Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি। শুধু তীর্থভূমি বলে নয়, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে পুষ্কর ছিল এক বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। তিব্বত, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর, ইয়ারখন্দ প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চলত এখানকার।
শোনা যায়, পিতামহ ব্রহ্মা একবার যজ্ঞ করবার মানসে কিছুতেই জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি তাঁর শ্রীকরস্থিত একটি পদ্মফুল ছুঁড়ে দিয়ে স্থির করলেন এই ফুল যেখানে গিয়ে পড়বে সেখানেই হবে যজ্ঞস্থল। তা ফুলটি এসে পড়ল মর্তের এই পবিত্রভূমিতে। এর দুটি পাপড়িও খসে পড়ল কাছাকাছি দু’ জায়গায়। ফলে তিন জায়গায় তিনটি পুণ্যসলিলা হ্রদের সৃষ্টি হল। ব্রহ্মার শ্রীকরস্থিত পুষ্প থেকে সৃষ্টি হল পুষ্কর হ্রদের। এর নাম হল জ্যেষ্ঠ পুষ্কর। পরের দুটি হল মধ্যম ও কনিষ্ঠ পুষ্কর।
জ্যেষ্ঠ পুষ্করকে বলা হয় গুরুতীর্থ। এর এমনই মাহাত্ম্য যে এই তীর্থ দর্শনে ও স্নানে সর্বপাপমুক্ত হয়ে পুনর্জন্মও রহিত হয়।
যাই হোক, ব্রহ্মা তো যজ্ঞে বসলেন। সমস্ত দেবতারাও আমন্ত্রিত হয়ে এলেন সেখানে। ব্রহ্মা কুবেরকে বললেন, ‘যজ্ঞে আমন্ত্রিতরা ধন, বস্ত্র যিনি যা চাইবেন তাই দেবেন।’ বিশ্বকর্মাকে বললেন, ‘আপনি সমস্ত দেবতাদের জন্য সুন্দর আশ্রমের ব্যবস্থা করুন।’ বাসুদেবকে বললেন, ‘আপনি সেবকগণকে উপদেশ প্রদান করুন।’ শিবকে বললেন, ‘আপনি আমার যজ্ঞ রক্ষা করুন।’ বৃহস্পতিকে বললেন, ‘আপনি আমার যজ্ঞ কর্ম সফল করার জন্য উপযুক্ত একজনকে নিয়োগ করুন।’
বৃহস্পতি তখনই মহামুনি ভৃগুকে নির্বাচন করলেন।
যজ্ঞ শুরু হওয়ার মুহূর্তে অন্য এক মুনি পুলস্ত্য বললেন, ‘যজ্ঞ তো হবে কিন্তু যজ্ঞাসনের পাশে আপনার স্ত্রী কই? স্ত্রী ছাড়া এই যজ্ঞ তো পূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়।’
সত্যই তো, স্ত্রীহীন যজ্ঞ অসম্পূর্ণ এবং নিষ্ফল।
ব্রহ্মা নিজেও তখন বুঝলেন সত্যই খুব ভুল হয়ে গিয়েছে। স্ত্রীহীন যজ্ঞ তো কোনও মতেই শাস্ত্রসম্মত নয়। তাই পুত্র নারদকে আদেশ দিলেন, ‘এখনই তোমার জননীকে যজ্ঞস্থলে নিয়ে এসো।’
ব্রহ্মাপত্নী সাবিত্রী আমন্ত্রণ পেয়েই নারদকে বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি যাও। আমি যাচ্ছি। আমি না যাওয়া পর্যন্ত তোমার পিতৃদেবকে একটু অপেক্ষা করতে বলো।’ এই বলে সখী পরিবৃতা হয়ে যজ্ঞস্থলে আসবার জন্য অনেক দেরি করে ফেললেন।
এদিকে যজ্ঞের বিলম্ব দেখে ঋষিগণ বললেন, ‘নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে যজ্ঞের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। এই মুহূর্তে আপনি বরং আপনার মনোমতো কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে যজ্ঞের কাজ শুরু করুন।’
ব্রহ্মা তো পড়লেন মহা বিপদে। এই মুহূর্তে স্ত্রী হিসেবে তিনি কাকে পান?
এ কাজের দায়িত্ব অবশ্য দেবরাজ ইন্দ্র নিলেন, জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বুঝিয়েসুঝিয়ে এক গোপকন্যাকে ধরে আনলেন। কিন্তু গোপকন্যা তো ব্রাহ্মণ নন। তাহলে তাকে দিয়ে যজ্ঞের অনুষ্ঠান কী করে সম্ভব?
ঋষিদের বিধানে তাও সম্ভব হল। সেই গোপকন্যাকে একটি গোরুর মুখ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে লেজের দিক দিয়ে বের করে শুদ্ধ করে নেওয়া হল। এইভাবে শুদ্ধ হওয়ার কারণে গোপকন্যা ব্রাহ্মণ হতে পারলেন। গো থেকে গায়ত্রী হলেন তিনি। ব্রহ্মা এবার তাঁকেই স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে পাশে বসিয়ে শুরু করলেন যজ্ঞ।
এদিকে ঠিক তখনই কয়েকজন ঋষিপত্নী সহ সাবিত্রী এসে হাজির হলেন যজ্ঞস্থলে। ব্রহ্মার পাশে অন্য স্ত্রীলোক দেখেই তো রাগে কাঁপতে লাগলেন সাবিত্রী। রেগে ব্রহ্মাকেই শাপ দিলেন, ‘আপনি জ্ঞানী হয়েও আমার প্রতি অবিচার করলেন? ঠিক আছে, আজ থেকে পুষ্কর ছাড়া আর কোথাও অন্য দেবতাদের মতো আপনি পুজো পাবেন না।’ সাবিত্রী এবার ইন্দ্রকেও অভিশাপ দিলেন, ‘আপনি কখনও যুদ্ধজয়ী হবেন না। স্বর্গেও ভয়ে ভয়ে থাকবেন এবং সব সময় কামের বশীভূত হবেন।’ বিষ্ণুকে অভিশাপ দিলেন, ‘আপনি উপস্থিত থেকেও যখন আমার অবমাননা হল, তখন আপনাকেও মনুষ্যজন্ম গ্রহণ করতে হবে। রাবণ আপনার স্ত্রীকে অপহরণ করলে আপনার শুভকর্মে স্বর্ণময় স্ত্রীকে গ্রহণ করতে হবে।’
শিবকে শাপ দিলেন, ‘সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আপনাকে ছাই ভষ্ম মেখে ভূতেদের নিয়ে থাকতে হবে।’ আর যজ্ঞের ব্রাহ্মণ ঋষিদের বললেন, ‘আপনারা যুগ যুগ করে নির্ধন থাকবেন এবং অন্যের বৃথা দান গ্রহণ করে ভিখারির জীবনযাপন করবেন।’ গোরুকে অভিশাপ দিলেন, ‘যে মুখে তুমি গোপকন্যাকে পবিত্র করেছ সেই মুখে শুধু তৃণ নয়, বিষ্ঠাও খাবে।’ আর পবনকে অভিশাপ দিলেন, ‘এখন থেকে আপনি সুগন্ধ নয় দুর্গন্ধও বহন করবেন।’
ব্রহ্মা তখন করজোড়ে বললেন, ‘দেবী সাবিত্রী, আপনি ক্ষান্ত হন। আমার পাশে বসে যজ্ঞ সম্পূর্ণ করুন। এই গায়ত্রী আপনার দাসী হয়ে থাকবে।’
সাবিত্রী বললেন, ‘না। আর তা সম্ভব নয়।’ বলে নিকটবর্তী মরুময় প্রান্তরে একটি পর্বতশীর্ষে বসে কঠোর তপস্যা শুরু করলেন।
ব্রহ্মা তখন বাধ্য হয়েই গায়ত্রীকে নিয়ে যজ্ঞ সম্পন্ন করলেন।
পুষ্কর মাহাত্ম্যে আছে পুষ্কর হ্রদে স্নান করলে মানস সরোবরে স্নানের ফল হয়। প্রচণ্ড খরাতেও এর জল কখনও শুকোয় না। এখানে বেশ কয়েকটি অন্যান্য দেবদেবীর মন্দিরও আছে। এর মধ্যে ব্রহ্মার মন্দিরই প্রধান এবং প্রসিদ্ধও বেশি। তার কারণ সারা ভারতে ব্রহ্মার মন্দির আর কোথাও নেই। পুষ্কর সরোবরের পশ্চিমদিকে সাবিত্রী পাহাড় এবং উত্তর দিকে গায়ত্রী পাহাড়। যজ্ঞ শেষে গায়ত্রীও সেই পাহাড়ে বসে তপস্যা করেছিলেন।
ব্রহ্মার মন্দিরে দর্শন পূজা সেরে যাত্রীরা সাবিত্রী পাহাড়ে যান। পুষ্কর থেকে সাবিত্রী পাহাড়ে যেতে ছোট্ট একটি মরুভূমি পার হতে হয়। আরাবল্লি পর্বতমালায় ঘেরা এই মরুময় প্রান্তরের মাঝখানে বনময় সাবিত্রী পাহাড়ে ওঠার আনন্দই আলাদা। আমি আগে দু’বার এখানে এসেছি, দু’বারই পাহাড়ে উঠেছি। এই নিয়ে তৃতীয়বার। এতদিনে যে পথের মহাপ্রস্থান হয়ে গিয়েছে তা আমার জানা ছিল না। সেই ছোট্ট মরুভূমি এখন ক্ষুদ্র একটি জনপদ।
যাই হোক, ব্রহ্মা পত্নী সাবিত্রী মাতাকে আমি আমার বারো বছর বয়স থেকে দর্শন করছি। হয়তো-বা এই আমার শেষ দর্শন। সাবিত্রী মাতার মন্দির খুব একটা বড়সড় নয়। মন্দিরের রং সাদা। দলে দলে যাত্রীরা এসে মানত করা পুজো দিচ্ছেন। সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় রাখার জন্যই মেয়েরা এখানে ভক্তিভরে পুজো দেন। প্রবাদ, সাবিত্রী দেবীর পূজা করলে স্বামীরা পরদ্বার গ্রহণ করেন না। তবে সময়ের অভাবে গায়ত্রী মাতার মন্দিরে একবারও আমার যাওয়া হয়নি।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
10th  November, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
একনজরে
বিএনএ, মেদিনীপুর: খড়্গপুরে এসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নে ৩৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ২৯টি নয়া প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যে খড়্গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ৯ ডিসেম্বর আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।  ...

বিএনএ, মালদহ: উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে মাদক ট্যাবলেট। আর সেই পাচারের রুট হিসেবে এখন দুষ্কৃতীদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে মালদহ সহ উত্তরবঙ্গের ...

রূপাঞ্জনা দত্ত, ৬ ডিসেম্বর: লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী জঙ্গি উসমান খানের দেহ পাঠানো হল পাকিস্তানে। বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে যাত্রীবাহী বিমানে দেহ পৌঁছয় পাকিস্তানে। এদিন ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধিকারিকরা একথা জানিয়েছেন।   ...

নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর (পিটিআই): একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যই প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার সুফল নিয়েছে। শুক্রবার রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় বছরে বরাদ্দ ছ’হাজার কোটি টাকা।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ
১৯৮৪: বরুণ সেনগুপ্তের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করল ‘বর্তমান’  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, দশমী ১/৭ দিবা ৬/৩৪। রেবতী ৪৭/৫০ রাত্রি ১/২৮। সূ উ ৬/৭/৩৪, অ ৪/৪৮/২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে উদয়াবধি। 
২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, একাদশী ৬০/০/০ অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৫০/২৭ রাত্রি ১/১৭/৯, সূ উ ৬/৮/৫৮, অ ৪/৪৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/২৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮/৩৮ গতে ৪/৪৮/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮/৩৯ মধ্যে ও ৪/২৮/৫৬ গতে ৬/৯/৩৭ মধ্যে। 
৯ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উপার্জন ভাগ্য ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে ...বিশদ

07:03:20 PM

আলিপুরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ 
আলিপুর রোডে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ...বিশদ

05:05:00 PM

মালদহে মহিলার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির 

03:51:00 PM

মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দর নবীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 
মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহারের মতো অব্যবহৃত বিমানবন্দর ও বিমান স্ট্রিপগুলির নবীকরণের ...বিশদ

03:34:00 PM

একনজরে গতকালের ম্যাচের রেকর্ডগুলি 
গতকাল হায়দরাবাদে প্রথম টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দারুণ জয় ...বিশদ

02:35:02 PM