কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালে। ডেভিড ক্যামেরন সরকারের উচ্চপদস্থ উপদেষ্টা রোহন সিলভার সঙ্গে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বৈঠক চলছিল বাকিংহাম প্যালেসে। সেই বৈঠকে রোহন তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যের উন্নয়নে সরকারের কি আরও একটু সচেষ্ট হওয়া উচিত নয়?’ রোহনের অভিযোগ, এর উত্তরে ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের অষ্টম দাবিদার প্রিন্স অ্যান্ড্রু পুরনো একটি প্রবাদের উল্লেখ করে একটি মন্তব্য করেন, যা বর্ণবৈষম্যমূলক। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য কীভাবে প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা ভাবতে ভাবতেই গোটা দিন চলে যায় রোহনের।
রোহনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ওয়েকফিল্ডে হলেও, তাঁর বাবা-মা শ্রীলঙ্কার। রোহন নিজেও ব্রিটেনের জাতীয় রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের উচ্চপদস্থ নীতি উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। শিল্পোদ্যোগীরা যাতে সহজে ভিসা পান, সেজন্য তাঁর উদ্যোগ ব্রিটেনে সর্বজনবিদিত।
তবে একবার নয়, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। বাকিংহাম প্যালেসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার সংক্রান্ত এক বৈঠকে মুখোমুখি হন তাঁরা। রোহনের দাবি, ‘এই বৈঠকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু ফের গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ করেন। বলেন, নিয়মনীতি পালনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাদা চামড়ার লোকদেরই ভরসা করা যায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, সবার সামনে ঘটনাটা ঘটলেও, প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কেউ এনিয়ে টুঁ শব্দ পর্যন্ত করেনি।’ যদিও ব্রিটিশ রাজপরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু কখনও এধরনের মন্তব্য করেননি।
২০১৭ সালে ব্রেক্সিট আলোচনায় সময় বর্ণবৈষম্যমূলক শব্দ উচ্চারণ করায় টোরি এমপি অ্যানি মেরি মরিসকে সাসপেন্ড করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। ওই শব্দবন্ধকে ‘ভয়ানক এবং দুভার্গ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। শনিবার রোহনের এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ব্রিটেনজুড়ে প্রশ্ন, প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ক্ষেত্রে কী হবে!