Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড! ধরা যাক, কোনও যুবা প্রেমিকপুরুষ প্রেমিকার সঙ্গে নিভৃত মিলনের জন্যে একটি ডেট দিয়েছে। এবং, নির্দিষ্ট দিনক্ষণে ঘর ছেড়ে নিভৃত স্থানে প্রেমিকা চলেও এল। তখন প্রেমিক কী করবে? আবেগে রোমান্সে প্রেমিকার সঙ্গে মিলিত হবে নিশ্চয়। অবশ্যই কলহ বিতর্কে সুযোগটি মাটি করে দেবে না। কিন্তু, উল্লিখিত পুরুষ বিশারদটি করে বসল উল্টোটাই। এই বিশারদ কে? পিরিতির শিরোমণি গোপীকান্ত রাধাকান্ত স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। মিলনের প্রাকরাস পর্বে একটি ভয়ঙ্কর সংকট তৈরি করে ফেলল। একরকম অবাঞ্ছিত ঘোর অশান্তি।
কাত্যায়নী ব্রতদিনেই যমুনা পুলিনে হচ্ছে বস্ত্রহরণ। গোপীদের সেসময় কথা দিয়েছিল প্রেমিক কৃষ্ণ। শারদ পূর্ণিমার চাঁদিনি রাতে আমি তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। এবং, এই কথামতোই সেদিন যথাসময়ে বংশীধ্বনি করে আবাহনও করল কৃষ্ণ। মোহিনী রাত, উজ্জ্বল নীলাকাশ, ফুলময় কুঞ্জবনে ভ্রমরার গুঞ্জন। রাসপূর্ণিমার বহু বাঞ্ছিত রাত্রি। এবং স্বামী স্বজন পরিজন আর সর্বস্ব ছেড়ে একমাত্র কৃষ্ণমুখী হয়ে গোপীরা নিকুঞ্জবনে উপস্থিত। ওরা তখন প্রেমে উন্মাদিনী। এবং, হরিষে বিষাদ। অভাবনীয় সংকট শুরু। ভাবা যায় না।
এহেন পরিমণ্ডলে নাগর কানাইয়ের অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া পুরোপুরি বদলে গেল। গোপীকান্তর চিত্রটা পুরো বিপরীত। গোপীদের দর্শন মাত্রই বিস্ময়। নির্লিপ্ত নির্বিকার উদাসীন এবং বিরক্ত। পারদ চড়ছে ক্রমে। অবজ্ঞা অবমাননা অপমান। নেপথ্য থেকে সবই দেখছে যোগমায়া, দেখছে প্রকৃতি। কৃষ্ণ-মানসের কী আশ্চর্য বৈপরীত্য! হঠাৎ করেই শুষ্ক সম্বোধন। ‘স্বাগতং বো মহাভাগাঃ’। সৌজন্যসার নিষ্প্রাণ সম্বোধনের পরেই বলছে, ‘‘তোমরা কেন এসেছ? বলো, আমি তোমাদের কী উপকার করতে পারি। ব্রজের কোনও অমঙ্গল হয়েছে কি?’’ ইত্যাদি মামুলি কথায় প্রেমিকাকুল শুধু বিস্মিতই নয়, নৈরাশ্যে শীতল। এ কী ব্যবহার প্রিয়তমের! অন্তর্যামী কৃষ্ণ, মনোবিদ কৃষ্ণ কিন্তু গোপীদের নৈরাশ্যটি ভালোই বুঝেছে। তারপরই বলছে, ‘‘তোমরা তো সুন্দরী যুবতী। তাতে আবার এখন রাত্রিকাল। নির্জন বন, পথঘাট বিপদ সংকুল। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তো একজন পরপুরুষ। তাই বলছিলাম কী, তোমাদের আর এখানে থাকা ঠিক নয়। ব্রজে ঘরে ফিরে যাও।’’
গোপীরা ভেবে কুলকিনারা পায় না। এসব কী শব্দাবলি। পরপুরুষ, ঘরে ফিরে যাও, প্রিয়তমের মুখে এসব কী কথা! এদিকে কৃষ্ণ আরেকটি বাক্যবাণ ছুঁড়ল—‘‘দেখো, আমি তো ব্রহ্মচারী, সবাই জানে লোকনিন্দা বলে তো একটা কথা আছে।’’ এত তীব্র উপেক্ষায় গোপীরা দিশাহারা। আবার বলছে কৃষ্ণ, ‘‘আমার ইচ্ছা ও নির্দেশ যদি তোমরা না মানো, তবে তোমরা থাকো। আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি। পরনারীর সঙ্গে এই নির্জন পরিবেশে থাকতে আমি রাজি নই। লোকনিন্দা লোকভয় আমার তো আছে। তোমরা চলে যাও।’’ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে গোপিকাদের। উপেক্ষা অপমানে তির বেঁধা হংসী ওরা। তবু সংগ্রামী শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে ছাড়ছে না। ভাবছে, দেখা যাক না, কে হারে কে জেতে।
কোমল কণ্ঠেই বলল গোপীরা, ‘‘প্রাণধন তোমার পাদপদ্মই তো আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ ঠাঁই। তবে কেন নিরাপত্তা পরপুরুষ লোকনিন্দার কথা বলছ। এ কী দুঃস্বপ্ন দেখছি আমরা!’’ চোখের জল ঝরিয়ে তারপর বলল, ‘‘না আমরা ঘরে ফিরব না। সর্বস্ব ত্যাগ করে যখন এসেছি, তখন ঘরে আর ফিরব না। বাঁশিতে ডেকে এনে এখন সাধু উপদেশ! তোমার চরণেই নিজেদের সঁপে দেব। এটা আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত।’’
কৃষ্ণের মন গলল না। বলছে, ‘‘তোমরা ঘরে গিয়ে পতিসেবা করো। শিশুদের দুগ্ধ পান করাও। জানি তোমরা আমাকে ভালোবাসো। ব্রজের পশুপাখিরাও আমাকে ভালোবাসে।’’ কৃষ্ণের এই যুক্তিতে হার মানল না গোপীকুল। অবাক হচ্ছে বরং। ব্রজের সবার সঙ্গে আমাদের ভালোবাসার উপমা! হায় বিধি। এমনতরো মূল্যায়ন ভালোবাসার! তির ছুঁড়ল আবার কৃষ্ণ—‘‘আমার প্রতি আসক্ত হয়ো না। সতী-ধর্ম নষ্ট কোরো না। আমি তো পরপুরুষ।’’ বজ্রসম এই যুক্তি। অচলা গোপীরা বলছে উত্তরে, ‘‘আমাদের অন্তর তো তুমি নয়। তোমার সেবাই তো আমাদের পতিসেবা। তুমি তো গোপীকান্ত।’’ সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণের যুক্তি—‘‘পতি ছাড়া অন্য পুরুষে প্রেম খুবই কুৎসিত। স্বর্গপ্রাপ্তির বড় বাধা। এটা ঔপপত্য অপরাধ। ঘরে ফিরে যাও।’’—‘‘না, স্বর্গ চাহি না, পুণ্য চাই না, ঔপপত্য দোষ মানি না।’’ বাণ ফুরোয়নি কৃষ্ণের সহজে। বলছে, ‘‘তাই নাকি! কিন্তু এতে যে ভালোবাসা নেই, সেটা জানো না। আর এতে তো আমিও দোষী হয়ে যাব। তো আমার ক্ষতি করা কি তোমাদের ভালোবাসা? যদি তাই চাও, তবে সেই প্রেম আমি বুঝতে অক্ষম। বরং দূর থেকে আমার ধ্যান করো। কিন্তু অঙ্গস্পর্শে প্রেমকে এবং আমাকে কলঙ্কিত কোরো না। ঘরে গিয়ে গৃহধর্ম করো বরং।’’
যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েও কৃষ্ণপ্রেমে অবিচল গোপীরা। নিখাদ প্রেম এমনই। রবীন্দ্র ভাবনায় দেখি, ভালোবাসা কারে কয়। তাই তো কবির কথা, ‘‘আরো আরো প্রভু আরো, এমনি করে আমায় মারো।... যা কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ো।’ গোপীদের ভালোবাসা কি রবীন্দ্রকথাতে এমনি করেই প্রতিফলিত! সেই প্রতিফলিত আলোর অক্ষরেই দেখতে পাই,‘ও নিঠুর আরো কি বাণ তোমার তুণে আছে। তুমি মনে আমায় মারবে।’ গোপীপ্রেম-কৃষ্ণপ্রেম—উপেক্ষা কেমন যেন রহস্যময় হয়ে উঠছে। তবু আরও গভীরে যাওয়া যাক না।
গোপীদের বিরহ ও অন্তর্বেদনা প্রসঙ্গে একটি দৃষ্টান্তে শ্রীমদ্‌ মহানামব্রত ব্রহ্মচারী কী বলেছেন, সেটা ভাবা যাক। চৈতন্য পারিষদ সনাতন গোস্বামী কৃষ্ণের গোপীদের উদ্দেশে বলা দশটি শ্লোকের ব্যাখ্যা করেছেন। মহানামব্রতজি ভাগবতের ১০ম স্কন্ধের ২য় খণ্ডের ফেলালবে ওই বিশেষ ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বড় অন্তরস্পর্শী ইমেজ সৃষ্টি করেছেন। বলেছেন, ‘‘দশটি শ্লোক নয়, দশটি ইন্ধন—শুষ্ক কাষ্ঠ। তাতে সংযোগ করিয়াছেন ঔদাস্য বহ্নি।’’ অর্থাৎ কৃষ্ণের গোপীদের উদ্দেশে শ্লোক যেন গোপীদের বিরহের আগুনে ইন্ধন জুগিয়েছে। মহানামব্রতজি ফেলালবে আরও বলেছেন ‘করাতিরা যখন করাত দিয়া কাঠ ফাড়ে, তখন আগে কালো রেখা টানিয়া লয়, তারপর সেই দাগে কাটে। গোপীর অঙ্গে কালো রেখা খবর দিতেছিল এখনই কৃষ্ণের বিরহ ক্রকচ (করাত) তাঁহাদের দেহ কাটিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিবে।’’ গোপী বিরহের উদাহরণ অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। গোপীরা এই যন্ত্রণা ও কৃষ্ণের উপেক্ষার মধ্যেও বলল, কৃষ্ণচরণে আত্মসমর্পণের কথা। বলল, ‘‘তোমার পদে রাখো আমাদের।’’ কৃষ্ণগত একনিষ্ঠ প্রাণই পারে এমন কথা বলতে। ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিল এই ‘পদে রাখো’ মিনতির কথা। তুমুল যুদ্ধ চলছিল। সুতীব্র উপেক্ষা অবমাননা। কিন্তু বিস্ময়ের এই যুদ্ধাগ্নিতে জল ঢেলে দিল গোপীদের ‘পদে রাখো’ কথাটি। এক মুহূর্তে। অমনি ভক্তের অবিচল প্রেম ভক্তির অন্তহীন নিষ্ঠায় বিগলিত হয়ে গেল যন্ত্রণাদাতা কৃষ্ণ। বলল, ‘‘চলো নিকুঞ্জে যাই। পূর্ণ হবে প্রেম তৃষ্ণা। স্বচ্ছন্দে বিহার করো। যাচ্ঞা করিয়াছ যাহা যাহা, লুটিয়া লও স্বচ্ছন্দে। খুলিয়া দিলাম অন্তরের কপাট।’’ তখন পদ্মপলাশ নয়নে কৃষ্ণের শুধু প্রেম আর করুণা।
কিন্তু, এই যে মিলনের সহৃদয় ডাক, তার আগে এত দীর্ঘকাল বিরহ যন্ত্রণায় গোপীদের দগ্ধ করার কী দরকার ছিল? বংশীধ্বনিতে আহ্বান করে কেন এত আঘাতের পর আঘাত। দরকার ছিল বইকি। কৃষ্ণ প্রেমভক্তির গভীরতার পরীক্ষা নিল যে। তাই পরীক্ষা, তাই বিরহ। বিরহ ছাড়া মিলন অপূর্ণ। রাসলীলার পরিপূর্ণ সর্বাত্মক আস্বাদনের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন বিরহের। আর এটাই ছিল ‘যোগমায়া’র একটি মূল্যবান কৌশল। সেই কৌশলে বিরহ পরীক্ষায় সমর্যাদায় উত্তীর্ণ গোপীগণ। গোপীপ্রেম যে কত নিখাদ, কত গভীর কত পরিপূর্ণ তা সর্বৈব প্রমাণিত হয়ে গেল যোগমায়ার কৌশলাত্মক মহাপরীক্ষায়। কঠিন বেদনার পরীক্ষায় প্রেমের উজ্জ্বল বার্তাটি প্রকাশিত। যার যোগ্যতর উদাহরণ দুর্লভ।
এবার গোপীদের সঙ্গে প্রেমের রাসলীলা শুরু। শ্রীরাধারমণ গোপিকাকান্ত কৃষ্ণচন্দ্র গোপীদের নিবিড় বেষ্টনে প্রেমলীলায় ডুবে গেল। এখন মধুময় প্রেমময় নিকুঞ্জবন। আনন্দলহরীতে বংশীধ্বনি মূর্ছনায় রাসবাসর এবার মুখরিত।

 
11th  November, 2019
শিবসেনা ও একটি পরম্পরার অপমৃত্যু
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শিবাজি পার্কের জনসভায় তির-ধনুকটা নামিয়ে বক্তৃতা শুরু করতে গিয়েও থমকে গেলেন বাল থ্যাকারে। শব্দবাজির দাপট কানের যাবতীয় সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করছে। সঙ্গে চিৎকার... উল্লাস। অপেক্ষা করছেন শিবসেনা ‘প্রমুখ’। তির-ধনুক তাঁর দলের প্রতীক। পৌরুষের প্রতীক। তিনি নিজেও তাই। ১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের প্রচার।  
বিশদ

প্রচলিত ছকে মৌসুমি বায়ু চরিত্র বোঝা যাচ্ছে না
শান্তনু বসু

২০১৯-এর এই উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত আবহাওয়াবিদদের হিসেবেই ছিল না। উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরুজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু আগামী বছর যদি আরও দেরিতে কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, ভারতের কৃষি আবার অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। চলতি বছরের উদ্বৃত্ত জলকে ধরে রাখা হয়েছে—এমন সুখবর কিন্তু নেই।
বিশদ

18th  November, 2019
একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন।  
বিশদ

18th  November, 2019
মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

আজকের নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান!
বিশদ

17th  November, 2019
ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
জল বেড়েছে, বোধ বাড়েনি
রঞ্জন সেন

 সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে পৃথিবীর বহু উপকূলবর্তী দেশ ও দ্বীপ বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা এটাও বলছেন আমরা সবাই মিলে এবং রাষ্ট্রনায়কেরা চাইলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারি। বিশদ

16th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

15th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৩৮ জন মাছচাষিকে সোমবার মাছ ও চুন বিতরণ করা হল।  ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

মাইসুরু, ১৮ নভেম্বর: রবিবার মাইসুরুতে একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে গিয়ে আততায়ীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তনভির সাইত। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ...

ইসলামাবাদ, ১৮ নভেম্বর (পিটিআই): ভারতের অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার একদিন পরেই পাকিস্তান শাহিন-১ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করল। ৬৫০ কিলোমিটার দূরের বস্তুকে আঘাতে সক্ষম পাক ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন-১। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM