বিএনএ, আসানসোল: বারাবনি থানার হোসেনপুর, জামগ্রাম, পানুড়িয়া, কাঁটাপাহাড়ি সহ একাধিক এলাকায় বিজেপির পার্টিঅফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে হোসেনপুর এলাকায় দিদিকে বলো কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক নেতৃত্বের এলাকায় যাওয়ার পরই বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। এরপরেই সোমবার পরিস্থিতি আরও জটিল পরিস্থিতি নেয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে বাইরে থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গেলে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এমনকী বারাবনি বিধানসভা এলাকার একাধিক বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এমনকী পানুড়িয়া হাট, কাঁটাপাহাড়ি জামগ্রাম একাধিক দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। পুলিস উল্টে আমাদেরই একজনকে আটক করেছে।
অন্যদিকে বারাবনি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অসিত সিং বলেন, বারাবনিতে বিজেপির একাধিক গ্রুপ রয়েছে। নিজেরাই মারামারি করে। এই ঘটনাও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। আমরা দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি এসব করার সময় বা ইচ্ছা কোনওটাই নেই। পুলিস জানিয়েছে, এখনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনও রাজনৈতিক দল লিখিত অভিযোগ করেনি। কোন আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র রয়েছে বারাবনি ব্লকে। এমনকী বিজেপি বার বার এই ব্লককে তৃণমূলের সন্ত্রাস কবলিত ব্লক হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। রবিবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, ব্লক সভাপতি অসিত সিং সহ নেতৃত্ব দিদিকে বলো কর্মসূচি করতে হোসেনপুর গ্রামে যায়। তার পরেই বিজেপির এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে দেখতে বিজেপির প্রতিনিধি দল গ্রামে যেতেই সোমবার সকালে তাদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল বলে অভিযোগ। তারপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাকি এলাকাগুলিতে। নির্বিচারে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চলে।