শ্রীনগর, ১৮ নভেম্বর (পিটিআই): ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে কাশ্মীর। সপ্তাহের শুরুতে শ্রীনগরে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সোমবার শহরে প্রচুর সংখ্যক সংখ্যক বাস, মিনিবাস পথে নেমেছে। পাশাপাশি কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলাতেও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে অটো ও অন্যান্য বেসরকারি গাড়িও এদিন পথে নেমেছে। বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সকাল হতেই শ্রীনগর থেকে বিভিন্ন রুটে বাসগুলি ছেড়ে যায়। প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে শ্রীনগর ও জেলা শহরগুলিতেই বাস ও অটো চলাচল করছিল। এবার জেলা শহর থেকে বিভিন্ন রুটে বাসগুলি চলাচল করতে শুরু করে দিয়েছে। তবে এদিন শ্রীনগরের লালচকে কোনও অস্থায়ী দোকান বসতে দেয়নি পুলিস। লালচকে রাস্তার ধারে এক হকার দোকান সাজিয়ে বসতে গেলে পুলিস তাঁকে তুলে দেয়। তাঁর মালপত্র ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, টিআরসি চক থেকে লালচক সড়কের ধারে প্রতিদিনই আমি দোকান বসতাম। কিন্তু আজ কেন তুলে দেওয়া হল, বুঝতে পারছি না। যদিও পুলিসের তরফে শহরে যানজট এড়াতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগরে এদিন গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে লালচকে যানজট সৃষ্টি হয়। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও রবিবার শ্রীনগর থেকে বানিহাল পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে চালু হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি উপত্যকাবাসী। স্কুল, কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছে। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। শিশুদেরও স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না অভিভাবকরা।
এদিকে জম্মুতে মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ও ন্যাশনাল প্যান্থার পার্টি (এনপিপি)। সোমবার জম্মু শহরে এনপিপির হয়ে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হর্ষ দেব সিং। বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্লোগান দেন। প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ব্রডব্যান্ড ও মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু না হওয়ার কারণে সমাজে তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর প্রভাবে মানুষের স্বভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট থেকে কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।