কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
পাশাপাশি দলীয় সংগঠন নিয়েও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে যান। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমাদের দলে কোনও গ্রুপ নেই। থাকবেও না। একটাই গ্রুপ— তৃণমূল কংগ্রেস, জোড়া ফুল, তেরঙ্গা ঝান্ডা। আর কোনও গ্রুপ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা বড় নয়। কর্মীরা বড়। কর্মীরাই দলের সম্পদ। আমাদের দল কর্মীদের উপরে নির্ভর করে চলবে।
এদিন বেলা ৪টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার রাজবাড়ি সংলগ্ন স্টেডিয়াম ময়দানে হেলিকপ্টার থেকে নামেন। সেখান থেকে কর্মিসভায় যোগ দিতে পাশেই নেতাজি সুভাষ ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলে যান। কর্মিসভায় প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আমি বড়, না ও বড় সেটা ভাবার দরকার নেই। আমরা সবাই সমান। তাহলেই আপনার কাজটা সফল হবে।
সভায় তিনি নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, কোচবিহার সীমান্তবর্তী জেলা। এক দিকে অসম, আরেক দিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এনআরসি নিয়ে মানুষকে অধিকার দেবে না। কিন্তু ভোটে জেতার জন্য টাকা সাপ্লাই করবে। এটা হচ্ছে ওদের কাজ। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ লাগিয়ে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যতবার উত্তরবঙ্গে আসি আর কেউ আসে? আসে না। নির্বাচনের সময় আসে। ভোট প্রচারে আসে। কুৎসা রটাতে আসে। অপ্রচার করতে আসে। আমরা সেটা করি না। আমরা কাজ করতে আসি।
মমতা বলেন, আজকে বড় বড় কথা যাঁরা বলছেন তাঁদের বোঝা উচিত উদ্বাস্তুদের দীর্ঘ দিনের যে আন্দোলন, নিঃর্শর্তে জমির দলিল দিতে হবে সেটা আমি করে দিয়েছিলাম। অন্য কেউ করেনি। এর জন্য আমাকে অনেক মার খেতে হয়েছিল। আমাদের সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে তার অধিকার দিয়ে দেবে। তারাই তো নাগরিক। নতুন করে অধিকার পাওয়ার কী আছে? এনআরসির বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট নিয়ে আসব। ওটা কী? আরেকটা খুড়োর কল। আমি বলছি, বাংলায় আপনারা সবাই সিটিজেন। আপনারা সবাই নাগরিক। আপনাদের সকলের অধিকার আছে।
মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নিকরণ নীতিকে আক্রমণ করে বলেন, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছে, রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, বিএসএনএল বিক্রি করে দিচ্ছে, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বিক্রি করে দিচ্ছে। ৪৫টা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে। কোনওদিন শুনেছেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া’, যা ইন্ডিয়ার নামের সঙ্গে যুক্ত, সেই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ সংস্থা বিএসএনএল বিক্রি করে দিচ্ছে। রেলের বেসরকারিকরণ করছে। তাহলে বাকি কী থাকলো কমরেড?
সভায় আসা কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে দলনেত্রী বলেন, আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের প্রত্যেকটা এমএলএ, এমপি যাঁরা আছেন, আমাদের কাউন্সিলার, জেলা পরিষদ সদস্য, শাখা সংগঠন সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন। এই কাজটা যদি ছয় মাস আগে করতেন তাহলে বিজেপির গুন্ডারা এত আসন জিতে নিতে পারত না। আগামী দিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। স্বপ্ন দেখতে শিখতে হবে। বাংলা থেকে কাউকে বিদায় নিতে না হয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা এনআরসি’র বলি না হতে হয়, সেই স্বপ্ন দেখতে শিখতে হবে। এটা করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল নয়।