কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। নয়া আইনে রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় — জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। তারপর থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। যার প্রতিবাদে জম্মু ও কাশ্মীরজুড়ে চলছে আন্দোলনও। এরপরেই বৃত্তিপ্রাপকরা যাতে তাঁদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রিপোর্ট করতে পারে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায় রাজ্য প্রশাসন। সেই আবেদনে রাজ্য সরকার জানায়, উপত্যকায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ থাকার জন্য পড়ুয়ারা যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না। সেইমতো সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর করে শীর্ষ আদালত।
তারপর দেখা গিয়েছে, পিএমএসএসএস-এর আওতায় এ বছর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৪১৮ জন পড়ুয়া। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের সচিব আর সুব্রহ্মণ্যম ট্যুইট-বার্তায় লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি বৃত্তি প্রকল্প এ বছর বড় সাফল্যের মুখ দেখেছে। গত বছরের তুলনায় জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। এ হেন উদ্যোগের জন্য এআইসিটিই-কে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, এ বছর যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের ৪ হাজার ৪১৮ পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন, সেখানে ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৪৩ জন। আবার ২০১৭ সালে যেখানে উক্ত বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২১ জন, সেখানে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬৮, ১ হাজার ৩৪১ এবং ২ হাজার ১৬৮ জন।