কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
তৃণমূলের তোলা এইসব অভিযোগ নিয়েই সোমবার শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে জবাব দেন রাজ্যপাল। স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, নিজের অবস্থান থেকে কোনওমতেই পিছু হটবেন না। তিনি বলেন, সংবিধান রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। তাই কোনও পরিস্থিতিতেই কর্তব্য থেকে সরব না। রাজ্যের মানুষের সেবা করব। এজন্যই রাজ্যের সব জায়গায় যেতে হবে। সংবিধান অনুসারে আমি যে কোনও সময় রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। যাবও। কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি, সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগও মানতে নারাজ রাজ্যপাল। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বণিকসভার একটি অনুষ্ঠানে শিলিগুড়িতে এসেছিলাম। সেবার প্রশাসনের কেউ সার্কিট হাউসে আসেননি। এদিনও বিমানবন্দরে জেলাশাসক, পুলিস কমিশনার কেউ ছিলেন না। উত্তর ২৪ পরগনায় গিয়েছিলাম। সেখানেও জেলা পুলিস ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন না। ৫০দিন কেটে গেলেও রাজ্যের মুখ্যসচিব দেখা করার সময় পাননি। আমার জেলা সফরে জেলাশাসক ও পুলিস কমিশনাররা কেউ উপস্থিত থাকছেন না। তা হলে আমি সমান্তরাল প্রশাসন চালালাম কোথায়? বিমানবন্দর থেকে এখানে আসার সময় মুখ্যমন্ত্রীর অনেকগুলো কাট আউট দেখলাম। আমার তো একটাও দেখিনি! তাহলে আমি কীভাবে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছি? আমার কর্তব্য আমি জানি। আমি সংবিধান সম্পর্কে সচেতন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম শিলিগুড়ি এসেছিলেন রাজ্যপাল। সেসময়ও সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। প্রায় দেড় মাসের মাথায় এদিন রাজ্যপাল ফের শিলিগুড়িতে আসেন। কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় আসেন। সেখান থেকে তিনি রানিডাঙায় এসএসবি’র শিলিগুড়ি সেক্টর অফিসে যান। সেখানে অষ্টম বর্ষ সর্বভারতীয় পুলিস তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেন। দুপুরে শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে ফেরেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাজে আমি খুশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘বুলবুলের’ সময় মুখ্যমন্ত্রী দারুণ কাজ করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তিনি আমাকে তো লিখিতভাবে কিছু জানাননি। বুলবুল নিয়ে আমাকে অবহিত করা উচিত ছিল তঁার। রাজ্যের এক মন্ত্রী আমাকে পর্যটক বলেছেন। আমি পর্যটক নই। তবে এই রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে প্রমোট করছি। তিনি আরও বলেন, বলা হচ্ছে আমি কেন্দ্রের এজেন্ট। তাহলে তাই। সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করাই রাজ্যপালের কাজ। সেই ভূমিকা সুষ্ঠুমতো পালন করতে হলে কলকাতার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করি। নন্দীগ্রাম দেখার ইচ্ছা আছে। কয়েকদিন পর মালদহ ও মুর্শিদাবাদে যাব।