কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজারে সব সব্জির দামই যেন কিছু বেশি। যেমন, বেগুন প্রতি কেজি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পটল কেজি প্রতি ৪০-৫০টাকা, উচ্ছে ৭০ টাকা কেজি, মটরশুঁটি ১৫০ টাকা কেজি, গাজর ১৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ী রাজু শেখ বলেন, ঝড়ের জন্য জিনিসপত্রের একটু দাম বেশি। আমরাও দেশি দাম দিয়েই সব কিনছি। রানাঘাট রেলবাজারে খুচরো এবং পাইকারির মধ্যে দামের ফারাক ক্রেতাদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
জেলার বাজারগুলিতে ডিমের দামও চড়া, ৫.৫০ টাকা পিস। পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৫০ টাকা, জ্যোতি আলু ২০ টাকা, চন্দ্রমুখি আলু ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, উচ্ছে ৭০ টাকা, পালংশাক ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা কেজি, ছোট ফুলকপি ২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বিনস ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রানাঘাট রেলবাজার সংযুক্ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পিন্টু সরকার বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। ফলে আমদানি কম হওয়ার জন্য জিনিসের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যেই দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জেলার বিভিন্ন বাজারে সব্জির দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত মানুষ। দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বৈঠকে টাস্কফোর্স গঠন করেন। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের দাবি, সরকারিভাবে বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হোক। রানাঘাট রেলবাজার সংযুক্ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পিন্টু সরকার বলেন, আগে প্রশাসনের তরফ থেকে মাঝেমধ্যেই বাজারে এসে সব্জির পাইকারি ও খুচরো দাম লিখে নিয়ে যেত। সাধারণ নাগরিক অসুবিধায় পড়ছেন কি না সেটা দেখা হতো। এককথায় বলতে গেলে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল বিষয়টি। প্রশাসনের এই নিয়ন্ত্রণ এখন আর চোখে পড়ে না। অন্যদিকে, রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরণ সিং বলেন, বাজারগুলিতে দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নজরদারি চালানোর বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে জেলার এগ্রিকালচার মার্কেটিং অফিস থেকে বিষয়টির ওপর নজরদারি চালানো হয়। অন্যদিকে, এগ্রিকালচার মার্কেটিং দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দিলীপ সাহা বলেন, সব্জির দাম বিগত কয়েকদিনে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। যারা সব্জি নিয়ে কালোবাজারি করছেন তাদেরকে সতর্ক করে সরাসরি বলা হয়েছে, হয় তোমরা ঠিকমতো ব্যবসা করো, নয়তো জেলে যাও। এছাড়া, মাঝেমধ্যে জেলার বিভিন্ন বাজারে হানা দেওয়া হচ্ছে। জেলার একটা বড় অংশের সব্জি বাদকুল্লার আড়তে আসে। সেখানেও আমরা নজর রেখেছি।