। ক্যাপসুলটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে লড়াই করে অনেকখানি নেমে আসে ও পৃথিবীপৃষ্ঠের কাছাকাছি পোঁছনোর পর ক্যাপসুলের গা থেকে খুলে যায় প্যারাশুট। ধীরে ধীরে ক্যাপসুলটি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোপসাগরে নির্বিঘ্নে অবতরণ করে। ওই পরীক্ষা থেকেই বোঝা গিয়েছে, আমাদের দেশের মহাকাশ গবেষণা এখন এতটাই আধুনিক যে, নিশ্চিন্তে মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠিয়ে ফের তাঁদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া ২০১৮ সালেও অনুরূপ একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। অর্থাৎ মহাকাশচারীদের সুরক্ষিতভাবে মহাকাশে পাঠানো এবং ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তার সব কিছু নিয়েই চলছে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ। অর্থাৎ রকেট ছাড়ার সময় কোনও সমস্যা হলে যাতে মহাকাশচারীরা রক্ষা পেতে পারেন, বা মহাকাশে পৌঁছানোর পরেও যদি কোনও গণ্ডগোল হয়, তখনও তাঁরা যাতে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন, সেই নিয়েও হয়েছে বিস্তর পরীক্ষা।
খরচ
২০১১ সাল থেকেই গগনযানের সাফল্য নিশ্চিত করতে চলছে বিভিন্ন প্রযুক্তির সংযুক্তিকরণ। সমগ্র প্রকল্পে খরচ হতে চলেছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা! এত স্বল্প খরচে কোনও দেশে মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে ফেরত আনার প্রক্রিয়া হয়েছে কি না জানা নেই। বর্তমানে গগনযান প্রকল্পের শেষ পর্যায়ের কাজ করছে ইসরো।
আন্তর্জাতিক সাহায্য
যে ক্যাপসুলটিতে মহাকাশচারীরা থাকবেন, সেই ক্যাপসুলের গঠন সহ তার অন্দরের আবহাওয়া মানুষ বসবাসের উপযোগী করে তোলার সমস্ত প্রয়াস চালানো হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তাও নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ায় মহাকাশ নিয়ে কাজ করে যে সংস্থা তার নাম ‘রসকসমস’। রসকসমসের একটি অংশ হল গ্লোব কসমস। গগনযানের ‘রি এন্ট্রি ক্যাপসুল’ তৈরির ক্ষেত্রে গ্লোব কসমস বাড়িয়ে দিয়েছে সহযোগিতার হাত।
উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া
ক্যাপসুলটিকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় স্থাপন করবে ‘জিএসএলভি মার্ক থ্রি’ রকেট। রকেটের সঙ্গে থাকবে মহাকাশচারীদের থাকার জন্য ক্যাপসুল এবং ক্যাপসুলের নীচে থাকবে সার্ভিস মডিউল। রকেটটি মহাকাশের প্রার্থিত উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ার পর ৮.২ টন ওজনের ক্যাপসুল এবং সার্ভিস মডিউলকে ছেড়ে দেবে মহাশূন্যে। সার্ভিস মডিউলে থাকবে বেশ কয়েকটা বড় বড় মোটর। ওই মোটরগুলি প্রয়োজন অনুসারে মহাকাশে ক্যাপসুলের অবস্থান বদলাতে সাহায্য করবে।
গগনযানে যন্ত্রমানবী!
মহাকাশচারীদের প্রাণ অমূল্য। তাই প্রথমেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো হবে না। অন্তত দু’বার মানুষ ছাড়াই মহাশূন্যে গগনযান যাবে। গগনযানে থাকবে বিভিন্ন সেন্সর। এই সেন্সরগুলি মহাশূন্যে পৌঁছনোর পর ক্যাপসুলের অন্দরের তাপমাত্রা, বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা, কতটা বাতাসের চাপ তৈরি হচ্ছে— এইরকম নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। এই তথ্যগুলি জরুরি। কারণ সত্যিসত্যিই যখন মহাকাশচারীরা ওই ক্যাপসুলের অন্দরে থাকবেন তখন তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কতখানি পরিবর্তন করার দরকার পড়বে বা চাপ কীভাবে সামলানো হবে তা আগে থেকে স্থির করা দরকার।
দ্বিতীয়বার গগনযানের অন্দরে একটি রোবটকে রেখে তারপর সেই যান পাঠানো হবে মহাকাশে। ইসরোর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ওই রোবটটির বাইরের আদল অনেকটা মানবীর মতো। ওই যন্ত্রমানবীর নাম ব্যোমমিত্র বা উচ্চারণ ভেদে ব্যোমমিত্রা (ব্যোম-শব্দটির অর্থ মহাকাশ। মিত্র মানে বন্ধু!)। ওই যন্ত্রমানবীর কোনও পা নেই। তবে রোবটটির রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
মহাশূন্যে পৌঁছনোর পর মহাকাশযানের গতিপ্রকৃতি স্থির করা, মহাকাশ সংক্রান্ত নানা পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে রোবটটি। তবে ওই রোবটের আরও একটি কাজ আছে। তা হল, ক্যাপসুলের অন্দরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। এই কাজের জন্য যন্ত্রমানবীর গায়ে বসানো হয়েছে একাধিক সেন্সর। ওই সেন্সরের সাহায্যেই যন্ত্রমানবী ক্যাপসুলের অন্দরের আবহাওয়ার নানা পরিবর্তন বুঝতে পারবে ও তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেবে পৃথিবীতে থাকা ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন ক্যাপসুলের অন্দরের আবহাওয়া আদৌ মানুষ বসবাসের উপযুক্ত কি না! অথবা ঠিক কোন কোন পরিবর্তন করলে ক্যাপসুলটি মানুষ বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে ইত্যাদি।
এইভাবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে তৃতীয়বারে পাঠানো হবে মহাকাশচারীদের।
ক্যাপসুলের অন্দরে
মোটামুটি তিনজন থাকতে পারেন এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে ক্যাপসুলটি। তবে সম্ভবত ১ থেকে ২ জনকে পাঠানো হবে এবং সঙ্গে থাকবে যন্ত্রমানবী। রোবটটি নানা পরীক্ষা চালাতে মহাকাশচারীদের সাহায্য করবে।
মহাকাশচারীরা মোটামুটি চারটি পরীক্ষা করবেন জীববিদ্যার উপর। আরও দু’টি পরীক্ষা চালানো হবে ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ বা সূক্ষ্ম অভিকর্ষজ বল এবং মহাশূন্যে ত্বরণের ধর্ম নিয়ে। অতএব শুধু মহাকাশে মানুষ পাঠিয়ে বাহবা কুড়ানোই ইসরোর উদ্দেশ্য নয়। বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে পরবর্তী ধাপে পৌঁছে দেওয়াই গগনযান প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য।
কবে হবে উৎক্ষেপণ
এতদিনে হয়তো গগনযান মহাকাশচারীদের বুকে নিয়ে মহাকাশে ঘুরে বেড়িয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফেরত চলেই আসত! বাদ সাধল করোনা মহামারী। করোনার কারণেই গগনযানের উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়। গত তিন বছরে পদে পদে প্রকল্পটি নানাভাবে বাধা পেয়েছে করোনা মহামারীর জন্য আরোপিত নানা বিধিনিষেধের জালে। তবে আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালের শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে গগনযানের প্রথম উৎক্ষেপণটি করা হবে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে মহাকাশচারীরা সম্ভবত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণও করে ফেলবেন। ৩ থেকে ৪ দিন তাঁরা মহাকাশে থাকবেন ও দু’টি প্যারাশুটের সাহায্যে গগনযান বঙ্গোপসাগরে অবতরণ করবে।
মহাশূন্যে কীভাবে থাকবেন মহাকাশচারীরা?
পৃথিবীতে বাস করা এক বিষয়। এখানে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে যে কোনও ভারী বস্তু সবসময় নীচের দিকেই নামে। মহাশূন্যে অভিকর্ষ বল কাজ করে না। ফলে মহাকাশে ক্যাপসুলের অন্দরে মহাকাশচারীরা হেঁটে কোনও কাজই করতে পারবেন না। শূন্যে ভেসে থেকে করতে হবে সব কাজ। জল পান, খাদ্যগ্রহণের মতো স্বাভাবিক কাজও করতে হয় অত্যন্ত সতর্ক হয়ে। গ্লাস বা বোতল নয়, মহাকাশচারীরা জল পান করেন পাউচ থেকে। এবং সাবধানে! না হলে পাউচ থেকে জল বা খাবার বেরিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে! সে এক ভয়াবহ কাণ্ড হবে! তাই মহাকাশচারীরা কেমন ধরনের খাবার খাবেন, কীভাবে খাবেন তা নিয়েও দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য গবেষণার কাজ। তাই বেশ কয়েকজন মহাকাশচারীকে ইতিমধ্যে আলাদা করে মহাকাশে বসবাসের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী হঠাৎ করে শরীর খারাপ হলেই বা তাঁরা কী করবেন তাও শেখানো হচ্ছে তাঁদের।
কেন আলাদা গগনযান
এই প্রকল্প সফল করতে যে ধরনের প্রযুক্তি এবং উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তা আগে কোনওদিনই করা হয়নি। ফলে প্রকল্পটি সফল হলে ভারতের জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা এবং মহাকাশগবেষণা সহ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আসতে পারে। অন্য গ্রহে অভিযানের পথও প্রশস্ত হবে গগনযান প্রকল্প সফল হলে। অতএব ছোট-বড় সকলের মহাকাশে ভারতের পতাকা উত্তোলনের যে স্বপ্ন এতদিন লালিত হয়েছিল, তা শুধু সফল হওয়ার অপেক্ষা। ইসরোর এই গবেষণা সমগ্র পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।