কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
অভিযুক্ত কনস্টেবলকে যদিও এদিন বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পুলিসের এক কর্তার দাবি, ওই ছোট গাড়ির চালক নিয়ম ভাঙাতেই তাঁকে আটকানো হয়। দু’জনের মধ্যে একটু তর্কাতর্কিও হয়। এতেই মাথা গরম করে গায়ে হাত তুলে বসেন পুলিস কনস্টেবল। তিনি বলেন, সকালের দিকে বাসস্ট্যান্ডের কাছে ট্রাফিকের খুবই চাপ থাকে। তা সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তবে কোনও অবস্থাতেই গায়ে হাত দেওয়া কাম্য নয়।
জখম গাড়ি চালক অমিত সর্দার বলেন, বাসস্ট্যান্ডের আগে আমি ডানদিকে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। পুলিসের একজন এসে আমাকে বলল আর একটু দাঁড়াতে হবে। আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েই বলি, সাইড করে দিতে। কিন্তু উনি সেটা শুনে রেগে গিয়ে আমার জামার কলার ধরেন। এরপরই আমাকে চড় মারা হয়। আমি প্রতিবাদ করতেই, হাতের একটা যন্ত্র দিয়ে আমাকে মারা হয়। আমার কী দোষ সেটা বুঝতে পারছি না।
টোটোচালক থেকে গাড়ি চালকরা বলছেন, কৃষ্ণনগরে পুলিসের গায়ে হাত দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। একাধিক টোটো চালককে আইন ভাঙার জন্য চড় থাপ্পড় চালানো হয়েছে। সকলের প্রশ্ন, আইন ভাঙা হলে তারজন্য শাস্তি দেওয়া হোক, মামলা রুজু হোক, গায়ে হাত কেন তোলা হবে। এনিয়ে বিভিন্ন গাড়ির চালকরা এদিন সরব হয়ে ওঠেন। স্কুল-অফিসে যাওয়ার সময়ই রাস্তা অবরোধ হয়। সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়। পুলিসের ওই কর্তা বলেন, ম্যান প্যাকের তলার দিকটা খুবই ভারী। সে কারণে অল্প আঘাতেও ভালো লেগেছে ওই ব্যক্তির। কৃষ্ণনগরে যানজট মোকাবিলায় পুলিসের ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে। শহরের সংকীর্ণ রাস্তায় ট্রাফিক সামলাতে পুলিসকে যতটা তৎপর হওয়া উচিত পুলিস তা নয় বলেই অভিযোগ। পুজোর আগে বেশকিছু রাস্তা ওয়ান ওয়ে করায় যানজট সামান্য হলেও কিছুটা কমে। পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই বদল হওয়ার দরকার। টোটো চালক অনিল বিশ্বাস, গাড়ি চালক তপন দাস বলেন, যাইহোক না কেন, গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি। গত কয়েক মাস ধরে ট্রাফিক পুলিস বা কোতোয়ালি থানার পুলিস অনেকের গায়েই হাত তুলেছে। এটা ঠিক নয়।