কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
গত মে মাসে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের শহরতলি থেকে বাগদাদির এক শ্যালক মহম্মদ আলি সাজেত আল-জুবায়েইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জানা যায়, সিরিয়ার ইদলিবে আত্মগোপন করে থাকতে পারেন আইএস প্রধান। পরে সিরিয়ায় বাগদাদির স্মাগলিং নেটওয়ার্কেও নিজেদের লোক ঢোকাতে সক্ষম হয় ইরাকি সেনা। সেখান থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই বাগদাদির ইদলিবের আত্মগোপনের ব্যাপারে জানানো হয় ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীকে। সেখান থেকেই বিষয়টি হাতে নেয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং অন্যান্য মার্কিন এজেন্সিগুলি। কুর্দিশ সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের সাহায্যে ইদলিবের বারিশা গ্রামে সেই আস্তানা খুঁজে পায় তারা।
২০১৫ সালে আইএসে যোগ দেওয়া আল-জুবায়েই ছিল বাগদাদির অন্যতম বিশ্বস্ত গাইড। আইএস প্রধানকে পালিয়ে বেড়াতে সাহায্য করত সে। আল-জুবায়েই ইরাকি সেনাকে নিয়ে যায় সিরিয়া সীমান্তবর্তী পশ্চিম ইরাকের কাইমের কাছে মরুভূমির মধ্যে থাকা একটি সুড়ঙ্গে। সেখান থেকে বাগদাদির ব্যক্তিগত সামগ্রী, বিভিন্ন মানচিত্র এবং হাতে লেখা কাগজপত্র উদ্ধার হয়। যদিও, বাগদাদি যে ইদলিবে লুকিয়ে রয়েছেন তা বিশ্বাস করতে চাননি ইরাক, মার্কিন সেনার বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ওই এলাকা আল কায়েদা সমর্থিত হায়াত তাহরির এ শামের নিয়ন্ত্রণে। যারা আবার আইএস বিরোধী। শত্রুর ডেরায় এবং তাও আবার তুরস্ক সীমান্ত থেকে মাত্র ৩ মাইল দূরের একটি গ্রামে যে বাগদাদি লুকিয়ে থাকবে তা বিশ্বাস করা শক্ত ছিল। আল আল্লাক জানিয়েছেন, অন্য আইএস নেতারাও উত্তর সিরিয়ায় পালিয়ে ছিল। ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে ইউফ্রেটিস নদী ধরে তল্লাশি অভিযান চলছিল। এসব থেকে দূরে দেশের পশ্চিমপ্রান্তে খোশমেজাজেই ছিল বাগদাদি।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে ইরাকের মসুলের মসজিদ থেকেই নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেছিল বাগদাদি। এর পর থেকেই আইএস প্রধানকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল ইরাক সেনা। পাঠানো হয় গুপ্তচর। একবার তো হাতের মুঠোয় এসেও চোখে ধুলো দেয় বাগদাদি। ইরাকি সেনা গোয়েন্দা কর্তার দাবি, সেসময় দিনে ১০ বারেরও বেশি আস্তানা বদল করত সে। ‘অপারেশন ফ্যালকন আই’ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ইরাকি সেনা গোয়েন্দা কর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা বাগদাদির চলাফেরার উপর পরোক্ষভাবে ওর পরিবারের মাধ্যমে নজর রাখছিলাম। বিয়য়টি গোপনে করার ফলে বাগদাদি ভেবেছিল যে আমাদের নজর ওর উপরে নেই।’ এরপরই আসে ২৬ অক্টোবরের সেই রাত।