কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, বালি চুরি আটকাতে আমরা এই প্রথম জেলায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিসেম্বর মাসের গোড়াতেই আমরা এই অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এরফলে একদিকে যেমন বালি চুরি কমবে, তেমনই সরকারি রাজস্ব বাড়বে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় গত আর্থিক বছরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে ৪৪কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে প্রশাসনিক তৎপরতায় গত আর্থিক বছরে ৫৯কোটি ১৩লক্ষ ৪হাজার ৭৩৮টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে ৪৮কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়েছে। আর্থিক বছরের বাকি কয়েক মাস ঠিকঠাক চললে লক্ষ্যমাত্রার ১৫০শতাংশ আদায় হবে বলে আশা করছেন ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় আদায় হওয়া মোট রাজস্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই আসে বালি থেকে। তাই বালি চুরি আটকে সরকারি রাজস্ব বাড়াতে এবার প্রথম থেকেই ঘাট চালুর আগে রঙিন খুঁটি দিয়ে ইরারাদারদের জায়গার সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, বালি তোলার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন সময়ে ঘাটগুলিতে নজরদারিও চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, জেলার দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, দামোদর, শিলাবতী সহ বিভিন্ন ছোট বড় নদীর ১২২টি জায়গায় প্রশাসন অনুমোদিত বৈধ বালি ঘাট বা খাদান রয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তার মধ্যে মেজিয়া, বড়জোড়া, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, জয়পুর, ওন্দা, বিষ্ণুপুর ও সারেঙ্গা ব্লকের একাধিক জায়গা থেকে অবৈধ বালি খাদান চলছে বলে দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। যারমধ্যে বড়জোড়ার মানা ও মেজিয়ায় দামোদর নদ লাগোয়া এলাকাগুলিতে গত বছরও রমরমিয়ে অবৈধ ঘাট থেকে বালি চুরি হয়েছিল। বছরভর ওই এলাকাগুলিতে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসন প্রায় ৪কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছিল। চলতি আর্থিক বছরের গত কয়েক মাসে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন প্রায় ২কোটি টাকার কাছাকাছি জরিমানা আদায় করেছে। তাই দামোদর নদ বরাবর মেজিয়া থেকে কোতুলপুর পর্যন্ত নদী ও সংলগ্ন এলাকাতেই প্রথম দফায় অভিযানে নামার পরিকল্পনা করছেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা।