কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
গত শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর তথা বিধান ভবনে বিক্ষোভ দেখানোর নামে বিজেপি’র যুব সংগঠন যেভাবে হাঙ্গামা ও ভাঙচুর করেছে, তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিন্দায় মুখর হয়েছে। এই ভাঙচুরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মানকড়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় কংগ্রেস শিবির আরও ক্ষুব্ধ হয়। হাইকমান্ডের অনুমোদন নিয়েই এই দুই ইস্যুতে তারা রাজ্যজুড়ে বিজেপি বিরোধী বিক্ষোভের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই তার প্রতিফলন ঘটেছে। সোমবার কলকাতায় রাজভবনের উত্তরপ্রান্তের ফটকের সামনে এবং ওয়েলিংটন স্কোয়ারে বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে কংগ্রেস সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা এলাকায় দলের দুই যুবনেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় ও রোহন মিত্রর নেতৃত্বে শ’খানেক সমর্থক বেশ কয়েক মিনিট বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিস শেষ পর্যন্ত দুই মহিলা সহ ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে, মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফে শ’দুয়েক সমর্থক বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে বিকেল চারটে নাগাদ বিক্ষোভ দেখায়। সেখান থেকে অবশ্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, কংগ্রেস সমর্থকদের এই জোড়া বিক্ষোভের কিছুক্ষণ পরই বিধান ভবনে খানিকটা আচমকাই হাজির হন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হাফিজ আলম সাইরানি। একদা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার ঘোরতর বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব লোকসভা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপে অবস্থান বদল করে সোনিয়ার দলের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি নরেনবাবুর মাতৃবিয়োগের পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে শোকপ্রকাশ করেন সোমেনবাবু। এমনকী, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও সশরীরে উপস্থিত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই প্রেক্ষাপটে এদিন নরেনবাবুরা বিজেপি’র হামলার নিন্দা করতে সরাসরি বিধান ভবনে গিয়ে হাজির হন। সোমেনবাবুর সঙ্গে দেখা করে এই ইস্যুতে বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচির প্রস্তাব দেন তাঁরা। ২৫ তারিখ উপনির্বাচনের পর সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে উভয়পক্ষই অঙ্গীকার করে। প্রসঙ্গত, জোটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে সিপিএম সহ ছ’টি বাম দল ও কংগ্রেসের যুব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে।