কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ‘বিজেপির লোক’ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন। দু’দিন আগে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তোপ দাগেন এবং সংসদে দল এই ইস্যুতে সরব হবে বলে জানান। রবিবার সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আর্জিও জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। অন্য একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজ্যপালও জানিয়েছেন, সকলেরই লক্ষণরেখা মেনে চলা উচিত। এবং এই আবহেই রাজ্যপালের পক্ষে সওয়াল খাড়া করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলার নীতি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
যার জেরে আজ দিলীপবাবু বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের এলাকাগুলি দেখতে চাইছেন। আক্রান্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছেন। এর মধ্যে কোনও এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়ই নেই। আসলে এভাবে সর্বত্র রাজ্যপাল ঘুরে বেড়ালে তাদের অনেক গোপন কথা প্রকাশ্যে চলে আসার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই এত বিরোধিতা করা হচ্ছে।’ দিলীপবাবুর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দ্রবাবুর নাইডুর দলের মতো পরিস্থিতি হয়েছে। কেউ তাঁর কথা শুনছে না। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যথেষ্ট সক্রিয়। নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকতে তিনি পছন্দ করেন না। স্বাভাবিক কারণেই তাঁকে শাসক দলের বিরাগভাজন হতে হয়েছে।’ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপাল ইস্যুতে তৃণমূল যদি লোকসভাতেও হইচই করে, তাহলে পাল্টা দ্বিগুণ প্রতিক্রিয়া দেবেন গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেডের সংসদ সদস্যরা।