কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
টিএমসিকে চাপে রাখতে লকেটের মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গরিব মানুষের টাকা লুট করেছে। আর তা রুখতেই নরেন্দ্র মোদিজি চৌকিদারের মতো সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন। আর তাতেই ভয় পাচ্ছে টিএমসি। ক’দিন পরেই বিধানসভার তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট। তাই চিটফান্ডের মতো ইস্যুতে তৃণমূলকে চেপে ধরতেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে দলের এমপিদের দিয়েই তোপ দাগানোর কৌশল নিয়েছিল।
যদিও বিজেপির এই কৌশল ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা চালায় তৃণমূল। চিটফান্ড সংশোধনী বিলের আলোচনায় কেন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে? কেনই বা বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে লকেটের কিছু কথা সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকারের আসনে বসা প্যানেল অব চেয়ারপার্সন কাকলি ঘোষদস্তিদার। তৃণমূলের বক্তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যয়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, চিটফান্ড বিষয়টিকে নিয়ে কেউ যেন রাজনীতি না করে।
তিনি বলেন, যারা দোষী আইন অনুযায়ী তাদের উপযুক্ত সাজা হোক। প্রয়োজনে জেলে পাঠান। কিন্তু বিষয়টিকে নির্বাচনী ইস্যু করা চলবে না। বছরের পর বছর বিষয়টিকে আদালতে ঝুলিয়ে না রেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ট্রায়াল শেষ করা হোক। তাছাড়া চিটফান্ড মামলায় নিয়ন্ত্রক তথা নজরদারি সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও সেবি, আরবিআই, রেজিস্টার অব কোম্পানিজের কাউকে এখনও কেন জিজ্ঞাসাবাদই করেনি সিবিআই? প্রশ্ন তোলেন কল্যাণবাবু।
লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন প্রবল উদ্দমে লোকসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন, পাল্টা চেপে ধরার চেষ্টা করেন কল্যাণবাবু। নাম না করে তিনিও লকেটের উদ্দেশ্যে বলেন, চিটফান্ডের এক মালিকের সঙ্গে কে বিদেশ গিয়েছিল? কার গাড়িতে ওই অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে? কল্যাণবাবুর সঙ্গে বিজেপিকে প্রতি আক্রমণে গলা মেলান মালা রায়, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মালের মতো টিএমসি এমপিরা। উভয়ের চাপান উতোর এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তড়িঘড়ি নিজের চেম্বার থেকে আসনে এসে স্পিকার ওম বিড়লাকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। তিনি বলেন, বিল নিয়ে আলোচনা করুন। অন্য কিছু নয়। এখানে পশ্চিমবঙ্গের ইস্যু তুলে লোকসভাকে রাজ্য বিধানসভা বানিয়ে ফেলবেন না।