Bartaman Patrika
 

মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা

চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। প্রধান গায়ক-অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে—
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে/
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।...’
কিংবা
‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও/
তোমরা এখনও ঘুমাও...।’
গায়ক মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গাইছেন। পরণে গেরুয়া আলখাল্লা, মাথায় পাগড়ি, বুকে ঝুলছে মেডেল। পায়ে বিদ্যাসাগর চটি। তাঁর গানে উদ্বেল মানুষ। তিনি হলেন মুকুন্দদাস। তিনি চারণকবি। তাঁর স্বদেশি যাত্রা ছিল গণজাগরণের হাতিয়ার। তাই সেই যাত্রাপালা পড়েছিল শাসক ইংরেজদের রোষানলে।
ছোটবেলায় নাম ছিল তাঁর যজ্ঞেশ্বর। অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম। তবে সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন বরিশালে। ছোট্ট যজ্ঞেশ্বরের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আন্দোলনের বাসনা জাগিয়ে তুলেছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। বাল্যকালে পড়াশোনায় তাঁর মন বসেনি। কৈশোরে খুলে বসলেন মুদির দোকান। তার মধ্যেই চলতে লাগল স্বেচ্ছাচারী জীবন। বন্ধুদের নিয়ে গুণ্ডামি করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি। যজ্ঞেশ্বরেরও মুকুন্দ হয়ে ওঠা যেন এক অলৌকিক আখ্যান। রোজ তিনি ঘুমিয়ে থাকেন আর ভোরবেলা তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে নগরকীর্তনের দল পরিক্রমায় বের হয়। সেই গানে ঘুম ভেঙে গেলে বিরক্ত হন যজ্ঞেশ্বর। রোজ তাঁর কানে সেই নামগান প্রবেশ করে। শুনতে শুনতে গানের কথাগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। মুদির দোকানে বসে সেই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি তন্ময় হয়ে যান। কী গভীর উপলব্ধি! এত প্রেম কৃষ্ণ নামে! ছুটে যান সান্ধ্য কীর্তনের আসরে। দু’চোখ ভেসে যায় তাঁর। তন্ময়তায় ডুবে যান। একদিন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে যাত্রা বা গানের আসর ভণ্ডুল করে দিয়ে আনন্দে হা হা করে হেসে উঠতেন। আজ তিনিই সঙ্গীত ও পালাকীর্তনের অকূল সাগরে আনন্দযাত্রী। একদিন সঙ্কোচের সঙ্গে গেলেন সেই নগরকীর্তনের দলের কাছে। দলের প্রধান বরিশালের বিখ্যাত কীর্তন গায়ক বীরেশ্বর গুপ্ত। যজ্ঞকে দেখে বললেন, ‘এসো। তোমাকে তো প্রায়ই দেখি আমার গানের আসরে। আমার দলে গান গাইবে?’
যজ্ঞেশ্বর বললেন, ‘আমি কি পারব? আমি মুদির কারবারি আর
আমাকে তো সবাই বলে যজ্ঞাগুণ্ডা।’
বীরেশ্বর বললেন, ‘বাইরে তুমি যাই হও, ভিতরে তুমি গৌরাঙ্গ। তোমার মধ্যে আমি গৌরভাব দেখতে পাচ্ছি।’
ঢুকে পড়লেন কীর্তন দলে। শুরু হল শিক্ষা। চলল শাস্ত্র পাঠ। বদলে গেলেন আমূল। শৌখিন পোশাক ছেড়ে ধরলেন শ্বেতবস্ত্র। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে ঘুরে শুনতে লাগলেন পালাকর্তাদের গান।
এখান থেকেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন মুকুন্দদাস। সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূতের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তিনিই যজ্ঞার নামকরণ করলেন মুকুন্দদাস। বৈষ্ণব সাধক মুকুন্দদাস একদিন হয়ে উঠলেন কালীভক্ত। শ্যাম থেকে শ্যামার পদতলে আশ্রয় নিলেন তিনি। বরিশালের সনাতন ঠাকুর বা সোনা ঠাকুরের কালীমন্দিরে বসে তিনি গান গাইতেন। সেই গান শুনে অশ্বিনী দত্ত বললেন, ‘যজ্ঞা, তুই শক্তির গান বাঁধ। যে শক্তির উল্লাসে মানুষ উজ্জীবিত হবে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে।’ নতুন দিশা পেলেন মুকুন্দদাস। বুঝে গেলেন তাঁর পথ কোনদিকে।
১৯০৫ সালে দেশ উত্তাল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে। এই সময় তিনি লিখলেন ‘মাতৃপূজা’। সেই পালা মানুষের কাছে পৌছে দিতে নতুন দল গড়লেন। কিন্তু বায়না নেই তো! পালা আসরস্থ হবে কী করে! মায়ের নাম করে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে নবগ্রামের পুজোমণ্ডপে অভিনীত হল সেই পালা। তারপর একে একে বায়না আসতে লাগল। খোরাকি বায়নাতেই আসরে আসরে অভিনয় করতে লাগলেন। ফরিদপুর, ইদিলপুর, চাঁদপুর। নৌকা এগিয়ে চলল। ছড়িয়ে পড়তে লাগল মুকুন্দদাসের নাম। বাংলার মানুষ সেই পালা দেখে স্বদেশী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। ‘ভেঙে দাও রেশমী চুড়ি, বঙ্গনারী কভু হাতে আর প’রো না।’ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে সেই গান।
স্বদেশি বর্জনের যে ডাক নেতারা দিয়েছিলেন, মুকুন্দদাসের গান তাতে ঘৃতাহুতি দিল। তাঁর স্বদেশি যাত্রা নতুন করে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিল বাংলার বুকে। ইংরেজ শাসক ভীত হয়ে তাঁর ‘মাতৃপূজা’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করল। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন বরিশাল জেলে রাখার পর ইংরেজদের মনে হল এখানকার জেলে তাঁকে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি। তিন বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন। বেরিয়ে দেখেন তাঁর জীবন শূন্য করে চলে গিয়েছেন তাঁর পত্নী সুভাষিনী। জেলে যাওয়ার পরপরই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষিনীর।
ভাঙা মন। বুঝতে পারেন না এখন উপায় কী! দল গড়ার মতো টাকাও হাতে নেই। জীবনযাপনের জন্য আবার খুলে বসলেন মুদির দোকান। কিন্তু প্রতিবেশী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী একদিন তাঁকে ডেকে নিজের গয়না তাঁর হাতে দিয়ে বললেন, ‘ভাই, এই নাও এগুলো বন্ধক দিয়ে আবার দল খোলো। মুদির দোকান চালানো তোমার কাজ নয়। তুমি মানুষকে জাগিয়ে তোলো।’ উৎসাহিত হয়ে মুকুন্দদাস আবার দল খুললেন। আবার শুরু করলেন পালা লেখা।
লিখলেন ‘সমাজ’ নামের একটি পালা। বুঝলেন কলকাতায় যেতে হবে। সেখানকার মানুষকে শোনাতে হবে তাঁর গান। ততদিনে আবার ডাক আসতে শুরু করেছে। একদিন চার টাকায় আসরে পালা গাইতেন। এখন নাম হয়েছে। রেট দাঁড়িয়েছে পঁচিশ টাকা। ‘সমাজ’ পালায় তিনি বিষয়বস্তু করে তুললেন সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলিকে। পণপ্রথা, জমিদারদের অত্যাচার অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি।
একদিন জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়িতে গিয়ে তিনি গান শোনালেন। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে মোহিত রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁকে শিখিয়ে দিলেন তাঁর ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ এই গানটি। বললেন, ‘মঞ্চে মঞ্চে তুমি এই গানটি গেও’। মুকুন্দদাসের সঙ্গে দেখা হল নজরুল ইসলামের। তিনিও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ। কবি নিজেও শোনালেন তাঁর গান। ‘কারার ওই লৌহকপাট’ ও অন্য কয়েকটি গান। মুকুন্দদাসকে উপহার দিলেন তাঁর দুটি বই। ‘অগ্নিবীণা’ এবং ‘বিষের বাঁশি’। তাতে লিখে দিলেন, ‘চারণসম্রাট মুকুন্দদাসকে উপহার’। মুকুন্দদাস হয়ে গেলেন চারণকবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মেয়ের বিয়ে। দেশবন্ধু চিঠি লিখলেন অশ্বিনী দত্তকে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি পালাগানের আসর বসাবেন। সেখানে মুকুন্দদাসকে গাইতে হবে। সেই আসরে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিলেন তিনি। সেখানে তিনি ইংরেজ বিলাসিতায় আসক্ত আধুনিক মহিলাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছিলেন। গানের শেষে দেশবন্ধু তাঁকে পরিয়ে দিলেন সোনার মেডেল। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রিয়ংবদা দেবী। তিনি কবির প্রশংসা করে তাঁকে উপহার দিলেন সোনার সেফটিপিন। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি আড়ালে ডেকে মুকুন্দদাসকে বললেন, ‘দারুণ গান করেছেন। তবে আর নয়। এবার কলকাতা ছাড়ুন। আপনাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা চলছে।’ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও তাঁর গান পছন্দ করতেন। তিনি মুকুন্দদাসকে উপহার দিয়েছিলেন একটি রুপোর লাঠি।
তাঁর ‘পল্লিসেবা’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘ব্রহ্মচারিণী’ প্রভৃতি পালার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন অসাম্য, অন্যায় আর কুশিক্ষাকে। জমিদার বাড়িতে গানের আসরে তিনি জমিদারি ব্যবস্থার খারাপ দিকগুলিকে তীব্র ব্যঙ্গ করতেও ভয় পেতেন না।
আসর থেকে আসরে ছুটছে দল। এদিকে শরীর আর নিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। সবক্ষেত্রে পুরো পালায় অভিনয় করতে পারেন না। একটি-দুটি গান করেন মাত্র। কিন্তু গান বন্ধ করা যাবে না। কালীপুজোর সময়। অনেক বায়না। তাঁর উপর নির্ভর করছে দলের সকলের পরিবারের ভরণপোষণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলল পালাগান। কলকাতায় এসে জ্বর বাড়ল। ১৯৩৪ সাল। অনেকগুলি পালার বায়না আছে শহরে। কিন্তু তিনি নিজেই চলে গেলেন সব পালার অভিনয় অসম্পূর্ণ রেখে।
তাঁর যাত্রাপালা ছিল ভিন্নধারার। ব্রজমোহন রায়, মতিলালা রায়ের মতো তিনি পালারচনা করেননি। তাঁর পালায় ছিল গানের আধিক্য। সেই গানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা বলে তিনি যেন নবনাট্যের প্রস্তাবনাও করে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে যাত্রাপালা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
23rd  November, 2019
প্রেমের মাঝে এক ফোঁটা বিষ

১৯৯৮ সালে ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণের পর, তাঁর সুযোগ্য পুত্র মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় নিজের কাঁধেই তুলে নেন ভৈরব অপেরার দায়িত্বভার। এই অপেরার ব্যাটন এখন মেঘদূতের হাতে। প্রথম বছর মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন ‘সাদা কাগজের বউ’। বিশদ

30th  November, 2019
প্রেমের মাঝে এক ফোঁটা বিষ 

১৯৯৮ সালে ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণের পর, তাঁর সুযোগ্য পুত্র মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় নিজের কাঁধেই তুলে নেন ভৈরব অপেরার দায়িত্বভার। এই অপেরার ব্যাটন এখন মেঘদূতের হাতে। তিনি তাঁর বিখ্যাত পিতৃদেবের পরম্পরা বজায় রেখেছেন।  
বিশদ

23rd  November, 2019
থেসপিয়ানসের রৌপ্যজয়ন্তী 

থেসপিয়ানস নাট্যগোষ্ঠীর পথ চলা শুরু ১৯৯৪ সালে। কয়েকজন নাট্যপ্রেমী তরুণ-তরুণী নিজেদের মতো করে নাট্যচর্চা করবে বলে দলটি গড়ে তোলে। কোনও বিশেষ ঘরানায় আটকে না থেকে সবার থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নিজেদের গড়ে তোলাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।  
বিশদ

23rd  November, 2019
কতই রঙ্গ আছে প্রেমের দুনিয়ায় 

সারা বিশ্বেই ফরাসি কমেডির এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষ করে সে নাটক যদি হয় ‘ফ্লেউর দ্য ক্যাকটাস’। যার রচয়িতাদ্বয় হলেন প্যারি ব্যারিলেট এবং জাঁ পিয়ের গ্রেডি। এই নাটক সেই দেশের মঞ্চে অভিনীত হতে শুরু করেছিল ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। টানা দু’বছর ১২৫০ রজনী অভিনীত হয়েছিল এ নাটক রয়্যাল থিয়েটারে।  
বিশদ

23rd  November, 2019
 রং ছড়ালো ইন্দ্ররঙ মহোৎসব

সাতরঙা রামধনুর মতোই রঙের জেল্লা ছড়িয়ে সমাপ্ত হল তৃতীয় ইন্দ্ররঙ মহোৎসব। অনুষ্ঠানের জাঁকজমকে, নাট্যজগতের নক্ষত্রদের উপস্থিতিতে এবং সর্বোপরি প্রতিযোগিতায় বিজেতাদের প্রাপ্ত পুরস্কারের আর্থিক মূল্যের দিক থেকে যে কোনও সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক নাট্যোৎসবকে টেক্কা দিয়েছে এই উৎসব।
বিশদ

16th  November, 2019
 এই দেশ এই সময় এই মৃত্যু উপত্যকা

সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল পূর্বরঙ্গ নাট্যদলের সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়’। বলা যায়, কাব্যনাট্য। যে নাটকের বিষয় ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আধুনিক ভারতবর্ষ – পরিবর্তিত আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের হাত ধরে বদলে বদলে যাওয়া অনুভূতি, মনুষ্যত্ব আর রাজনীতি। বিশদ

16th  November, 2019
  রাজ্য বাচিক উৎসব

 বাচিক আর্টিস্ট ফোরাম গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর এই দু’দিন ধরে রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে উদযাপন করল রাজ্য বাচিক উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। পরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিল্পীরা আবৃত্তি ও বাচিক অভিনয় পরিবেশন করেন।
বিশদ

16th  November, 2019
পূর্বরঙ্গের পাঁচঅধ্যায়

পাঁচটি মেয়ে। কোনও এক সময়ে এরা পরস্পরের বন্ধু ছিল। সময়ের বহমানতায় তারা ছিটকে পড়েছিল একদি ওদিক। সামাজিক সংযোগ মাধ্যমের দৌলতে ফের তারা খুঁজে পায় একে অপরকে। তাদের অন্দরের কাহিনী থেকে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের। বিশদ

16th  November, 2019
  সরস্বতী নাট্যোৎসব ২০১৯

 নেতাজিনগর সরস্বতী নাট্যশালা আয়োজিত নাট্যোৎসব শুরু হতে চলেছে তপন থিয়েটারে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে, চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। পাঁচদিন ব্যাপী এই নাট্যোৎসবে মোট ১৭টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। অংশগ্রহণকারী দলগুলি নাট্যজগতে যথেষ্ট পরিচিত। বিশদ

16th  November, 2019

জিয়নকাঠির উৎসব



  রানিকুঠী জিয়নকাঠি নাট্যদল আগামী ১৫-১৭ নভেম্বর, এই তিনদিন ধরে একটি নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। নাট্যোৎসবটি হবে চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনে। এই নাট্যোৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন জেলার নাট্যদলগুলি। বিশদ

16th  November, 2019
শুকনো কাঠে যষ্ঠিমধুর স্বাদ 

সম্প্রতি বাঁশদ্রোণী শিল্পন শিশিরমঞ্চে মঞ্চস্থ করল তাঁদের সাম্প্রতিক নাটক ‘জৈষ্ঠীমধু’। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব নাটক অবলম্বনে নির্মিত সম্পূর্ণ হাস্যরসাত্মক এই নাটকের সম্পাদনা ও নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সীমিকা রায়। 
বিশদ

09th  November, 2019
দর্শককে আয়নার সামনে দাঁড়ানোর চৈতন্য দেয় এ নাটক 

মানুষই মানুষকে খোঁজে। মানুষই মানুষের কাছে আশ্রয় চায়, মানুষই মানুষকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। কিন্তু যখন সময় বয়ে যায় হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে, মানুষকে হতে হয় পরিস্থিতির শিকার। টানাপোড়েনের সুতো, মরে যাওয়া সম্পর্ককে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর যন্ত্রণায় অনবরত হতে হয় ক্ষতবিক্ষত। তখনও কিন্তু মহাকাল নির্মেদ মোহহীনভাবেই বাজিয়ে চলে ঘটনার ঘণ্টা।
বিশদ

09th  November, 2019
গেমপ্ল্যানের প্রত্যাশা 

সালটা ১৯৮৯। চন্দ্রা দস্তিদার একটি নাটক লিখেছিলেন – প্রত্যাশা। পরিচালনা করেছিলেন জোছন দস্তিদার। ১৯৯১ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল সে নাটক। দীর্ঘ তিন দশক বাদে আবার ‘প্রত্যাশা’কে ফিরিয়ে আনলেন জোছন-চন্দ্রার সুযোগ্য কন্যা খেয়ালি দস্তিদার। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হতে চলেছে ২৩ নভেম্বর, সন্ধে ৭টায়, জিডি বিড়লা সভাঘরে। 
বিশদ

09th  November, 2019
খুব আফশোস হয় উত্তমকুমারের মঞ্চাভিনয়
দেখতে পারলাম না: কুলভূষণ খারবান্দা

কুলভূষণ খারবান্দা নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মুণ্ডিত মস্তক ভয়ংকর এক ভিলেন শাকালের ছবি। রমেশ সিপ্পির ‘শান’ ছবিতে এই ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেই তিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান সর্বভারতীয় দর্শকের কাছে। কিন্তু ক’জন জানেন যে তাঁর অভিনয়ের হাতেখড়ি নাটকের মঞ্চেই! নাটকই তাঁর প্রথম প্রেম! এই কলকাতাতেই কেটেছে তাঁর জীবনের কয়েকটি বছর। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। ফিল্মের ব্যস্ততা স্বত্বেও যখনই সুযোগ পেয়েছেন, স্টেজে ফিরে ফিরে এসেছেন। এসেছেন নাটকের টানে। যেমন সম্প্রতি ‘পদাতিক’এর ‘আত্মকথা’র হাত ধরে মঞ্চে এবং এই কলকাতায়। রিহার্সালের টাইট সিডিউলের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে আলাপচারিতায় মাতলেন অজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। 
বিশদ

09th  November, 2019

Pages: 12345

একনজরে
অমিত চৌধুরী, হরিপাল: হরিপাল থানার কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে প্রতিবছর শীতের সময় ভিড় করে পরিযায়ী পাখি। বিদেশি পাখির আগমনকে ঘিরে একসময় এলাকায় পিকনিকের আসর বসলেও স্থানীয় মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের নিশ্চিন্তে অস্থায়ী ঠিকানায় বাস করতে বন্ধ করে দিয়েছেন পিকনিক। ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...

জম্মু, ৯ ডিসেম্বর (পিটিআই): কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাক সেনা। সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। ...

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM