Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

নারীবাদ ও নারীমুক্তি  

মহিষাসুরের কবল থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধারের জন্য দেবতাগণ দেবী দুর্গার আবাহন করেছিলেন। তিনি দশভুজা, অসুরদলনী এবং সর্বোপরি তিনি মা। নারীকে তুলনা করা হয় দেবী দুর্গার সঙ্গে। ঋগ্‌বেদের যুগে সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। সেই সমাজে নারীই ছিল প্রধান। পরবর্তী সময়ে নারীর ক্ষমতা ক্রমশ খর্ব হতে শুরু করে এবং সমাজ পিতৃতান্ত্রিক বা পুরুষতান্ত্রিক হয়ে যায়।
কালক্রমে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বঙ্গদেশের কিছু সমাজ সংস্কারকের অগ্রণী ভূমিকায়, ব্রিটিশ সরকারের আনুকূল্যে সতীদাহ বা বাল্য বিবাহের মতো প্রথা বন্ধ হয়। নারীদের শিক্ষার জন্য ‘বেথুন স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ১৮৩৭ সালে কুমিল্লায় প্রথম বালিকা বিদ্যালয় ও ১৮৯৩ সালে মহিলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৫ সালে বাংলার প্রথম নারীবাদী ‘সখী সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্ণকুমারী দেবী। লাঠি খেলা ও অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তিনি দেশপ্রেম সঞ্চারিত করার চেষ্টা করেন। সরোজিনী নাইডু, সরলা দেবী চৌধুরাণী প্রমুখ নারী নেত্রী কংগ্রেস সভাপ্রধানের পদেও উন্নীত হন। ভারতবর্ষের প্রথম নারীবাদী আন্দোলনের সংগঠিত রূপকার মহারাষ্ট্রের পণ্ডিত রামবাই প্রকাশ্য আন্দোলনে নামেন। আইন-নিয়ম-ক্ষমতার জোরে আচার-অনুষ্ঠানকে পরিবর্তিত করা যায় বটে, কিন্তু সংস্কার ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো কি ততটা সহজ? তাই গৃহের অভ্যন্তরেই নারীর ওপর যে অত্যাচার চলছিল তা শাস্ত্রীয় নিয়মের অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আজ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা নারীরা অনেক বেশি ফরওয়ার্ড। পাশ্চাত্য শিক্ষার ভাবাদর্শের বন্যায় আমরা পরিচিতি, সত্তা, স্বীকৃতি, সম্মান এই শব্দগুলির তাৎপর্য অনুধাবনের সঙ্গে সঙ্গে এগুলিকে অনেকটাই বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছি। সে যুগে নারী ছিল পর্দানশিন, আর এ যুগের নারী রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চপদ অলঙ্কৃত করছেন। তবুও নারী নির্যাতন সমূলে উৎপাটিত হয়নি। দিল্লিতে নির্ভয়া থেকে শুরু করে কামদুনি, কুশমণ্ডি ও স্কুল-কলেজ পর্যন্ত ভারতের প্রায় সর্বত্রই নির্যাতন, অত্যাচার এমন ভয়ঙ্কর পাশবিক রূপ ধারণ করেছে যে তা ভাষায় বর্ণনা করা দুঃসাধ্য।
যে অশুভ শক্তি, অশুদ্ধ ইচ্ছাকে দমনের জন্য মা কালীর আবাহন, যে মহিষাসুরকে বধের জন্য মা দুর্গার আবাহন এবং একদিকে হিন্দু ধর্মে তথা ভারতে যেখানে নারীকে পূজা করা হয়েছে মহাশক্তি, মহামায়ারূপে, সেই নারীর আজ এ কোন অবস্থা দেখা যাচ্ছে? পুরাণ প্রভৃতিতে বর্ণিত আছে, একসময় আসুরিক শক্তির নিকট দেবতাদের পরাজয় ঘটেছিল, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। আজ সমাজে যে অনাচার, অত্যাচার ও নিপীড়ন তা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নির্বিকল্প প্রভুত্বের আস্ফালন ব্যতীত আর কিছুই নয়। কার্ল মার্কস মনে করতেন, যখন শ্রেণী বৈষম্য ধ্বংস হবে, তখন আর নারী বৈষম্য থাকবে না। শ্রেণী বৈষম্য এবং শ্রেণী শোষণকে সর্বাঙ্গে দূর করার জন্যই শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতার উত্থান ঘটেনি। ফলে স্বীকৃতি, সম্মান ও পরিচিতি লাভের উদ্দেশ্য নিহিত সামাজিক ন্যায়-আন্দোলনকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং বৈষম্য বৈষম্যের জায়গাতেই রয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষিতা, আধুনিকারা আজ সমাজের সর্বস্তরে পুরুষের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে গিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করছেন।
লিবারাল ফেমিনিজম ও র‌্যাডিকাল ফেমিনিজমের দৌলতে নারীও আজ বহুগামী। ‘বিল্বমঙ্গল’ নাটকে এক বণিকের তাঁর সহধর্মিনীকে লম্পট অতিথির শয্যায় প্রেরণ প্রসঙ্গটিকে ‘নারীর মূল্য’ প্রবন্ধে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন। তিরস্কার করেছেন সমগ্র পুরুষজাতিকে এবং তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব জন কেরির মতে, যে সব দেশ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে মেয়েদের অংশগ্রহণের সম্পূর্ণ সুযোগ দেয়, তারাই তুলনায় বেশি সুস্থিতি, সমৃদ্ধি এবং শান্তি অর্জন করে। আলাপ-আলোচনার পরিসরে যেখানে মেয়েদের স্থান দেওয়া হয় না, সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা তুলনায় কঠিন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনটিতে মেয়েদের সুযোগকে প্রসারিত করার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার যে অঙ্গীকার করা হয়, তা কি সত্যিই সর্বাংশে বাস্তবায়িত হয়? মেয়েরা কি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজও নির্যাতিত হয় না? মেয়েদের সব অধিকার কি তারা সঠিকভাবে পায়? এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন আজকের সমাজ। তবু তার কোনও সঠিক উত্তর মেলে না। পুরুষদের মন থেকে এখনও অবদমনের ইচ্ছা লুপ্ত হয়নি। তাই নারী আজও বহুলাংশেই অবদমিত।
সতীত্ব কি শুধু নারীর জন্য, পুরুষের জন্য নয়? নাকি ঘোমটা ও পর্দার কারণেই সতীত্বের প্রশ্ন? তার বাইরে সতীত্ব অপ্রয়োজনীয়? ধর্ষণ বা অ্যাবিউস যাই হোক না কেন, তা তো শুধু শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শরীরের ঊর্ধ্বে যে বিষয়টিকে সর্বাগ্রে রাখা উচিত, তা হল মর্যাদা। যুগ বদলের পরেও নারী সব ক্ষেত্রে তার প্রাপ্য মর্যাদা পায় না। তাকে ক্রমাগত বঞ্চিত করে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। সে কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। যখনই মাথা তুলতে যায় তখনই তাকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র সংখ্যালঘিষ্ঠতার কারণে অত্যাচারিত নারীদের কাহিনী আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। অনেক সময়ই পুরুষ নারীকে নির্যাতন করার পরও দিব্যি পার পেয়ে যায়। কেন এই বৈষম্য? কেন এই একমুখিনতা? তা কি শুধুই নারী সংখ্যালঘু তাই? নাকি বহুদিন অবদমিত থাকার ফল? মেয়েরা সংসারে শান্তি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু তাই বলে যুগ যুগ ধরে কখনও প্রকাশ্যে কখনও বা নীরবে অত্যাচার হবে তাদেরই বিরুদ্ধে তাও তো মেনে নেওয়া যায় না।
তবে বিপরীত ছবিও যে দেখা যায় না তা নয়। এমন সংসারও আছে যেখানে মেয়েরা উচ্চ মান ও মর্যাদা পায়। স্ত্রী উচ্চপদে চাকুরিরতা হওয়ার জন্য অনেক পুরুষ কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরেও সন্তানকে সামলান। দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাঁরা পরিবার পরিজনদের প্রতি সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন, কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরও এই বৃদ্ধ বয়সে, যে গৃহকর্তা তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর সেবা করেন, সেইসব পুরুষও যে সমাজে নেই তা নয়। তবে তাদের কথা অনেক সময়ই আমাদের সমাজ মনে রাখে না। কারণ এমন পুরুষ সমাজে আজও কম।
স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি রোজগার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামীদের মনে একরকম হিংসার উদ্রেক হয়। যে হিংসা থেকে অধিকাংশ পুরুষই একটা ডিপ্রেশনে চলে যেতে থাকেন। স্ত্রী’র কৃতিত্বটাকে তখন তাঁরা নিজেদের পরাজয় বলে মনে করতে শুরু করেন। আর সেই কারণেই তাঁদের এই মনঃকষ্ট। উল্টো দিকে স্বামীর রোজগার বেশি হলে বা তাঁর কোনও কৃতিত্ব বৃদ্ধি পেলে স্ত্রী কিন্তু সত্যিই খুশি হয়।
তখন তাদের মনে কোনও খেদ বা ক্লেশ থাকে না। স্ত্রীকে স্বামীর গৌরবের কথা জাহির করে বলতে প্রচুর শোনা যায়। কিন্তু উল্টো ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। বা বলা উচিত কম হয়। আসলে এই যে আচরণ, এগুলো সবই মানসিক শিক্ষার পরিচয়। আধুনিকতা ততক্ষণ আসবে না যতক্ষণ আমাদের মন আধুনিক না হচ্ছে। নারী মানেই পুরুষের চেয়ে নিম্ন, পুরুষ অপেক্ষা হীন এই ধারণা মন থেকে মুছে ফেলে প্রকৃত অর্থে উন্নত হতে হবে পুরুষকে। তবেই আমাদের সমাজ এগবে।
আসলে নারী আর পুরুষের মধ্যে এই বিভেদটা চিরকালই ছিল, চিরকালই থাকবে। তবু সমাজকে উন্নততর করতে হলে, সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হলে এমন বিভেদ থাকা ভালো নয়। ব্যবহারিক দিক দিয়ে নারী ও পুরুষকে এই বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।
জীবনের পথে চলতে গিয়ে অনেক বাধা আসে, কিন্তু সেগুলোকে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। বর্তমান সমাজে নারীকেও সেই পথেই চলতে হবে। আর নারীর এগিয়ে চলার পথকে আরও সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব অনেকটাই পুরুষের ওপর। তারা যদি নিজেদের ছোটখাট অহং ভুলে নারীর পরিপুরক হয়ে উঠতে পারে তবেই আমাদের সমাজ উন্নত হবে।
শুধু সমাজই বা কেন? পরবর্তী প্রজন্মকেও তো উন্নত করতে হবে। তাদের মনকে আলোকিত করার দায়িত্বও তো আমাদেরই ওপর। তাই নারী-পুরুষ নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে বরং একে অপরের সঙ্গে, একে অপরের হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলুক। তবেই আমাদের সমাজ লাভবান হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এক উন্নত দেশের নাগরিক হয়ে জীবনযাপন করার সুযোগ পাবে। সন্তানের কাছে বাবা ও মায়ের যেমন গুরুত্ব, সমাজের কাছেও নারী ও পুরুষের তেমনই গুরুত্ব। যতদিন এই গুরুত্ব আমাদের সমাজ বুঝতে না পারবে ততদিন নারী তার পূর্ণ মর্যাদা কখনওই পাবে না।
সোমা চক্রবর্তী 
16th  November, 2019
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় রাকুল 

রাকুল প্রীত সিংয়ের কেরিয়ার শুরু মডেলিং দিয়ে। এখন তিনি দক্ষিণের এবং বলিউডের ব্যস্ততম নায়িকা। নিজের লাইফস্টাইেলর কথা জানালেন রাকুল। 
বিশদ

16th  November, 2019
অ্যাথলেটিক্সে নয়া নজির
দুই মায়ের বিশ্বরেকর্ড 

অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে দাপট এখন মেয়েদের, বলা চলে দুই মায়ের। যারা অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জামাইকার ‘স্প্রিন্ট কুইন’ শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস ১০০ মিটার দৌড়ে চার নম্বর সোনা জিতলেন দুর্দান্তভাবে।  বিশদ

16th  November, 2019
দুয়ের বেশি সন্তান মায়েদের
জন্য অশনিসংকেত 

দুয়ের বেশি সন্তান যে সব মায়েদের, তাঁদের জন্য আশঙ্কার খবর শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাঁদের সন্তান সংখ্যা দুই বা তার বেশি তাঁরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণার শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নারীরা দুয়ের বেশি কয়টি সন্তানের জননী, তার ওপর নির্ভর করে তিনি কতটা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন।   বিশদ

16th  November, 2019
পুরুষের তুলনায় ঘুমের
বেশি প্রয়োজন নারীদের 

নারী ও পুরুষের শারীরিক চাহিদা যে আলাদা সে কথা প্রায় সবারই জানা। যেমন পুরুষের তুলনায় নারীর ঠান্ডা লাগে বেশি। তেমনই ঘুম ব্যাপারটি পুরুষের তুলনায় নারীরই বেশি প্রয়োজন। সমীক্ষায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে নারীদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি হওয়ার মূল কারণ দুটি। বিশদ

16th  November, 2019
 শিশুর সামাজিক বিকাশে নারীর ভূমিকা

বর্তমান জীবনের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে শিশু কতটা সফল তা অনেকটাই নির্ভর করে শিশুর সামাজিক বিকাশের উপর। সুন্দর সামাজিক বিকাশ শিশুকে পরবর্তী জীবনে করে তোলে সফল, সক্ষম ও সুনাগরিক। বিশদ

09th  November, 2019
 ৭৫ বছর ধরে মেয়েদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে
নারী সেবা সংঘ

  ১৯৪৩ সাল। সবে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দেশ তথা বাংলা তখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে প্রায় বিধ্বস্ত। আর সে সময়ই বাংলার কিছু সমাজ সচেতন ব্যক্তি এগিয়ে আসেন, দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে করুণ অবস্থার শিকার হওয়া মহিলা আর শিশুদের উপকার করার জন্য। বিশদ

09th  November, 2019
 অগ্নিযোদ্ধা তানিয়া

 হাতে সময় মাত্র ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড, আর সেটাই হচ্ছে সারভাইভাল টাইম। বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে, এটুকু সময়ের মধ্যেই যা করার করতে হবে। উদ্ধার কাজ শেষ করার জন্য বরাদ্দ এই সময়টাকে কাজে লাগাতে না পারলে প্রাণ বাঁচানো যাবে না বিমানযাত্রী এবং কর্মীদের। তাই গোটা প্রক্রিয়াটাই খুব চ্যালেঞ্জিং।
বিশদ

09th  November, 2019
মানুষ চেনা খুব কঠিন: অন্বেষা হাজরা 

মেয়েটির ভূত দেখার খুব ইচ্ছে। তাই সে ভূত দেখার জন্য যখন তখন হানাবাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু ভূতের বদলে সেখানে দেখা মেলে শুধুমাত্র চোরের। মেয়ের ভূত দেখার তাড়নায় অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ির লোক মেয়েটিকে বলে যে, তাকে ভূতের বাড়িতেই বিয়ে দেবে। যেখানে শাশুড়ি হবে শাকচুন্নি আর ননদ হবে পেতনি। 
বিশদ

02nd  November, 2019
বিদ্যাসাগরের বিধবারা 

বঙ্গবিধবাদের জগন্নাথধাম ‘পালানো’ সম্পর্কে এই বর্ণনা পাওয়া যায় ১৮৪৯ সালের ‘সম্বাদ রসরাজ’ পত্রিকায়— ‘নগরেতে হইয়াছে গেল গেল রব।/ পলাইয়া ক্ষেত্রে যায় নরনারী সব।।/ কাহারো পলায়ে গেল বিধবা বহুড়ী।/ এর বাড়ি তার বাড়ি খুঁজিছে শাশুড়ী।।’  
বিশদ

02nd  November, 2019
মা দুর্গার আর এক অন্য রূপ জ গ দ্ধা ত্রী

মা জগদ্ধাত্রী মহাশক্তির প্রতীক, তিনি সর্বস্থানে বিচরিত, তিনি চির শাশ্বত। তাঁর ধ্যান মন্ত্রে পাওয়া যায়,
সিংহ স্কন্ধ সমারূঢ়াং নানালঙ্কার ভূষিতাং।
চতুর্ভুজাং মহাদেবীং নাগ যজ্ঞোপবীতিধারিণীং...
নারদাদ্যৈ মুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীয়।।  বিশদ

02nd  November, 2019
যুগে যুগে ভা ই ফোঁ টা 

‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমদুয়ারে পড়ল কাঁটা’— বোনেরা এই মন্ত্র উচ্চারণে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাদের ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এখন তো প্রায় সবাই একা একা বড় হচ্ছে। তাই আগেকার মতো ভাইফোঁটা সবাই কি পালন করতে পারে? নাকি ভাইফোঁটা হারিয়ে যাচ্ছে? 
বিশদ

26th  October, 2019
ডুব দে রে মন কালী বলে 

জব চার্নকের শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণ অজস্র কালীবাড়ি রয়েছে। কোনও কালীবাড়ি সম্ভ্রান্ত পরিবারের রানির হাত ধরে, কোনওটা বা ফিরিঙ্গি সাহেবের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সারাবছর যে নিয়মই থাকুক না কেন দীপান্বিতা অমাবস্যায় অর্থাৎ কালীপুজোর বিশেষ দিনে কীভাবে পূজিত হন কলকাতার বিখ্যাত সব মন্দিরের মাতৃমূর্তি?
বিশদ

26th  October, 2019
মা কালী ও তন্ত্রসাধনা 

তন্ত্র সাধনার দেশ ভারতবর্ষ। সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে ভক্ত তার সিদ্ধিলাভের জন্য তন্ত্র সাধনা করে আসছেন। যে সব দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে তন্ত্র সাধনা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেবী হলেন কালী। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সাধক-সাধিকারা মা কালীর নানা রূপের সাধনা করেন। তন্ত্র সাধনা খুবই গুপ্ত ও কঠিন সাধনা। 
বিশদ

26th  October, 2019
দেবী কালিকার দেশমাতৃকা রূপ 

জাতীয়তাবাদের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় ‘মা’ শব্দটি। মাতৃশক্তি এমনই বৈশিষ্ট্য সমন্বিত যে মাতৃজাতির সৃষ্টি না হলে দেশকে বা ভগবানকে মাতৃজ্ঞানে অর্চনা করার অধিকারী আমরা হতাম না। বিশ্বাত্মবোধ, জাতীয়তাবাদ ও স্বদেশপ্রেম চিরন্তনী এই ত্রিধারা শাশ্বত ভারতে মাতৃবন্দনার বিশ্বরূপ। দেশমাতারূপে মহাশক্তি মহামায়া মহাকালিকাকে প্রত্যক্ষ করা সেই প্রেরণারই জীবন্ত প্রতিমা। 
বিশদ

26th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে বড়ঞা থানার বিপ্রশেখর গ্রামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাদল দত্ত(৫২)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।   ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...

ইসলামাবাদ, ১৮ নভেম্বর (পিটিআই): ভারতের অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার একদিন পরেই পাকিস্তান শাহিন-১ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করল। ৬৫০ কিলোমিটার দূরের বস্তুকে আঘাতে সক্ষম পাক ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন-১। ...

সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩৮ জন মাছচাষিকে সোমবার মাছ ও চুন বিতরণ করা হল।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM