Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শিবসেনা ও একটি পরম্পরার অপমৃত্যু
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শিবাজি পার্কের জনসভায় তির-ধনুকটা নামিয়ে বক্তৃতা শুরু করতে গিয়েও থমকে গেলেন বাল থ্যাকারে। শব্দবাজির দাপট কানের যাবতীয় সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করছে। সঙ্গে চিৎকার... উল্লাস। অপেক্ষা করছেন শিবসেনা ‘প্রমুখ’। তির-ধনুক তাঁর দলের প্রতীক। পৌরুষের প্রতীক। তিনি নিজেও তাই। ১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের প্রচার। আর এবার তিনি আত্মবিশ্বাসী, নিশ্চিত... মহারাষ্ট্রে সরকার হবে শিবসেনা-বিজেপিরই। বাজির শব্দ স্তিমিত হয়ে আসছে... বক্তব্য শুরু করলেন বাল থ্যাকারে। ভুল হল, বক্তব্য নয়। চোখা চোখা বাণের মতো শব্দবন্ধে আক্রমণ। শারদ পাওয়ারকে। সেবার ১৬৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে শিবসেনা জিতেছিল ৭৩টি। বিজেপি ১১৬টিতে লড়াই করে জয় পেয়েছিল ৬৫ আসনে। চাইলে কি সেবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না তিনি? আলবাৎ পারতেন। কিন্তু ওই ভোটের ফল ঘোষণার দিনকয়েক আগে একটি সাক্ষাৎকারে বালাসাহেব থ্যাকারে বলেছিলেন, ‘শপথ নিয়েছি... ওই কুর্সি (মুখ্যমন্ত্রীর) কোনওদিন ছুঁয়েও দেখব না। মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে... কারণ তারা মনে করে, আমি অন্যদের থেকে আলাদা। সেই বিশ্বাস আমি ভাঙতে পারি না। ভাঙবও না।’... ঠিক তার পরের বিধানসভা নির্বাচন। ১৯৯৯। জিজ্ঞেস করা হল, প্রয়োজনে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে জোট? বলেছিলেন, ‘লোকে বলে রাজনীতিটা স্কাউন্ড্রেলদের খেলা। আপনার উপর নির্ভর করছে আপনি ভদ্রলোক থাকবেন, নাকি স্কাউন্ড্রেল হবেন। কেউ যদি যেচে স্কাউন্ড্রেল হতে চায়... আটকানো যায় না। তবে আমি একজন স্কাউন্ড্রেলের সঙ্গে জোট বাঁধব না। ওই লোকটা অটলবিহারী বাজপেয়ির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা ক্ষমাহীন অপরাধ। গ্যারান্টি কি ভবিষ্যতেও করবে না?’
শারদ পাওয়ার তখন কংগ্রেসে। বিদেশিনী ইস্যু মাথাচাড়া দেয়নি। অর্থাৎ, সোনিয়া গান্ধীর নামে গাল পেড়ে দল ছাড়েননি তিনি। ১৩ মাসের অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারকে মাত্র এক ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে শারদ পাওয়ারের ভূমিকাই প্রবল বলে মনে করা হয়। এখন সময় বদলেছে। বালাসাহেব এখন অতীত। একজন কার্টুনিস্ট। শিল্পী। মারাঠা জাত্যাভিমানের লড়াইয়ের সেনাপতি। ‘সরকার’। ঠিক এই কারণে লোকে শিবসেনাকে মনে রাখে... ভোট দেয়। দলটা বাল থ্যাকারের। যে ভোট শিবসেনা পায়, তার বেশিটাই ওই গেরুয়া গায়ে, রুদ্রাক্ষের মালা পরা লোকটার লেগাসির জন্য। শুধু উদ্ধব থ্যাকারে বা আদিত্য থ্যাকারের ক্যারিশমায় আজকের দিনে কি ৫৬টা আসন শিবসৈনিকরা পেতে পারে? তর্কের ব্যাপার। কিন্তু সে যেভাবেই হোক, পেয়েছে। এবং এবার হয়তো দু’টোই হচ্ছে—মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ‘পরিবারে’র কেউ, আর শারদ পাওয়ারের সঙ্গে জোট। অন্তত এনসিপি প্রধানের দাবি মানলে তো তাই মনে হচ্ছে। কংগ্রেস ও এনসিপি থেকে একজন করে উপ মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার। অর্থাৎ, বাল থ্যাকারে যে আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন... এই পরিবার ক্ষমতার রসায়নের মধ্যে ঢুকে পড়লে মানুষের মধ্যে থেকে সেই বিশ্বাসযোগ্যতাটা চলে যাবে, সেই ভাবনাটাও আজ অতীত হতে বসেছে। হয়তো উদ্ধব থ্যাকারে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিংবা আদিত্য। আবার বিজেপিও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। মহারাষ্ট্রজুড়ে কেমন একটা ঘোড়া কেনাবেচার গন্ধ। এর উপর বিজেপি আরও বলছে, এখনও সেনার জন্য দরজা খোলা। হাতে ১১৯টি আসন নিশ্চিত। শিবসেনা জোটে যোগ দিতে চাইলে দিতেই পারে। কিন্তু তার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এটা হল আপাতত মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। যার কি খুব প্রয়োজন ছিল? উদ্ধবরা যদি মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি নিয়ে প্রাণপণ দড়ি টানাটানি না করতেন, তাহলে এতদিনে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হয়ে যেত। আসলে ৫৬টি আসন ঝুলিতে চলে আসার পর শিবসেনা ভাবল, এই তো সুযোগ। ১০৫টা আসন নিয়ে বিজেপি একা সরকার গঠন করতে পারবে না। শিবসেনা যদি সমর্থন না করে, তাহলে হয় কংগ্রেস কিংবা এনসিপির সঙ্গে ওদের জোট বাঁধতে হবে। যা সম্ভব নয়। ২৯টি নির্দলের সবাইকে রাজি করাতে পারলেও ম্যাজিক ফিগার ১৪৫-এ পৌঁছনো যাবে না। ব্যাস! শিবসেনা দাবিতে অনড়... মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারই চাই। পুরো পাঁচ বছর না হোক, আড়াই বছর হলেও চলবে। আর বিজেপির গোঁ, দেবেন্দ্র ফড়নবিশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
শিবসেনা আসলে একটা বিষয় স্পষ্ট বুঝে গিয়েছিল... হয় এবার নয় নেভার। আর দর কষাকষির ঘোরে উদ্ধবরা ভুলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আসলে দলের রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভিতেই কুড়ুল মেরে দিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস-এনসিপিও পুতুল নাচন নাচাচ্ছে। এমন অবস্থায় যদি সরকার গঠন না হয়ে মহারাষ্ট্রে ফের বিধানসভা ভোট করাতে হয়, তার দায় পুরোটাই চাপবে তাঁদের উপর। প্রত্যক্ষ দায় যদি সেনার হয়, বিজেপিও কিন্তু ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে থাকতে পারবে না! কুমিরছানার মতো দিনের পর দিন তারা একটাই ছবি দেখিয়ে যাচ্ছে—‘সব ঠিক আছে’। বেকারত্ব, কমতে থাকা জিডিপি, বাজারে নগদের ঘাটতি, উধাও হয়ে যাওয়া শিল্প-সম্ভাবনা... তাও তাদের দাবি ‘সব কুছ ঠিক হ্যায়’। ভোটার কিন্তু বোকা নয়। আর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের গঠনতন্ত্রটাও আলাদা। প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। তার বিকল্প কোনও মুখ ভারতের ভোটাররা খুঁজে পাননি। তাই বিজেপিতেই ভোট-ভরসা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন নিজের রাজ্যের ব্যাপার। ঘরের ব্যাপার। বিকল্প অনেক বেশি। ছবিটা পরিষ্কার, ওভার কনফিডেন্সের চোরাবালিতেই ডুবতে শুরু করেছে বিজেপি। তারা মনে করছে, যেখানে হাত দেব সোনা ফলবে। তা কিন্তু হচ্ছে না! তাই মহারাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ ডজন ডজন সভা করেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারেননি। এখনও অমিত শাহ কী ভেবে রেখেছেন জানা নেই। ধরে নেওয়া যেতেই পারে কোনও প্ল্যান বি রয়েছে। আপাতত সেটা সামনে আসেনি। বরং শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মধ্যে নিত্য বৈঠক চলছে। ছকটা হয়েছে। এবার কাঠামোটা বানাতে হবে। যেনতেনপ্রকারেণ সরকার গড়তেই হবে—এই মনোভাব থাকলে বিজেপি কিন্তু শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিত। তা তারা করেনি। বরং এনসিপি-কংগ্রেস তেমন একটা টার্গেট নিয়েই ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ যখন মিলেছে সদ্ব্যবহার করো। এখানেও আর একটা ‘কিন্তু’ রয়েছে। সেটা কী? ধরা যাক সরকার হয়ে গেল। তারপর? কেউ বলছে এই বিয়ে দু’বছর টিকলে হয়! তো কেউ বাজি ধরছে, ছ’মাসও টিকবে না। রাজনীতি যতটা অঙ্ক, তার থেকে অনেক বেশি রসায়ন। একের সঙ্গে অপর শরিকের সম্পর্কটা পাঁচ বছর ধরে ঠিক কতটা মধুর থাকবে, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ভুল হল, সব কিছু।
এবার প্রশ্ন হল উদ্ধব থ্যাকারের কি সেই রাজনৈতিক যোগ্যতা আছে? গত সাত বছর ধরে নিজেকে বাবার পর্যায়ে উন্নীত করতে পারেননি তিনি। বরং দলটাকে বাল থ্যাকারের লেগাসিতে মুড়েই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর অনুসরণ করছেন বাল থ্যাকারের পলিসি। গ্রামের দিকে নজর। কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতিশ্রুতি, মারাঠা জাত্যাভিমান। বিজেপি যা বলতে বা করতে চেয়েছে, শিবসেনা তারই উল্টো গান গেয়ে ফড়নবিশ ও মোদি সরকারকে বিরক্ত করেছে। কখনও জনসমক্ষে বিবৃতি দিয়ে, তো কখনও ‘সামনা’র সম্পাদকীয়র মাধ্যমে। উদ্ধবের এখানেও একটা ঢাল রয়েছে। স্বয়ং বাল থ্যাকারে। দু’দশক আগে তাঁকে যখন ছেলে উদ্ধব এবং ভাইপো রাজের রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, ‘রাজীব গান্ধীও তো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর রাজনৈতিক যোগ্যতা কী ছিল?’ রাজীব গান্ধীকে ডুবিয়েছিল তাঁর একের পর এক মিস-অ্যাডভেঞ্চার। উদ্ধব যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে অন্যরকম কিছু হতেই পারে। হয়তো ভালো কিছু! সেটা সময় বলবে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের নিরিখে দেশজুড়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যে বেশ কিছুটা বিগড়ে গিয়েছে, সে নিয়ে সন্দেহ নেই। বিজেপিকে এখন আস্তিন থেকে নতুন কোনও তাস বের করতেই হবে। সেই তাস শুধু বিরোধী বা শরিক দলের জন্য হলে চলবে না। সেটা হতে হবে ভোটারকুলের জন্য।
এগুলো অবশ্যই পর্দার আড়ালে থাকা ছবি। সামনের ছবিটা হল, কংগ্রেস হাত মেলাচ্ছে শিবসেনার সঙ্গে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। ক্ষমতায় থাকার জন্য যে কারও হাত ধরা যায়, এটাই আপাতত বিরোধী দলগুলির এজেন্ডা। শারদ পাওয়ারের মিষ্টি কথায় শিবসেনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছে। লোকসভার অধিবেশনে তারা এবার বসছে বিরোধী বেঞ্চে। আর দূরেরটা দেখলে? বিজেপি কিন্তু শক্তি হারাচ্ছে। আরও সোজাভাবে বলতে গেলে শরিকরা সরে যাচ্ছে। শিবসেনা সরে যাওয়ার পর জেডিইউ ছাড়া তেমন শক্তিশালী শরিক আর এনডিএতে নেই। সংখ্যায় হয়তো প্রচুর, কিন্তু ভোটারদের মধ্যে তাদের প্রভাব ফেলার ক্ষমতা দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। জয়ললিতা বেঁচে থাকাকালীন তাও এআইএডিএমকের কিছু জোর ছিল। এখন নেই। বিধানসভা ভোটগুলিতে শরিকহীনতার প্রমাণ পাচ্ছে বিজেপি। এই প্রবণতা আরও বাড়বে। মহারাষ্ট্রই তার পথনির্দেশক। বন্ধুসুলভ আচরণ নয়, শরিকদের উপর দাদাগিরিটাই মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে বিজেপির। অভিভাবক হতে গেলে অনেক সহনশীল হতে হয়, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। লোকসভায় তিন শতাধিক আসনে বলীয়ান বিজেপি সেসব রাজনৈতিক নীতিকথা ভুলেছে। প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি দেখা করতে এলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে নেমে আসতেন পোর্টিকোয়। দাঁড়াতেন গাড়ির সামনে। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। শরিক দলের নেতাকে গাড়ির দরজা থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে না গেলেও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ত না। কিন্তু তিনি সেটাই করতেন জোট-রাজনীতির খাতিরে।
এটাই শিক্ষণীয়। আজ বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার মতো শক্তিশালী বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নেপথ্যে অবশ্যই শারদ পাওয়ার। সেই পাওয়ার, যিনি ’৮২ সালে টেক্সটাইল কর্মীদের ধর্মঘটে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন বালাসাহেব থ্যাকারের সঙ্গে। কিন্তু আদর্শে কট্টর বাল থ্যাকারে পরবর্তীকালে রাজনীতির মুদ্রায় শারদ পাওয়ারের উল্টো পিঠ হয়ে যান। যা কোনওদিন মিলতে পারে না। সেনা সুপ্রিমোর জীবদ্দশায় তা মেলেওনি। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরিরা? পদবিটা এক হতে পারে। চরিত্র নয়। তাই এই শারদ পাওয়ারই এখন লেজে খেলাতে শুরু করেছেন শিবসেনাকে। নিন্দুকে বলছে, দিল্লি থেকে নির্ঘাত হুমকি এসেছে। এনসিপির অজিত পাওয়ার ও প্রফুল্ল প্যাটেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে পড়েছেন। আয়কর দপ্তরের হানা শুরু হয়েছে। এর থেকে বাঁচতে গেলে কিছু তো আত্মত্যাগ করতেই হবে। তাই শারদ পাওয়ার শেষ মুহূর্তে কোনদিকে যান, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
যদি বাল থ্যাকারে বেঁচে থাকতেন...! 
প্রচলিত ছকে মৌসুমি বায়ু চরিত্র বোঝা যাচ্ছে না
শান্তনু বসু

২০১৯-এর এই উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত আবহাওয়াবিদদের হিসেবেই ছিল না। উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরুজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু আগামী বছর যদি আরও দেরিতে কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, ভারতের কৃষি আবার অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। চলতি বছরের উদ্বৃত্ত জলকে ধরে রাখা হয়েছে—এমন সুখবর কিন্তু নেই।
বিশদ

18th  November, 2019
একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন।  
বিশদ

18th  November, 2019
মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

আজকের নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান!
বিশদ

17th  November, 2019
ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
জল বেড়েছে, বোধ বাড়েনি
রঞ্জন সেন

 সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে পৃথিবীর বহু উপকূলবর্তী দেশ ও দ্বীপ বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা এটাও বলছেন আমরা সবাই মিলে এবং রাষ্ট্রনায়কেরা চাইলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারি। বিশদ

16th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

15th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...

সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে বড়ঞা থানার বিপ্রশেখর গ্রামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাদল দত্ত(৫২)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।   ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

মাইসুরু, ১৮ নভেম্বর: রবিবার মাইসুরুতে একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে গিয়ে আততায়ীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তনভির সাইত। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM